The Rate-of-Change (ROC)
The Rate-of-Change (ROC) Indicator-টি সাধারণত একটি momentum এবং অনেক সময় এই Indicator-কে একটি বিশুদ্ধ momentum oscillator-ও বলা হয়। সাধারণত এই Indicator-টি একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে আরেকটি সময় পর্যন্ত দামের পরিবর্তনের হার নির্ণয় করে থাকে। যখন দামের পরিবর্তন হয়, তখন Rate-of-Change Indicator-টি জিরো লাইনের ওপরে ও নিচে ওঠানামা করে। যেহেতু Rate-of-Change একটি momentum, তাই এর সিগনালগুলো অন্যান্য momentum এর মতোই হয়ে থাকে, যেমন center line crossovers, divergences and overbought-oversold।
এই পরিবর্তনের হার সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে, সেগুলো হচ্ছে- Up trend, Down trend ও Side Way। সাধারণত একটি Up trend গঠিত হয়, যখন কতগুলো higher highs এবং higher lows থাকে এবং দামও জিকজ্যাক করে Up trend অনুসরণ করে; Pull back, যখন একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর percentage move করে আর Down trend গঠিত হয়, যখন lows and lower highs এবং দামও জিকজ্যাক করে Down trend অনুসরণ করে।
আমরা চার্টে দেখতে পাচ্ছি, এপ্রিল ২০০৯ থেকে এপ্রিল ২০১০ পর্যন্ত শেয়ারটি Up trend ছিল এবং ভালোভাবে লক্ষ করলে আমরা দামেরও পরিবর্তন দেখতে পাব, যেখানে কতগুলো higher highs and higher lows ছিল, কারণ সর্বোপরি একটি Up trend ছিল। Rate-of-Change indicator-টি এখানে স্বল্প সময়ের অর্থাৎ short-term oversold নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। যখনই Indicator-টি Zero Line-এর নিচে এসেছে, ঠিক তার পর পরই আবার Up trend-এ চলে গেছে। খুব বেশি সময়ের জন্য The Rate-of-Change-টি oversold অবস্থায় ছিল না। সুতরাং কেউ যদি ওই অবস্থায় শেয়ার ক্রয় করেন এবং Zero Line অতিক্রম করার পর বিক্রয় করেন, তবে কিছু মুনাফা করতে পারেন। আপনি যদি এই Indicator-টির সঙ্গে simple moving average ব্যবহার করেন, তবে আরও ভালো দিক-নির্দেশনা পেতে পারেন।
Stock RSI
Stock RSI হচ্ছে Stochastics-এর ফর্মুলা, যা RSI-কে ভিত্তি করে রচিত। তার অর্থ হলো, এটি একটি RSI-এর ইন্ডিকেটর। Stock RSI পরিমাপ করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে RSI-এর মান, যা তার সর্বোচ্চ/সর্বনিম্ন মাত্রার সাথে যুক্ত। যখন RSI একটি নির্দিষ্ট সময়ে নতুন একটি সর্বনিম্ন মাত্রা রেকর্ড করে তখন Stock RSI ০-তে অবস্থান করে। যখন RSI একটি নির্দিষ্ট সময়ে নতুন একটি সর্বোচ্চ মাত্রা রেকর্ড করে তখন Stock RSI ১০০-তে অবস্থান করে। ২০-এ অবস্থান নির্দেশ করে যে সাম্প্রতিক RSI সে সময়ের সর্বনিম্ন মাত্রা হতে ২০% ওপরে অবস্থান করছে অথবা সর্বোচ্চ মাত্রা হতে ৮০% নিচে অবস্থান করছে। আর ৮০-তে অবস্থান নির্দেশ করে যে সাম্প্রতিক RSI সে সময়ের সর্বনিম্ন মাত্রা হতে ৮০% ওপরে অবস্থান করছে অথবা সর্বোচ্চ মাত্রা হতে ২০% নিচে অবস্থান করছে।
সিগন্যালসমূহ:
• Overbought এবং Oversold Crossovers:যদি একটি শেয়ারের uptrend চিহ্নিত করা যায়, যখন Stoch RSI অগ্রসর হয়ে oversold-এর .২০-এর নিচ হতে .২০-এর ওপরে উঠে আসে, তবে একটি buy সিগন্যাল সৃষ্টি হতে পারে। একইভাবে, যদি একটি শেয়ারের downtrend চিহ্নিত করা হয়, যখন Stoch RSI পতিত হয়ে overbought-এর .৮০-এর ওপর হতে .৮০-এর নিচে চলে আসে, তবে একটি sell সিগন্যাল সৃষ্টি হয়।
• Centerline Crossovers কিছু সংখ্যক ট্রেডার .৫০ (centerline)-এর ওপরে ওঠা অথবা নিচে নামাকে সুনিশ্চিত সিগন্যাল হিসেবে ধরে নেয় এবং whipsawকে বর্জন করে। oversold-এর .৫০ হতে ওপরে উঠে আসা buy সিগন্যাল হিসেবে বিবেচিত এবং সেখানে অবস্থান নেয় যে পর্যন্ত না নিম্নগামী হয়। একইভাবে, overbought .৫০ নিচ হতে উঠে আসা sell সিগন্যাল হিসেবে বিবেচিত এবং সেখানে অবস্থান নেয় যে পর্যন্ত না .৫০ ওপর হতে নিচে নেমে আসে।
• Positive এবং Negative Divergence: একটি পজিটিভ divergence অনুসরণ করে সুনিশ্চিতভাবে .২০ ওপরে উঠে আসাকে যা buy সিগন্যাল এবং একটি নেগেটিভ divergence অনুসরণ করে .৮০ হতে নেমে আসাকে যা sell সিগন্যাল হিসেবে বিবেচিত।
Stochastics
টিউটোরিয়াল কর্নারে আজ আমরা Stochastics নিয়ে আলোচনা করব এবং ব্যাবহারিক প্রয়োগ দেখব। Stochastics একটি সূচক, যা একটি ট্রেন্ড কোথায় গিয়ে শেষ হবে, তা নির্দেশ করে থাকে। এই Stochastics একটি oscillator, যা বাজারের overbought ও oversold স্থল নির্দেশ করে। Stochastics-এর দুটি রেখাই MACD-এর রেখাগুলোর মতো, এই অর্থে যে Stochastics একটি রেখা অপর রেখাটির চেয়ে দ্রুত।
Stochastics এর ব্যবহার: পূর্বেই বলেছি Stochastics আমাদের বাজারের অবস্থা যা overbought বা oversold কি না, সে সম্পর্কে জানায়। Stochastics-এর স্কেলমান ০ হতে ১০০। যখন Stochastics-এর রেখাগুলো ৭০-এর (চার্টে লাল ডট রেখা) ওপরে অবস্থান করে, তখন তা বাজারের overbought নির্দেশ করে, আর যখন ৩০-এর (নীল ডট রেখা) নিচে অবস্থান করে, তখন তা বাজারের oversold নির্দেশ করে। সাধারণ নিয়মানুসারে বাজার oversold হলে আমরা ক্রয় করি এবং overbought হলে বিক্রয় করি।
ওপরের চার্ট হতে আমরা দেখতে পাই, Stochastics অনেকটা সময় ধরে overbought-এর অবস্থান নির্দেশ করছে। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দাম কোনোদিকে যাবে, তা কি আপনি অনুমান করতে পারেন?
