Monday, September 26, 2011

দই

0 comments
সুস্থ থাকতে সবাই চাই। কিন্তু আমরা কি সবসময় সুস্থ থাকতে পারি? মনে হয়—না। কিন্তু অসুখ-বিসুখ থেকে রেহাই পেতে তো চাই। দেহ নীরোগ, সুস্থ-সবল ও কর্মঠ রাখতে হলে জীবনযাপন পদ্ধতিতেও কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলা জরুরি। আর এজন্য প্রয়োজন নিজের প্রতি সচেতন হওয়া এবং ইচ্ছাশক্তির প্রয়োগ। প্রতিদিন কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই কিন্তু নীরোগ ও কর্মঠ শরীর নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা যায়। আজ আমরা টক দই খাওয়ার উপকারিতা জানব। দই একটি দুগ্ধজাত খাবার ও দুধের সমান পুষ্টিকর খাবার। টক দই অত্যন্ত পুষ্টিকর, এতে আছে দরকারি ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ইত্যাদি। টক দইতে দুধের চাইতে বেশি ভিটামিন ‘বি’, ক্যালসিয়াম ও পটাশ আছে। এতে কার্বোহাইড্রেট, চিনি ও ফ্যাট নেই। এটি রোগ প্রতিরোধ করতে ও রোগ সারাতে সাহায্য করে।

দই খাওয়ার উপকারিতা

++ দইতে ল্যাটিক অ্যাসিড থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন ক্যান্সার কমায়।

++ এটি হজমে সহায়তা করে।

++ টক দইতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ আছে যা হাড় ও দাঁতের গঠনে ঠিক রাখতে ও মজবুত করতে সাহায্য করে ।

++ কম ফ্যাটযুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়।

++ দইয়ের আমিষ দুধের চেয়ে সহজেচ ও কম সময়ে হজম হয়। তাই যাদের দুধের হজমে সমস্যা তারা দুধের পরিবর্তে এটি খেতে পারেন ।

++ টক দই রক্ত পরিশোধন করতে সাহায্য করে।

++ উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেয়ে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ।

++ ডায়বেটিস, হার্টের অসুখের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেয়ে এসব অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

++ টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয়। তাই অন্ত্রনালী পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে ও বুড়িয়ে যাওয়া বা অকাল বার্ধক্য রোধ করে। শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।

++ওজন কমাতে কম ফ্যাটযুক্ত ও চিনি ছাড়া টক দই খাবেন।

লক্ষ রাখুন

++ টক-জাতীয় খাবার গরম অবস্থায় এবং রাতে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

++ দই, পেয়ারা, শসা, ক্ষীরা, কলা, শাক ইত্যাদি রাতে কখনই খাওয়া ঠিক নয়।

++ দইয়ের পর কোনো সফ্ট ড্রিঙ্কস পান না করাই উচিত। কারণ এতে দইয়ের উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।

0 comments:

Post a Comment