হেয়ার কালার করলাম, আর রাতারাতি ঐশ্বর্যা রাই হয়ে গেলাম- এই স্বপ্নে
বিভোর হয়ে থাকলে কিন্তু আপনি পুরোটাই ভুল ভাবছেন৷ কারণ হেয়ার কালার
করানোর আগে আপনাকে জানতে হবে, আপনার চুলের টেক্সচারের সঙ্গে ঠিক কোন রঙটা
মানানসই হবে৷ এটা জানা তো জরুরিই, তার চেয়েও জরুরি আপনার গায়ের রঙের
সঙ্গে ঠিক কোন হেয়ার কালারটা করলে আপনাকে গ্ল্যামারাস লাগবে, তা জানা৷
আজ্ঞে হ্যাঁ হেয়ার কালারের সঙ্গে স্কিন টোন অর্থাৎ আপনার ত্বকের রঙের একটা
গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রয়েছে৷ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে (তা বলে পুরোটাই
একরকম নয়) আপনাকে বাছতে হবে হেয়ার কালার৷ না হলে আপনি খরচা করে হেয়ার
কালার করাবেন, অথচ পুরোটাই বেমানান ঠেকবে৷
ন্যাচারাল কালার- ভারতীয়
মহিলাদের বার্গান্ডি, রেড বা ব্রাউনের মতো হেয়ার কালার ভালো
মানায়৷কিন্তু হেয়ার কালার বাছার সময় আপনার গায়ের রঙ ফরসা না কালো না
উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ সে বিষয়ে নজর রাখাটা খুব জরুরি৷যেমন ধরুন যদি আপনার
গায়ের রঙ একটু হলদেটে হয়, তাহলে গোল্ডেন বা ব্রাউন ভুলেও করাবেন না৷ মনে
হবে আপনি জন্ডিসে ভুগছেন! এই স্কিন টোনের সঙ্গে বার্গান্ডি ভালো মানাবে৷
ব্রাউন- অন্যান্য হেয়ার কালারের তুলনায় ব্রাউন অনেকটাই নিরাপদ৷যদি
আপনার ত্বকের রঙ হাল্কা হয় তাহলে মেহগনি কালার আর যদি শ্যামবর্ণ হয় তাহলে
লাইট ব্রাউন রঙ করাতে পারেন৷
বার্গান্ডি- হেয়ার কালার করানোর সময় ভারতীয়দের প্রথম পছন্দ
বার্গান্ডি৷আপনার ত্বকের রঙ যদি হলদেটে, খুব ফরসা বা হাল্কা শ্যামবর্ণ হয়,
তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় এই রঙটি বাছতে পারেন৷ হেয়ার কালার করানোর পর
আপনার ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠবে আকর্ষক৷
রেড- রেড হেয়ার কালারের নানারকমের শেডস থাকে৷ যদি আপনি খুব ফর্সা হন
তাহলে কপার বা লাইট রেড হেয়ার কালারকে বাছুন৷ কিন্তু তা বলে কমলা ঘেঁষা
লাল বাছবেন না, আপনাকে ভালো লাগবে না৷কিন্তু আপনি যদি গোলাপি ঘেঁষা ফরসা
হন, তাহলে লাল হেয়ার কালার আপনার না বাছাই শ্রেয়৷
গোল্ডেন- এই রংটা কিন্তু ভারতীয় স্কিনটোনের সঙ্গে একেবারেই মানায় না৷
একান্ত করাতেই হলে গ্লোবাল (পুরো চুলে রঙ) না করিয়ে স্ট্রিকস(অল্প
কয়েকটা চুলে রঙ) করান৷ খুব একটা বেমানান লাগবে না৷
ব্ল্যাক - কুচকুচে কালো রঙ কাউকেই মানায় না৷সে মহিলা ভারতীয়ই হোক বা
বিদেশি৷মনে হবে আপনি পরচুল পরেছেন৷ তাই ব্ল্যাকের বদলে ব্রাউন রঙ করানো
অনেক নিরাপদ৷
হাই লাইটস ও লো লাইটস- আপনার হেয়ার কালার আপনার স্কিন টোনের থেকে
কিছুটা হাল্কা বা গাঢ় হতে হবে৷ আর সেটা ঠিক করে দেবে অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ানই৷
তাই কখনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া হেয়ার কালার করাবেন না৷