যদি আপনি বলেন দাম নিচের দিকে নামবে, তাহলে আপনি সম্পূর্ণভাবে সঠিক। কারণ, বাজার অনেকটা সময় ধরে overbought-এ অবস্থান করছে, যেখানে রিভার্সেল ঘটতে বাধ্য।
এটাই হচ্ছে Stochastics-এর মূল বিষয়। অনেক ট্রেডাররা Stochastics ভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু Stochastics-এর প্রধান কাজ হচ্ছে, বাজার কখন overbought এবং oversold হয়, তা নির্দেশ করা। Stochastics-এর ব্যবহার আপনার ট্রেডের জন্য কতটা উপযোগী তা আপনি সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বুঝতে পারবেন। এটি সম্পূর্ণ আপনার ওপর নির্ভর করে যে আপনি কোন কোন ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ট্রেড করবেন। আপনাকে আপনার নিজস্ব ইন্ডিকেটর খুঁজে বের করতে হবে- যেগুলো আপনাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিবে।
Price Volume Trend
Price Volume Trend ইনডিকেটরটি হচ্ছে একটি শেয়ারের মূল্য এবং ভলিউমের শতকরা পরিবর্তনের হার, যা মূল্যের পরিবর্তনের গতি কতটা মজবুত, সেটি প্রকাশ করে থাকে। Price Volume Trend ইনডিকেটরটি সাধারণত অন্যান্য Price Volume ইনডিকেটরের মতো শুধু আগের দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্য যোগ অথবা বিয়োগ করে না, বরং মূল্যর পরিবর্তনের শতকরা হার নিয়ে কাজ করে থাকে। একটি upward দিনের ভলিউমকে গুণ করা হয় সেই দিনের মূল্যের শতকরা বৃদ্ধির হার এবং সেই দিনের ক্লোজিং এবং আগের দিনের ক্লোজিং মূল্যের সঙ্গে। তারপর প্রাপ্ত মানটির সঙ্গে আগের দিনের Price Volume Trend-এর সঙ্গে যোগ করা হয়। আবার একটি Downward দিনের ভলিউমকে গুণ করা হয় সেই দিনের মূল্যর শতকরা হ্রাসের হার এবং সেই দিনের ক্লোজিং এবং আগের দিনের ক্লোজিং মূল্যের সঙ্গে। তারপর প্রাপ্ত মানটির সঙ্গে আগের দিনের Price Volume Trend-এর সঙ্গে যোগ করা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ইনডিকেটরটি আপনাকে কীভাবে সাহায্য করবে? এই ইনডিকেটরটি আপনাকে divergences বুঝতে সাহায্য করে। এবার একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানি।
যখন শেয়ারটির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন সেই সঙ্গে যদি Price Volume Trend-ও বৃদ্ধি পায়, তবে সেটি Upward Trend বুঝিয়ে থাকে। আবার যখন শেয়ারটির মূল্য কমতে থাকে, তখন সেই সঙ্গে যদি Price Volume Trend-ও কমতে থাকে; তবে সেটি হবে Downward Trend। এবার লক্ষ করুন, যখন শেয়ারটির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন সেই সঙ্গে যদি Price Volume Trend কমতে থাকে, তবে বুঝতে হবে,upward Trend-টি খুব একটা Strong নয়। একইভাবে দেখা যায়, আবার যখন শেয়ারটির মূল্য কমতে থাকে, তখন সেই সঙ্গে যদি Price Volume Trend বৃদ্ধি পেতে থাকে, তবে বুঝতে হবে, Downward Trend-টি খুব একটা Strong নয়। আপনি এই ইনডিকেটরটি ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই Ami Broker ব্যবহার করতে হবে।
Parabolic SAR
আজ আমরা দেখব কীভাবে একটি চার্টে Parabolic SAR ইন্ডিকেটর, RSI এবং Stochastics oscillator যুক্ত করে কাজ করা যায়। প্রথমে জানতে হবে, Parabolic SAR ইন্ডিকেটর কী। Parabolic SAR ইন্ডিকেটর হচ্ছে- এমন একটি Indicator, যেটা Assets-এর Momenterm নির্দেশ করে এবং যখন Momenterm-এর দিকপরিবর্তনের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তার মানে হচ্ছে, upward অথবা dwonward-এ যাবার সম্ভাবনা। মাঝেমধ্যে অনেকে Stop and Reversal System-ও বলে থাকে। নিম্নের একটি চার্টে আমরা Parabolic SAR ইন্ডিকেটর, RSI ও Stochastics oscillator যুক্ত করেছি। ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন, যখন RSI ও Stochastics তাদের oversold স্থল ত্যাগ করা শুরু করে, তখন তা buy সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে এবং যখন RSI ও Stochastics তাদের overbought স্থল ত্যাগ করা শুরু করে, তখন তা buy সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে।
এখানে আমরা HR Textile-এর একটি উদাহরণ দিচ্ছি। ০৩.০৩.২০১১ তারিখে আমরা buy সিগন্যাল পেয়েছি। তার আগে যদি আমরা ভালোমতো লক্ষ করি তবে দেখতে পাব, RSI ও Stochastics oscillator-টি oversold অবস্থায় ছিল এবং buy সিগন্যাল দিচ্ছিল। এই তিনটি ইন্ডিকেটরে buy সিগন্যাল পরপর সংঘটিত হয়েছে এবং এটি একটি ভালো ট্রেড হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
