Wednesday, February 6, 2013

কমে যাচ্ছে সুন্দরবনের বাঘ

0 comments

দিন দিন কমে যাচ্ছে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা। পরিবেশবিদ ও প্রানি বিশেষজ্ঞদের মতে বাঘের বসবাসের জন্য উপযুক্ত বন ও পর্যাপ্ত খাবার না থাকা, মানুষের হামলা,চোরাশিকারীদের কবলে পড়ে এবং সুন্দরবন সংলগ্ন খালে বিষ প্রয়োগের ফলে বিষাক্ত পানি এবং অতিরিক্ত লোনা পানি পান করে বাঘের মৃত্য হওয়ার অন্যতম কারন।এক বন কর্মকর্তা নিজেদের বন উজাড়ের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করলেও বন বিভাগে নিয়োজিত প্রানি বিশেষজ্ঞর দাবি সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে তাই লোকালয়ে চলে আসছে।


বাঘ সুমারির তথ্য মতে ১৯৮২ সালে সুন্দরবনে বাঘ ছিলো ৪৬০টি ২০০৪সালে ভারত-বাংলাদেশও ইউ এন ডিপির জরিপে ৪৪০টি। সর্বশেষ ২০০৭-০৯ সালে ৪০০টি বাঘের অস্তিত্ব পেলেও ২০১১ সালে গননা অনুসারে ২৫০টি মতো। পরিবেশবিদ ও প্রানি বিশেঙ্গদের মতে বাঘ বিলুপ্তির এই বয়াবহ পরিসংখ্যানের জন্য সুন্দরবনের গাছ পাচার ও খাবার না পেয়ে লোকালয়ে এসে মানুষের পিটুনিতে,চোরা শিকারীদের কবলে পড়া,বিষাক্ত পানি পান করা সহ বিভিন্ন কারনে বনের রাজা রয়েল বেঙ্গলের মৃত্য হচ্ছে। আর তাই সংখ্যায় কমে যাওয়ার ফলে সুন্দরবনে অনেক অংশে দীর্ঘ দিন বাঘ দেখা যাচ্ছে না। 

ড.মিজানুর রহমান,পরিবেশবিদ ও প্রানি বিশেষজ্ঞ


বাঘের বসবাসের জন্য খাবার অনুযায়ী ৮ থেকে ৩২ স্কয়ার কিলোমিটার একটানা বন থাকা প্রয়োজন।কিন্তু বনবিভাগের সহযোগিতায় অবৈদ ভাবে বন উজাড় হওয়ায় দ্রুত বাঘ তার বাসস্থান হারাচ্ছে।অবৈদ ভাবে বন কাটার সঙ্গে বন বিভাগ জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ১০ ডিসেম্বর সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশন থেকে বদলী হয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগদানকাররী এ কর্মকতা। 

 মনিরুজ্জামান, পুর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশন কর্মকর্তা



বনবিভাগে নিয়োজিত প্রানী বিশেষজ্ঞর মতে, তিন কারনে বাঘ লোকালয়ে চলে আসে বয়স বৃদ্বি,টেরিটরির সমস্যা ও খাবারের অভাব দেখা দিলে। তবে সুন্দরবনে বাঘের খাদ্যের অভাব নেই।এখানে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে আর তাই লোকালয়ে আসছে। তার নিজস্ব ধারনা মতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৬০০মতো।


 আঃ রব, ,কৃত্রিম কুমির ও হরিণ প্রজনন কেন্দ্রের নিয়োজিত প্রানি বিশেষজ্ঞ,করমজল ,পুর্ব সুন্দরবন



সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র রক্ষায় বাঘের প্রজনন বৃদ্বি ও সঠিক ভাবে সংরক্ষনের জন্য সরকারী ভাবে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার দাবি পরিবেশবাদি সংগঠন গুলোর।

সবুজ হাওলাদার
 ০১৭১৩৯১১৭৯০

0 comments:

Post a Comment