প্রায় ২৫ বছর আগে প্যারিসের রাস্তায় ক্যামেরাতাড়িত হয়ে অকাল মৃত্যু মেনে নিতে হয়েছিলো জনগণের রাজকুমারী হিসাবে খ্যাত প্রিন্সেস ডায়নাকে। তিনি শুধু সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয়ই ছিলেন, সেই সঙ্গে গোটা দুনিয়াতে নিজেকে পরিণত করেছিলেন ফ্যাশন আইকন হিসাবে।
বিষয় সমূহ
- Animal (67)
- Artical (29)
- Education (79)
- Fitness (19)
- Food (40)
- Game (12)
- Hijra(হিজড়া) (7)
- Journalism (23)
- Law (19)
- Liberation War(মুক্তিযুদ্ধ) (34)
- Love Effect (26)
- Mosque (42)
- Music (16)
- Nobel Prize (5)
- Organization (30)
- Others (56)
- Plants(গাছ-পালা) (29)
- Politics(রাজণীতি) (22)
- Scandal Religion (1)
- Tribe (8)
- Violence (16)
- Wikileaks (3)
Like for Update
64 Districts
- Bagerhat (4)
- Bandarban (3)
- Barisal (3)
- Bhola (3)
- Bogra (11)
- Brahmanbaria (2)
- Chandpur (4)
- Chapai Nawabganj (2)
- Chittagong (6)
- Comilla (2)
- Cox's Bazar (13)
- Dhaka (65)
- Dinajpur (6)
- Faridpur (1)
- Feni (1)
- Gaibandha (1)
- Gazipur (3)
- Gopalgonj (2)
- Habiganj (2)
- Jamalpur (4)
- Jessore (3)
- Jhenidah (2)
- Khagrachari (1)
- Khulna (3)
- Kishorgonj (2)
- Kurigram (1)
- Kushtia (3)
- Lalmonirhat (2)
- Madaripur (3)
- Magura (1)
- Manikgonj (1)
- Meherpur (2)
- Moulvibazar (14)
- Munsiganj (3)
- Mymensingh (5)
- Naogaon (8)
- Narayanganj (2)
- Natore (10)
- Netrokona (1)
- Nilphamari (2)
- Noakhali (1)
- Pabna (3)
- Panchagarh (2)
- Patuakhali (7)
- Pirojpur (1)
- Rajbari (1)
- Rajshahi (8)
- Rangamati (3)
- Rangpur (5)
- Satkhira (4)
- Sherpur (2)
- Sirajganj (5)
- Sunamganj (4)
- Sylhet (11)
- Tangail (1)
Tuesday, November 28, 2023
Monday, November 27, 2023
প্রিন্সেস ডায়নার পিক্সি হেয়ার কাটের পেছনের গল্প
প্রিন্সেস ডায়না গত হয়েছেন প্রায় দুই যুগ। কিন্তু এখনও সবার মনের অগোচরে রয়ে গেছেন তিনি। ডায়না আরও একটি কারণে এখনও বিখ্যাত তা হলো তার আইকনিক লুক। তার চুলের বিখ্যাত পিক্সি হেয়ার কাট এই যুগেও সমানতালে জনপ্রিয়। প্রশ্ন থেকেই যায়, কী কারণে এবং কীভাবে এসেছে ডায়নার এই হেয়ার কাট।
ব্রিটিশ ভোগ-এর ইউটিউব সিরিজ ভোগ ভিশনারিসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্সেস ডায়ানার হেয়ার স্টাইলিশ স্যাম ম্যাকনাইট জানান, ডায়ানার এই তুমুল জনপ্রিয় হেয়ার-কাটের জন্ম একটি তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত থেকে।
স্যাম ম্যাকনাইট জানান, ৯০ এর দশকে ব্রিটিশ ভোগের একটি ফটোশ্যুটে স্যাম ডায়ানাকে একটি বব কাট দিইয়েছিলেন। এরপর তাকে টায়রা পরানো হলো। এটি একটি পরীক্ষামূলক কাজ ছিলো। দেখতে চাওয়া হয়েছিলো ডায়নাকে এই লুকে মানায় কিনা। কারণ আশির দশকে লুকটি জনপ্রিয় ছিলো।
ফটোশুট শেষ হওয়ার পর, প্রিন্সেস ডায়ানা স্যামকে একটি কৌতূহলী প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি যদি সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পান তবে আপনি আমার চুল দিয়ে কী করবেন?" সাহসের সাথে, স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়াতে স্যাম উত্তর দিয়েছিলেন, আমি আপনার চুল আরও ছোট করে ফেলতে চাই। স্যাম ৯০ এর দশকে মডেল এবং সেলিব্রিটিদের মধ্যে জনপ্রিয় অ্যান্ড্রোজিনাস, তীক্ষ্ণতা, শৈলী থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন।
ডায়ানা সাথেসাথে স্যামের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। এরপর স্যাম নৈপুণ্যের সাথে কাচির সাহায্যে ডায়ানাকে তার ঐতিহাসিক হেয়ারকাটটি দিয়েছিলেন।
পিক্সি কাটটি প্রিন্সেস ডায়ানার জন্য চুলের স্টাইল পরিবর্তনের চেয়ে অনেক বেশি কিছু ছিল। এটি স্বাধীনতা এবং আত্ম-নিশ্চিততার একটি বিবৃতিতে পরিণত হয়েছে। রাজকীয় বন্দী জীবনে, এটি তার ব্যক্তিত্ব জাহির করার ক্ষমতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পিক্সি কাট ডায়ানার আধুনিক এবং প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে। তার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনকে চিহ্নিত করে, কারণ তিনি সে সময় অনেক মানবিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