আবার ০৩.০৪.২০১১ তারিখে আমরা দেখতে পাই RSI ও Stochastics oscillator-টি overbought অবস্থায় ছিল এবং Parabolic SAR-ও Downtrend-এ ছিল। আমরা যদি এই তিনটি Indicators এক সঙ্গে ব্যবহার করি, তবে পরিষ্কার sell Signal পাই । আবার যদি আমরা May মাসের দিকে লক্ষ করি তবে আবারও RSI ও Stochastics oscillator-টি oversold অবস্থায় দেখতে পাই এবং আবার Buy সিগন্যাল পাই। সুতরাং যখন কোনো oscillator দীর্ঘ সময় overbought বা oversold অঞ্চলে অবস্থান করলে ধরে নিতে হবে, তখন নতুন একটি সুদৃঢ় ট্রেন্ড সৃষ্টি হচ্ছে। উপরোক্ত উদাহরণে দেখতে পাই, যেহেতু Stochastics দীর্ঘ সময় নিয়ে oversold অঞ্চলে অবস্থান করছিল, তারপর একটি সুদৃঢ় Uptrend সৃষ্টি হয়েছিল। আবার যখন overbought অঞ্চলে অবস্থান করছিল, তখন একটি সুদৃঢ় Downtrend সৃষ্টি হয়েছিল ।
Momentum
আজকে আমরা মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর নিয়ে আলোচনা করব। এই মোমেন্টাম ইন্ডিকেটরটি একটি নির্দিষ্ট সময়ে শেয়ারের মূল্য কী পরিমাণে পরিবর্তন হয়, তা পরিমাপ করে।
মূলত দুভাবে মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর ব্যবহৃত হয়:
মোমেন্টাম ইন্ডিকেটরটিকে MACD-এর মতো ট্রেন্ডকে অনুসরণ করে। যখন মোমেন্টাম ইন্ডিকেটরটি নিচে অবস্থান করে এবং ঊর্ধ্বমুখী নির্দেশ করে তখন সাধারণত ক্রয় সিগন্যাল দিয়ে থাকে। বিক্রয় সিগন্যাল দিবে যখন মোমেন্টাম ইন্ডিকেটরটি শীর্ষে অবস্থান করে এবং নিচে নেমে আসবে। আপনি হয়তো এই ইন্ডিকেটরের একটি স্বল্পমেয়াদি moving average-এর মাধ্যমে এর শীর্ষ ও নিম্ন অবস্থান নির্দিষ্ট করতে চান। যদি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর শীর্ষ অথবা নিম্ন মানে পৌঁছায় তবে যে ট্রেন্ডটি চলছিল সে ট্রেন্ডটি চলতে থাকবে, তা আপনাকে ধরে নিতে হবে। উদাহরণ, যদি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর শীর্ষের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে এবং নিচের দিকে নেমে আসে, তবে আপনি হয়তো মনে করতে পারেন যে দাম বাড়তে পারে। তাছাড়া, ট্রেডের পর মূল্যের পরিবর্তনই ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল নিশ্চিত করে (যদি দাম বেড়ে শীর্ষে পৌঁছায় এবং নিম্নগতি হয়, তবে বিক্রয়ের পূর্বে অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না দাম কমে নিচে নেমে আসতে শুরু করে)।
আপনি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটরটিকে প্রধান ইন্ডিকেটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে বাজার শীর্ষে অবস্থান করছে তা শনাক্ত করা হয় মূল্যের দ্রুত বৃদ্ধি (যখন সবাই মনে করে মূল্য আরও উপরে যাবে) এবং বাজার নিম্নসীমায় নেমে আসে, তখন তা শনাক্ত করা হয় মূল্যের দ্রুত পতনের মাধ্যমে (যখন সবাই বেরিয়ে আসতে চায়)। এটি সবসময় সংঘটিত হয়, যা একটি সাধারণ মতবাদ। ফলে এই ইন্ডিকেটরটি আপনিও আপনার টুলস বক্সে রাখতে পারেন।
Detrended Price Oscillator
টিউটোরিয়াল কর্নারে ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের ইন্ডিকেটর নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ আমরা Detrended Price Oscillator ইন্ডিকেটরটি নিয়ে আলোচনা করব। Detrended Price Oscillator ইন্ডিকেটরটি শেয়ারের মূল্য বা দামের ওঠানামাকে পর্যবেক্ষণ করে একটি ট্রেন্ড খুঁজে পেতে সাহায্য করে। আমরা যারা Ami Broker ব্যবহার করি, তারা সবাই খুব সহজেই এ ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করতে পারব। যাদের এখনো Ami Broker ইনস্টল করা নেই, তারা Ami Broker ইনস্টল করে নিতে পারেন। Detrended Price Oscillator সাধারণত ১৪ দিনের Moving Average-এর একটি Straight Line হিসেবে গণ্য হয় এবং মূল্য এই Moving Average-এর ওপরে এবং নিচে ওঠানামা করে। এটাই মূলত Detrended Price Oscillator। অন্যান্য Oscillator-এর মতো এ ইন্ডিকেটরটিও overbought এবং oversold-এর মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয়ের সিগন্যাল দিয়ে থাকে। আসুন, আমরা একটি উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটি আরও ভালোভাবে দেখি।
