Monday, February 22, 2010

আঙুল ফোটালে শব্দ হয় কেন?

0 comments
শুধু আঙুল নয়, পায়ের গোড়ালি, হাঁটু, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ আমরা শব্দ করে ফোটাই। সাধারণত ধারণা করা হয়, আঙুল মোচড়ানোর সময় হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে বুঝি শব্দ হয়। ব্যাপারটা আসলে সে রকম নয়। সেখানে হাড়ের মধ্যে ঘষা লাগে না। অস্থির সংযোগস্থলগুলো একগুচ্ছ সুতার মতো তন্তুর (লিগামেন্ট) বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। এই সন্ধি-বন্ধনী দুই পাশের হাড় ধরে রাখে। তন্তুগুলো রাবারের মতো কিছুটা স্থিতিস্থাপক। যখন কোনো কারণে হাত-পায়ের জোড়ায় অস্বস্তি লাগে, তখন আমরা ওই জোড়ায় চাপ বা হাড়ে মোচড় দিয়ে স্বস্তিলাভের চেষ্টা করি। চাপে সংযোগস্থলের হাড় দুই পাশে সামান্য সরে যায়। এতে হঠাত্ সেখানে কিছুটা ফাঁকা জায়গার সৃষ্টি হয়। তখন আশপাশের পেশি ও তন্তুকলায় সঞ্চিত তরল দ্রুত ওই শূন্যস্থানের দিকে ছুটে যায়। বিভিন্ন দিক থেকে ছুটে আসা তরল সৃষ্ট খালি জায়গায় এসে মিলিত হওয়ার সময় সামান্য শব্দ হয়, যেন একটি ক্ষুদ্র বিস্ফোরণের মতো ব্যাপার। এটাই আঙুল বা ঘাড় ফোটানো নামে পরিচিত। অবশ্য ছুটে আসা তরল ধীরে ধীরে চারপাশে আবার মিশে যায় এবং দুই পাশের হাড় আবার আগের মতো সন্ধি-বন্ধনীতে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ হয়। এ জন্য কিছুটা সময় লাগে। এ কারণেই একবার আঙুল ফোটানোর পর পরই আবার আঙুল ফোটালে কোনো শব্দ হয় না। সাধারণত আঙুল ফোটালে কোনো ক্ষতি হয় না। শুধু পাশের লোকজনের কানে লাগে। আঙুল বা ঘাড়ের অস্থি ফোটানোর কারণে অস্থি ক্ষয়জনিত আর্থ্রাইটিস বা অস্টিওআর্থ্রাইটিস হয় না। তবে আঙুল ফোটানো একটি খারাপ অভ্যাস। অতিরিক্ত চাপ পড়লে হাড়ের ক্ষতি হতে পারে। ঘাড় ফোটানোর ব্যাপারেও সাবধান থাকা উচিত। কারণ, বেশি চাপ পড়লে ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

0 comments:

Post a Comment