এই সাহসী এবং মুক্ত সিদ্ধান্তটি ফ্যাশন এবং সৌন্দর্যের জগতেও গভীর প্রভাব ফেলেছিল। বিশ্বের সমস্ত কোণ থেকে মহিলারা তার মার্জিত এবং পরিশীলিত চেহারা অনুকরণ করার চেষ্টা করেছিল। পিক্সি কাট সাহস এবং ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে এসেছে। এটা শুধু একটি চুলের স্টাইল ছিল না, এটি একটি শক্তিশালী প্রতীক ছিল।
উৎসঃ একাত্তর টিভি
Wednesday, November 8, 2023
পুরুষের অন্তর্বাস তত্ত্ব
২০০৮ সালের মন্দার সময় লিপস্টিকের চাহিদা যেমন বেড়েছিল, তেমনি এর উল্টো এক বিষয়ও দেখা গিয়েছিল। এক বছর আগে এ নিয়ে প্রথম আলোতেই লেখা হয়েছিল যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক–ব্যবস্থা ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) তৎকালীন চেয়ারম্যান অ্যালান গ্রিনস্প্যান দেখেছিলেন, মন্দার সময় মানুষ অন্তর্বাস কেনা কমিয়ে দেয়। তখন কাপড় কেনা দায় হয়ে যায়, নতুন অন্তর্বাস কেনা মানুষের জন্য বাড়তি ঝামেলায় পরিণত হয়। অ্যালান গ্রিনস্প্যান বলেছিলেন, আমেরিকার পুরুষদের মধ্যে নতুন নতুন অন্তর্বাস কেনার ঝোঁক রয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের অন্তর্বাসের প্রতি রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষার তথ্য বলছে, বিগত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষদের মধ্যে অন্তর্বাস কেনার পরিমাণ অনেক কমে গেছে আর তা দেখেই মন্দার আশঙ্কা করছেন দেশটির অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মন্দাকালীন অবস্থা বোঝার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষের অন্তর্বাস সূচক ব্যবহার করা হয়। ২০০৭ ও ২০০৯ সালে মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষের অন্তর্বাস বিক্রি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমে গিয়েছিল।
লিপস্টিক তত্ত্ব
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জুলিয়েট শোর ১৯৯৮ সালে ‘দ্য ওভারস্পেন্ট আমেরিকান’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। সেখানে তিনি প্রথম লিপস্টিক তত্ত্ব সামনে নিয়ে আসেন। আর ২০০০ সালে আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দার সময় প্রসাধন সংস্থা এস্টি লডার ‘দ্য লিপস্টিক এফেক্ট’ শব্দটি ব্যবহার করে এ তত্ত্ব জনপ্রিয় করেছিল। আসলে জুলিয়েট শোর দেখিয়েছিলেন, মানুষের আয় যখন কমে যায়, তখন তারা বিলাস পণ্য কেনা বন্ধ বা কমিয়ে দেয়। এর পরিবর্তে মানুষ কম দামি বিলাসী পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। মানুষ তখন দামি ফারের কোট বা দামি ব্যাগ কিনতে পারে না; যেতে পারে না দামি দোকানে, এ কারণে শখ পূরণ করতে কম দামি বিলাস পণ্য কেনে। এতেই বাড়ে লিপস্টিকের বিক্রি।
আবার অর্থনৈতিক মন্দার সময় লিপস্টিক বিক্রি বেড়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ আছে। মানুষ তখন নিজের আর্থিক কষ্টের কথা ভুলে থাকতে নিজের প্রতি বেশি যত্নশীল হয়, নিজেকে পরিপাটি রাখার চেষ্টা করে। এ সময় লিপস্টিকের চাহিদা বাড়ে; কারণ সাজগোজ করার জন্য তুলনামূলক সস্তা পণ্য হচ্ছে লিপস্টিক। প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে নাইন–ইলেভেন বা টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পরে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছিল, তখন লিপস্টিক বিক্রি বেড়েছিল ১১ শতাংশ। প্রসাধন কোম্পানি এস্টি লডারের চেয়ারম্যান লিওনার্দ লডার একই প্রবণতা দেখেছিলেন ২০০৮ সালের মন্দার সময়। ফলে বেশ জোরেশোরেই প্রতিষ্ঠা পায় ‘দ্য লিপস্টিক এফেক্ট’ নামের এ তত্ত্ব। পরবর্তীকালে টেক্সাস ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটির দুই অধ্যাপক সারাহ হিল ও ক্রিস্টোফার রডেনহেফার এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে এ তত্ত্ব আরও জোরদার করেছিলেন। ১৯২৯ সালের বিশ্বমন্দার সময় একই ঘটনা ঘটেছিল—সেই হিসাবও অর্থনীতিবিদেরা বের করেছেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতি সৌন্দর্যচর্চায় যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।