চিত্রে দেখা যাচ্ছে, যখন Detrended Price Oscillator ইন্ডিকেটরটি জিরো লাইনের ওপরে থাকে, তখন বুঝা যায় শেয়ারটির মূল্য Moving Average-এর উপরে আছে অর্থাৎ বুলিশ ট্রেন্ড রয়েছে। আবার Detrended Price Oscillator যখন জিরো লাইনের নিচে থাকে, তখন বুঝা যায় শেয়ারটির মূল্য Moving Average-এর নিচে আছে অর্থাৎ বিয়ারিশ ট্রেন্ড রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কখন এ ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করে শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয় করবেন? যখন দেখবেন Price Oscillator নিচের দিক থেকে Zero Line-কে অতিক্রম করছে এবং ওপরের দিকে যাচ্ছে তখনই শেয়ারটির ক্রয় করার উপযুক্ত সময়। তার অর্থ হচ্ছে শেয়ারটি বুলিশ ট্রেন্ডে রয়েছে। আবার যখন দেখবেন Price Oscillator ওপর দিক থেকে Zero Line-কে অতিক্রম করছে এবং নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে, তখনই শেয়ারটির বিক্রয় করার উপযুক্ত সময়। তার অর্থ হচ্ছে শেয়ারটি বিয়ারিশ ট্রেন্ডে চলে যাবে। এভাবে আপনি এই ইন্ডিকেটরটি শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।
Average True Range পর্ব -১ :
Average True Range indicator-টি দামের গতি ও সময় কোনোটাই নির্দেশ করে না, শুধু দাম পরিবর্তনশীলতার (volatility) ডিগ্রি নির্দেশ করে। এই indicator-গুলো সবসময় বিষয় অনুযায়ী ব্যবধান (gap) এবং limit move সড়াব দেখায়। limit move তখনই সংঘটিত হয়, যখন একটি কমোডিটি তার অনুমোদিত সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত ওঠানামা করে এবং পরবর্তী সেশন না আসা পর্যন্ত আবার ট্রেডে অংশগ্রহণ করে না। এর ফলে সৃষ্ট বার কিংবা ক্যান্ডেল স্টিক ছোট ড্যাশে পরিণত হয়। নিম্নলিখিত তিনটি value-এর উপর ভিত্তি করে True range নির্ধারিত হয়।
• চলতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্যের পার্থক্য (high & low)।
• পূর্ববর্তী সমাপ্তি মূল্য এবং চলতি (current) সর্বোচ্চ মূল্যের পার্থক্য।
• পূর্ববর্তী সমাপ্তি মূল্য এবং চলতি সর্বনিম্ন মূল্যের পার্থক্য।
যদি চলতি (current) সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের পরিধি বৃদ্ধি পায়, তবে এটি True range হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ থাকে। আর যদি চলতি (current) সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের পরিধি ছোট হয়, তবে এটি অন্য দুটি পদ্ধতির মতো True range ক্যালকুলেশনে ব্যবহৃত হয়। শেষের দিকে দুটি সম্ভাবনা তৈরি হয়, যখন পূর্ববর্তী সমাপ্তি মূল্য চলতি (current) সর্বোচ্চ মূল্যের চেয়ে বেশি থাকে। (যা limit move অথবা gap নেমে আসাকে ইঙ্গিত করে)
চিত্রে দেখতে পাই তিনটি অবস্থাতেই TR চলতি সর্বোচ্চ/সর্বনিম্ন-এর উপর নির্ভর করছে না। লক্ষ করুন, তিনটি দৃষ্টান্তেই সীমার স্বল্পতা রয়েছে এবং দুটি দৃষ্টান্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ gap পরিলক্ষিত হচ্ছে।
১. ব্যবধান (gap) বৃদ্ধি, যা একটি স্বল্প সীমা (gap) সৃষ্টি করে। পূর্ববর্তী সমাপ্তি মূল্য এবং চলতি সর্বোচ্চ মূল্যের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে TR মান নির্ণয় করা হয়।
২. ব্যবধানের (gap) হ্রস্বতা, যা একটি স্বল্প সীমা (high/low) সৃষ্টি করে। পূর্ববর্তী সমাপ্তি মূল্য এবং চলতি সর্বনিম্ন মূল্যের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে TR মান নির্ণয় করা হয়।
৩. তা সত্ত্বেও পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ/সর্বনিম্ন পরিধির মধ্যে চলতি সমাপ্তি মূল্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।
পর্ব-২ :
১ম পর্বে আমরা Average True Range নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এখন আমরা এটির calculation দেখব এবং এর ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখব। আমরা জানি, মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে calculation করা হয়। বিষয় গুলো হচ্ছে : ১. চলতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্যের পার্থক্য (high & low), ২. পূর্ববর্তী সমাপ্তিমূল্য এবং চলতি (current) সর্বোচ্চ মূল্যের পার্থক্য, ৩. পূর্ববর্তী সমাপ্তিমূল্য এবং চলতি সর্বনিম্ন মূল্যের পার্থক্য। সাধারণত ATR ১৪ দিনের ডাটার ওপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয় এবং দিনের মধ্যবর্তী সময়, দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে এটি নির্ণীত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ATR দৈনিক ডাটার ওপর নির্ভরশীল। কারণ, সবকিছুর শুরু রয়েছে, প্রথম TR value পেতে হলে সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন মূল্যকে বাদ দিতে হবে। আর প্রথম ১৪ দিনের ATR হচ্ছে দৈনিক ATR value-এর গড়, যা আগের ১৪ দিনে সংঘটিত হয়েছিল। এর পরে Wilder (ইন্ডিকেটরটির জনক) ডাটাকে আরও সঠিকভাবে পেতে পূর্ববর্তী ATR value যুক্ত করেছেন। ২য় ও পরবর্তী ১৪ দিনের ATR value-এর ক্যালকুলেশন নিচে বর্ণিত হলো।
