মুখ ও কপাল অতিরিক্ত ঘামা বেশ সাধারণ সমস্যা। অনেকের ক্ষেত্রেই এটা দেখা যায়। অতিরিক্ত ঘাম অনেক সমস্যায় ফেলতে পারে আপনাকে। ছেলেদের বা মেয়েদের কারো জন্যই বেশি ঘামা সুখকর নয়। আবহাওয়া খুব গরম হলেও ঘাম বেশি হতে পারে আবার জিনগত কারণেও ঘাম বেশি হতে পারে। অনেকের ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির হলেও ঘাম হতে পারে। এক্ষেত্রে মুখে ও কপালে বেশি ঘাম দেখা যায়। এখন প্রশ্ন হল এ ঘাম থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় আছে কি?
কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা ঠিক ভাবে ব্যবহার করলে আপনার মুখে ঘামের প্রবণতা অনেক কমে যাবে তবে আপনার জিনগত সমস্যা হলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হতে পারে। জেনে নিন অতিরিক্ত ঘাম থেকে রেহাই পাবেন কিভাবে-
প্রথম সমাধানটি খুব সহজ। বেশি করে টমেটো খান! টমেটোর মধ্যে এমন উপাদান আছে যা ঘাম কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১ টি বা দুইটি করে টমেটো খান বা টমেটোর জ্যুস পান করুন।
২ চা চামচ কাচা মধু ও ২ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে তিনবার খালি পেটে খান নিয়মিত। খুব দ্রুত ফলাফল পাবেন।
সবুজ মুগ ডাল ভেজে নিন এবং পাউডারের মত গুড়া করে নিন। ১ চা চামচ পাউডারের সাথে একটু কাচা দুধ মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। ৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত লাগান দ্রুত উপকার পাবেন।
১ টুকরা বরফ পাতলা সুতি বা মসলিন কাপড় দিয়ে পেচিয়ে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন কিছুক্ষণ। দিনে ২/৩ বার এভাবে বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করলে ঘাম কম হবে। বিশেষ করে মেকআপ করার আগে এটি খুব কাজে দেয়।
অ্যালো ভেরা বা শসা ঘাম প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। প্রতিদিন ফ্রেশ অ্যালো ভেরার জ্যুস বা শসার জ্যুস পান করুন। সুপার শপ গুলো তে বেশ ভালো মানের অ্যালো ভেরা জ্যুস পাওয়া যায়। এগুলোও খেয়ে দেখতে পারেন। এর সাথে সাথে মুখে যদি অ্যালো ভেরা জেল বা শসার রস লাগান তাহলে আরো বেশি উপকার পাবেন।
এর মধ্যে একটি আপনার ক্ষেত্রে কাজ না করলে অন্য একটি চেষ্টা করুন। সময়ের সাথে এগুলো অনুসরণ করলে ঘামের হাত থেকে মুক্তি পাবেনই।
কিছু টিপসঃ
লবণ কম খাবেন। বেশি লবণ ঘাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে কাজ করে।
ভারি ক্রিম বা অপ্রয়োজনে মুখে ক্রিম লাগানো বন্ধ করুন। যত বেশি ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার লাগাবেন আপনার মুখ তৈলাক্ত হবে এবং মুখ ঘামবে বেশি। ভালো মানের ওয়াটার বেস এর ময়শ্চারাইজার লাগাবেন তবে যত কম পারেন তত ভালো।
তাৎক্ষণিক ঘাম দূর করার জন্য ফেসিয়াল ওয়াইপ ব্যবহার করতে পারেন।
0 comments:
Post a Comment