১. পূর্ববর্তী ১৪ দিনের ATR-কে ১৩ দিয়ে গুণ, ২. একেবারে চলতি ATR value যুক্ত করতে হবে, ৩. ১৪ দ্বারা বিভাজন করতে হবে। চিত্রে আমরা ATR বিষয়টি দেখতে পাচ্ছি। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন, যখন ATR ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল Average True Range-এর তুলনায় এবং শেয়ারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছিল। আবার যখন ATR নিম্নমুখী হয়ে উঠেছিল Average True Range-এর তুলনায় এবং শেয়ারটির দামও কমে যাচ্ছিল। এভাবে একটি শেয়ারের ATR খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়।
Reversal Candle stick Pattern
আজ আমরা Reversal Pattern-গুলো সম্পর্কে জানব। Reversal Pattern-গুলো সাধারণত বিপরীত সংকেত প্রকাশ করে থাকে অর্থাৎ এই Candle stick-গুলো যদি upward ট্রেন্ডে দেখা যায়, তবে সেটি downward সংকেত দিয়ে থাকে এবং যদি downward ট্রেন্ডে দেখা যায়, তবে সেটি upward সংকেত দিয়ে থাকে।
১. Long-legged Doji : এই রেখাটি সবসময় একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে। এটি তখনই সংঘটিত হয় যখন প্রারম্ভিক ও সমাপ্তি মূল্য একই থাকে এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্যের দূরত্ব পারস্পারিকভাবে অধিক হয়।
২. Dragon-fly Doji : এই রেখাটিও পরিবর্তনের আভাস দেয়। এটি তখনই সংঘটিত হয়, যখন প্রারম্ভিক ও সমাপ্তি মূল্য একই থাকে এবং সর্বনিম্ন মূল্য প্রারম্ভিক, সর্বোচ্চ ও সমাপ্তি মূল্যের চেয়ে কম থাকে।
৩. Gravestone Doji : এই রেখার মাধ্যমেও আমরা পরিবর্তনের আভাস পাই। এটি আমরা দেখতে পাই যখন প্রারম্ভিক, সমাপ্তি ও সর্বনিম্ন মূল্য একই অবস্থানে থাকে এবং সর্বোচ্চ মূল্য প্রারম্ভিক, সমাপ্তি ও সর্বনিম্ন মূল্যের চেয়ে বেশি থাকে।
৪. Four Price Doji : এই কেন্ডেল স্টিকটির কোনো সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন কোনো মূল্য থাকে না, শুধু প্রারম্ভিক এবং সমাপনী মূল্য থাকে। এই প্রারম্ভিক এবং সমাপনী মূল্যের মধ্যেও কোনো ব্যবধান থাকে না।
৫. Star : স্টারগুলো রিভার্সেলের ইঙ্গিত দেয়। একটি বড় রেখার (রিয়েল বডি) পর এই রেখাটি ছোট দেহ নিয়ে আবির্ভূত হয়। যখন এটি বিয়ারিশ প্যাটার্নের পর আবির্ভূত হয়, তখন তা downtrend নির্দেশ করে এবং বুলিশ প্যাটার্নের পর আবির্ভূত হয়, তখন তা uptrendনির্দেশ করে। তবে স্টারটির অবশ্যই ছায়া থাকতে হবে, অন্যথায় এটি স্টার হিসেবে গণ্য হবে না।
৬.Doji star : স্টারটি রিভার্সেলের এবং ডজিটি সিদ্ধান্তহীনতা নির্দেশ করে। যদিও এটি অনিশ্চিত সময়ে রিভার্সেলের ইঙ্গিত দেয়। ট্রেড করার পূর্বে এই ডজি দেখার পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
Bearish Candle Stick Pattern
আজ আমরা Bearish Pattern-গুলো সম্পর্কে জানব।
১. Long black (filled-in) line : এটি একটি বিয়ারিশ রেখা। একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রারম্ভিক মূল্য সর্বোচ্চের কাছাকাছি থেকে শুরু হয়ে সর্বনিম্ন মূল্যের কাছে গিয়েই শেষ হয়।
২. Hanging man : এই রেখাগুলো বিয়ারিশ, যা uptrend-এর পর সৃষ্টি হয়। যদি এই রেখাগুলো downtrend-এর পর তৈরি হয়, তবে আমরা একে hammer বলব। এদের ছোট শরীর (প্রারম্ভিক মূল্য ও সমাপ্তি মূল্যের অল্প পার্থক্য) এবং নিচের দিকে লম্বা ছায়া (সর্বনিম্ন মূল্য প্রারম্ভিক, সর্বোচ্চ, সমাপ্তি মূল্যের চেয়েও নিচে অবস্থান করে) দেখে এদের চিহ্নিত করা যায়। এটি পূর্ণ কিংবা খালি থাকে।
৩. Dark cloud cover. এই কেন্ডেলটি একই বিয়ারিশ কেন্ডেল, যা আগের দিনের কেন্ডেলের সমাপ্তি মূল্যর ওপরে থেকে শুরু হয় এবং আগের দিনের কেন্ডেলকে ঢেকে ফেলে।
৪. Bearish engulfing lines : এটি একটি বিয়ারিশ প্যাটার্ন। সাধারণত এটি uptrend-এর পর সৃষ্টি হয় (এটি রিভার্সেল হিসেবে কাজ করে)। যখন ছোট বুলিশ (খালি) রেখাটি একটা বড় বিয়ারিশ রেখা (পূর্ণ) দ্বারা আবৃত থাকে।
৫. Evening star : এটি একটি বিয়ারিশ প্যাটার্ন, যা সম্ভাব্য শীর্ষবিন্দু নির্দেশ করে। এখানে স্টারটি রিভার্সেলের সম্ভাবনা নির্দেশ করে এবং বিয়ারিশ রেখাটি এই নির্দেশনাকে সমর্থন করে। স্টারটি পূর্ণ বা খালি থাকতে পারে।
৬. Doji star : স্টারটি রিভার্সেলের এবং ডজিটি সিদ্ধান্তহীনতা নির্দেশ করে। যদিও এটি অনিশ্চিত সময়ে রিভার্সেলের ইঙ্গিত দেয়। নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই ডজি দেখার পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
৭. Shooting star : এই প্যাটার্নটি অল্পস্বল্প রিভার্সেলের ইঙ্গিত দেয়, যা সাধারণত রেখার মিছিলের পর প্রতিভাত হয়। সর্বনিম্ন মূল্যের কাছাকাছি স্টারটি পরিলক্ষিত হয় এবং এর উপরের দিকে একটি দীর্ঘ লম্বা ছায়া থাকে।
Supply Testing
আজ আমরা জোগান (supply) নিয়ে আলোচনা করব এবং Supply Testing-এর ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখব। সাধারণত বড় বিনিয়োগকারী অথবা মার্কেট মেকাররা বাজারে একটি শেয়ারের দাম কমাতে পারে, কিন্তু তারা কখনো দাম বাড়াতে পারে না, যতক্ষণ অন্য বিক্রয়কারীরা একই সময় বিক্রয় করতে থাকেন। প্রফেশনাল ট্রেডাররা সাধারণত supply pressure শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এবং তাদের নিশ্চিত হতে হয় supply pressure পুরোপরি শেষ হয়ে গেছে। এর পরই তারা তাদের হাতে থাকা শেয়ার ট্রেড করেন। ভলিউমের পরিমাণ দেখে তারা বুঝতে পারেন, কী পরিমাণ শেয়ার বিক্রি হয়েছে। লো ভলিউম ট্রেড অর্থ হচ্ছে, little selling on the mark-down। হাই ভলিউম ট্রেডের অর্থ হচ্ছে, fact selling on the mark-down।
এই পদ্ধতিকে আবার ‘Testing’-ও বলা যায়। আপনি কখনো হাই ভলিউম অথবা লো ভলিউমে এই ‘Test’টি করতে পারেন। সাধারণত একটি সফল লো ভলিউম টেস্ট আপনাকে সংকেত দেয় মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এবং একইভাবে হাই ভলিউম টেস্ট আপনাকে সংকেত দেয় মার্কেট কিছু দিনের জন্য ঊর্ধ্বমুখী হবে, কিন্তু সেই ট্রেন্ডটি বেশি দিন থাকে না।
এবার একটি বাস্তব উদাহরণ দেখি। চিত্রে লক্ষ করুন, মে মাসের শেষের দিকে বিক্রয়চাপ বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং প্রথম কয়েক দিন পর ভলিউম কমে গিয়েছিল। তার অর্থ হচ্ছে, বাজারে জোগান (Supply) কমে গিয়েছিল এবং বিক্রেতারা আর কম দামে শেয়ার বিক্রি করতে রাজি ছিলেন না। ফলে কয়েক দিন পরই দেখুন, দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল। ঠিক একই চিত্র ছিল আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসেও। প্রায় দুই মাস যাবৎ দাম কমছিল এবং সেই সঙ্গে ভলিউমও কমছিল। একটা পর্যায় এসে দেখা গেল, বিক্রয়চাপ শেষ হয়ে গেছে। কারণ, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ভীত হয়ে তাদের অধিকাংশ শেয়ারই বিক্রয় করে দিয়েছেন। এ কারণে বাজারে বিক্রয়কারীর সংখ্যা কমে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে supply-ও কমে যায়। সুতরাং দেখা যায়, এই supply testing খুবই একটি কার্যকর পদ্ধতি।
Pushing Up through Supply
আমরা ইতোমধ্যে চাহিদা এবং জোগান (Demand & Supply) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আজ আমরা দেখবো মার্কেট মেকার অথবা আমরা যাদের মার্কেট প্লেয়ার বলি তারা কীভাবে শেয়ারের দাম পরিবর্তন করতে পারে। সাধারণত Crowed Behavior-এর জন্য আমাদের মতো সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অনেক সময় ওপরের লেভেলে আটকা পড়ে যাই। তার অর্থ হচ্ছে, Resistance লেভেল ব্রেক করতে পারে না। এই Resistance লেভেলগুলো মার্কেট মেকাররা আমাদের থেকে ভালো বুঝেন। আর তাই তারা সেই সময় নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। যখন Resistance লেভেলে বিনিয়োগকারীরা আটকে যায়, তখন কিছু বিনিয়োগকারী পেনিক সেল করেন এবং শেয়ারটির দাম আস্তে আস্তে কমে যায়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর বিক্রয়কারীর সংখ্যা কমে যায় এবং যারা সেল না করে আটকে ছিল, তারা প্রাথনা করতে থাকে দাম বাড়ার জন্য। এই সুযোগটির জন্যই প্রোফেশনাল মানি অথবা মার্কেট মেকাররা অপেক্ষা করতে থাকেন।
তারা সেই সময় খুবই কম দামে শেয়ারগুলো কিনে নেন এবং কিছুদিন অপেক্ষা করেন। তারপর আস্তে আস্তে শেয়ারটির বিক্রেতা কমে যায় এবং জোগানও (Supply) কমে যায়। ফলে চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং দাম আবার বাড়তে শুরু করে। আবার সেই Resistance লেভেলে চলে গেলে মার্কেট মেকাররা বাজারে জোগান বাড়িয়ে দেয় এবং Resistance লেভেল ব্রেক করে। যখন এই অবস্থা হয়, তখন যেসব বিনিয়োগকারী Resistance লেভেলে আটকে ছিল, তারা কিছুটা স্বস্তি পায় এবং শেয়ারগুলো বিক্রয় না করে অপেক্ষা করতে থাকে বেশি দামের আশায়। আবারও সেই Crowed Behavior-এর জন্য নতুন বিনিয়োগকারীরা ওই লেভেলে শেয়ার কিনতে থাকেন। এই সময় মার্কেট মেকাররা আবার তাদের সব শেয়ার বিক্রয় করে কিছুদিন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এভাবেই এই ধারাটি চলতে থাকে। চিত্রে লক্ষ করুন প্রথমে শেয়ারটির দাম কমেছিল। তারপর কিছু দিন Resistance লেভেলে ঘুরাঘুরি করে এবং সেই সঙ্গে বিক্রয়চাপও কমে যায়। ঠিক তার কিছু দিন পরই শেয়ারটির দাম আবার বাড়তে থাকে। এর মানেই হচ্ছে মার্কেট মেকাররা অথবা প্রোফেশনাল মানি resistance লেভেল কে Push Up করছে Supply বৃদ্ধি করে।
Market Sentiment
যেকোনো বাজারে সমপরিমাণ চাহিদা এবং যোগানের ভিত্তিতে দাম নির্ধারিত হয়। চাহিদা এবং যোগানে পরিবর্তন না ঘটলে দামে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। ভবিষ্যতের চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই নির্দিষ্ট দাম নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ ট্রেডাররা যে দামে ট্রেডে আগ্রহী এবং যা পরবর্তীতে বাজারের চাহিদার সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। এরপর আমরা দেখব কিভাবে বাজারের চাহিদা ট্রেডের ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
চাহিদার সঙ্গে বাজার ওতোপ্রতভাবে জড়িত (Measuring Expectation that Drive Market) :
এখানে সেন্টিমেন্ট টার্মটির মাধ্যমে বাজারের সামগ্রিক প্রত্যাশাকেই বোঝানো হয়েছে। প্রত্যেকের ভয় এবং আশাহত হওয়া বা লোভ এবং সন্তষ্টির মধ্য এটি বিরাজমান। একটি বিয়ার মার্কেটে ট্রেডারদের প্রত্যাশা একই হয়। বাজারের সর্বনিম্ন মূল্যের প্রতি এবং লোকসানের ক্ষেত্রে তারা ঐক্যমত পোষণ করে। যখন দাম পড়তে শুরু করে তখন কিছু কিছু অংশগ্রহণকারী আশান্বিত হয় যে দাম বাড়বে। কিন্তু দেখা যায় যে, দাম একটি নিম্নপর্যায়ে নেমে আসে। আবার বুল মার্কেটের মাঝ পর্যায়ে কারো কারো প্রত্যাশার পরিবর্তন ঘটে; অর্থাৎ দাম বাড়বে এ ব্যাপারে তারা সুনিশ্চিত; কিন্তু সবাই আশাবাদী হতে পারে না।
যখন দাম বাড়তে থাকে তখন অনেকেই ভাবে যে দাম আরও বাড়বে। এ ক্ষেত্রে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রেডে অংশ নেয় যেখানে তারা অতিমাত্রায় প্রলুব্ধ হয়। অন্যভাবে বলতে গেলে এখানে প্রত্যাশা অনেক বেশি থকে। যখন প্রত্যাশা বেশি থাকে তার মানে হলো সেখানে কেনার জন্য আর কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। যেখানে দাম আর বাড়বে না এবং সবাই তাদের কেনা শেষ করেছে তা বোঝায়।
মার্কেট সেন্টিমেন্ট পরিমাপে বিভিন্ন টেকনিক্যাল পরিমাপক ব্যবহৃত হয়। এটি নির্ণিত হয় সাধারণত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বনাম বৃহৎ বিনিয়োগকারী, জোরালো অর্থ প্রবাহ বনাম দূর্বল অর্থ প্রবাহের তুলনা করে। তুলনাগুলো আমাদের এই তথ্য দেয় যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত সবসময় সঠিক হয় না। আবার একটি উঠতি বাজারের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ট্রেডার ক্রয় করেছে এটি বোঝায় এবং আর কাউকে কেনার জন্য খুঁজে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ যেখানে চাহিদা শেষ হয়েছে, সেখান থেকেই দাম কমতে থাকে।
Identify Bullish & Bearish Volume
আজকে আমরা দেখব, কীভাবে আমরা বুলিশ এবং বিয়ারিশ ভলিউম চিহ্নিত করতে পারি। শুধু তাই নয়, আমরা এই বুলিশ ও বিয়ারিশ ভলিউম দেখে বাজারের চাহিদা ও জোগান সম্পর্কেও ধারনা পেতে পারি। যখন আপনি দেখেন বাজারে একটি শেয়ারের দাম বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে ভলিউমও বৃদ্ধি পাচ্ছে- তার মানে কী হচ্ছে? বাজারে কি চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে? হ্যাঁ, আপনি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সহজেই দিতে পারবেন, যদি আপনি ভলিউম অ্যানালাইসিস জানেন। এখন আসুন দেখি কীভাবে এই বুলিশ এবং বিয়ারিশ ভলিউম চিহ্নিত করা যায়। চিত্র - ১ এ লক্ষ করুন। দেখা যাচ্ছে, শেয়ারটির দাম বাড়ছে এবং প্রারম্ভিক এবং সমাপনী মূল্যের মধ্যে পার্থক্যের পরিমাণ বেশি এবং সেই সঙ্গে ভলিউমও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এই ভলিউমটিকে বুলিশ ভলিউম বলতে পারি। কারণ, সেই সময় বাজারে চাহিদা বেশি ছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে দামও বাড়ছিল। আবার ঠিক একইভাবে চিত্র - ২ এ লক্ষ করুন, দেখবেন শেয়ারটির দাম কম ছিল এবং প্রারম্ভিক ও সমাপনী মূল্যের মধ্যেও পার্থক্য বেশি ছিল। এবার ভলিউম দেখুন। ভলিউম কিন্তু আগের দিনের থেকেও বেশি ছিল।
এই ভলিউমটিকে আমরা বিয়ারিশ ভলিউম বলতে পারি। তার কারণ হচ্ছে দাম কমছে, সেই সঙ্গে শেয়ারের জোগানও বাড়ছে। লক্ষ করে দেখুন, আস্তে আস্তে শেয়ারটির দাম কমে যাচ্ছে। তার কারণ হচ্ছে বাজারে জোগান রয়েছে বেশি, কিন্তু সেই তুলনায় চাহিদা বাড়ছে না। ফলে বিক্রয়ের চাপ বেশি এবং দাম কমছে। সুতরাং আমরা বুলিশ এবং বিয়ারিশ ভলিউম সহজেই চিহ্নিত করতে পারব। কিছু বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে সেই বিষয়গুলো হচ্ছে, বাজারে বিয়ারিশ ভলিউম তখনই হয়, যখন প্রোফেশনাল মানি অথবা মার্কেট মেকাররা সেই শেয়ারটি কিনতে আগ্রহী হয় না এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও চাহিদা থাকে না। একইভাবে বুলিশ ভলিউম হয়, যখন দেখা যায়, প্রোফেসনাল মানি অথবা মার্কেট মেকাররা সেই শেয়ারটি কিনতে আগ্রহী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও চাহিদা থাকে।
Importance of Volume
অনেক টেকনিক্যাল অ্যানালিস্টকে আমরা ভলিউম নিয়ে কথা বলতে শুনি। আসলে ভলিউম বলতে আমরা কি বুঝি? সাধারণত ভলিউম হচ্ছে, একটি দিনের লেনদেনকৃত শেয়ারের সংখ্যা। বেশি পরিমাণের ভলিউম একটি শেয়ারের সক্রিয়তা প্রকাশ করে থাকে। ভলিউমের মুভমেন্ট বোঝার জন্য (আপ অথবা ডাউন) অ্যানালিস্টরা সাধারণত ভলিউম বার দেখে থাকেন। এই ভলিউম বারগুলো একটি চার্টের নিচের দিকে অবস্থান করে। ইচ্ছে করলে আপনি অসর Ami Broker-এ ভলিউম বারগুলো Customized করেও নিতে পারেন। এই ভলিউম বারগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে কতগুলো শেয়ার লেনদেন হয়েছিল এবং ট্রেন্ডটি কেমন ছিল সেটি প্রকাশ করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ভলিউম বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন এবং এই ভলিউম অ্যানালাইসিস করে আপনার কী লাভ হবে। হ্যাঁ ভলিউম টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এই ভলিউমই একটি ট্রেন্ড এবং চার্ট প্যাটার্নগুলোকে নিশ্চিত করে থাকে। দাম যদি ঊর্ধ্বমুখী অথবা নিম্নমুখী হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে বেশি পরিমাণ ভলিউমও দেখতে পাওয়া যায়। আপনি যদি দেখেন, একটি শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়ছে, কিন্তু সেই সাথে ভলিউম সেই পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে না, তখন আপনি ধরে নিতে পারেন এই দাম বৃদ্ধিটি একটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি দিন টিকবে না। ধরুন, আপনি দেখলেন, একটি শেয়ার অনেক দিন ডাউন ট্রেন্ডে থাকার পর হুট করে একদিন ৫% দাম বৃদ্ধি পেল। আপনি কি এই বৃদ্ধিকে একটি রেভারসাল ট্রেন্ড ধরবেন? এ ক্ষেত্রে ভলিউম অ্যানালাইসিস আপনাকে সাহায্য করবে। যদি ভলিউম আগের দিনগুলোর থেকে বেশি হয়, তবে আপনি এটিকে রেভারসাল ট্রেন্ড হিসেবে ধরতে পারেন। কিন্তু যদি ভলিউম আগের দিনগুলোর থেকে বেশি না হয়, তবে আপনার বুঝতে হবে, এটি কোনো রেভারসাল ট্রেন্ড নয়। সুতরাং ভলিউমের সম্পর্ক সব সময় ট্রেন্ডের সঙ্গে। যখন দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে, তখন ভলিউমও বৃদ্ধি পাবে। যখন দাম নিম্নমুখী থাকবে, তখন ভলিউমও কম থাকবে। কিন্তু যদি এই ভলিউম এবং ট্রেন্ডের মধ্যে সাদৃশ্য না থাকে, তবে এটি একটি দুর্বল ট্রেন্ড বলে বিবেচিত হয়।
Demand Factor
শেয়ারবাজারে চাহিদা ও জোগান (ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই) বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসে আপনি ভলিউম ও দামের গতি দেখে সহজেই বিষয়টি ধরতে পারবেন। একজন বিনিয়োগকারী অথবা অ্যানালিস্ট ডিমান্ড ও সাপ্লাই বিবেচনা করে মার্কেটে ঢুকবেন কি ঢুকবেন না নির্ধারণ করে থাকেন। সেই সঙ্গে আরও কিছু বিবেচ্য বিষয় রয়েছে। যেমন- analysis of trading volume, price action and price spreads। শেয়ারবাজার আপনার কাছে আরও সহজ ও বোধগম্য হয়ে উঠবে, যখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন বাজার কি ঊর্ধ্বমুখী হবে, না নিম্নমুখী থাকবে। এ জন্য আপনাকে দুটি বিষয় সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখতে হবে। একটি হচ্ছে Lack of demand Ges Supply। এই Lack of demand হচ্ছে।
সামাউন খালিদ কলিন্স