Friday, September 27, 2013

বঙ্গভবন [বাংলাদেশ]

0 comments
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন নামে পরিচিত। স্থাপনাটি দেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। প্রাসাদটি মূলত ব্রিটিশ ভাইসরয় অব ইন্ডিয়ার অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্থাপনাটি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
ইতিহাসে বাংলার সালতানাতের আমলে বঙ্গভবন যে স্থানে তা ছিল হজরত শাহ্জালাল দাখিনি নামক ঢাকার এক সুফি সাধকের। সুলতানের চরের দ্বারা সুফি সাধক এবং তার অনুসারীরা নিহত হলে তাদের এখানে কবর দেওয়া হয়। স্থানটি দ্রুত সাধকের ভক্তদের মাঝে মাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে থাকে। বঙ্গভবন এলাকায় 'মানুক হাউস' নামে একটি ইমারত ছিল। জনশ্রুতি আছে ব্রিটিশ রাজত্বের সময় আর্মেনীয় জমিদার মানুকের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। ঢাকার নবাব খাজা আবদুল গণি মানুকের কাছ থেকে স্থানটি কিনে নেন এবং এখানে একটি বাংলো তৈরি করেন। যার নাম দেওয়া হয় দিলখুশা। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম সরকার এ স্থানটি কিনে নেয় এবং একটি প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করে, যা ১৯১১ সাল পর্যন্ত ভারতের গভর্নর জেনারেলের অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯১১ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রাসাদটি গভর্নর হাউস নামে পরিচিত ছিল এবং বাংলার গভর্নরের অস্থায়ী বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্ম হয় এবং প্রাসাদটি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের বাসভবনে পরিণত হয়। ভবনটি বেশ কয়েকবার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৬৪ সালে ভবনটির পুনঃনির্মাণ শেষ হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি গভর্নর হাউসের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গভবন করা হয়। ওই দিনই আবু সাঈদ চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধানিক রাষ্ট্রপতি হন এবং এ ভবনটি রাষ্ট্রপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ও ভবনটি রাষ্ট্রপতির বাসভবন ছিল। বঙ্গভবন বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চিহ্ন, বঙ্গভবন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনের সমমর্যাদা বহন করে। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে এর পরিচর্যা করা হয়, কারণ এটি একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং এ সময় এটি জনসংযোগ মাধ্যমসমূহ ও পর্যটকদের মধ্যমণিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে এখানে আমজনতার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এ প্রাসাদে বসবাস এবং কাজ করে থাকেন। এখানে প্রায়ই বিভিন্ন সভা, সম্মেলন, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করা হয়।
নকশা : ব্রিটিশ আমলে ঢাকায় স্থাপিত অন্যান্য স্থাপত্যের মতো বঙ্গভবনও অনেকটা ভিক্টোরিয়া স্থাপত্যে নির্মিত। ১৯৬১ এবং ১৯৬৪ সংস্কারের পর এখানে ইসলামী স্থাপত্য ও বাঙালি স্থাপত্যের সমন্বয় ঘটানো হয়।

- তানভীর আহমেদ

স্কলস ভেলব্যু [জার্মানি]

0 comments
Schloss Bellevue
বার্লিনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভবন স্কলস ভেলব্যু। শুধু আকারেই বড় নয়, এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য সবাইকে মুগ্ধ করে। ১৯৯৪ সাল থেকে জার্মানির রাষ্ট্রপতি বাসভবন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর নির্মাণ শুরু হয় ১৭৮৬ সালে। ফিলিপ ড্যানিয়াল নামক এক আর্কিটেক্ট এর নকশা করেন। তখন এটি গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটানোর জন্য ব্যবহৃত হতো। অনেকেই এই বিশাল বাড়িটি ভাড়া নিয়ে ছুটি কাটাতেন। পরবর্তী সময়ে এটি ঐতিহাসিক বাসভবন হিসেবে আলাদা গুরুত্ব পায়। এটি জার্মানির নিউক্লাসিক্যাল ভবনগুলোর প্রথম উদাহরণ হওয়ায় স্থাপত্যশিল্পীদের দুই নয়নের মণি। প্রায় ২০ একর জমিজুড়ে এই প্রাসাদটি নির্মিত হয়েছিল। ১৯১৮ সালের আগে এটি রাজাদের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ১৯৪৫ মে মাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি মারাত্দকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থাপত্যশৈলীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন ভেঙে যাওয়ায় এটি পুনঃনির্মাণের প্রয়োজন পড়ে। ১৯৫০ সালে এটি আবার নতুন করে ঠিক করা হয়। ১৯৫৭ সালের পর থেকে এটি জার্মানির চ্যান্সেলর ভবন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় এটি নকশা পাল্টে নতুন করে নির্মিত হয়েছে। ১৯৮৭ সালের পর ২০০৪-২০০৫ সালেও এর একটি বড় অংশ পুনঃনির্মাণ করা হয়। এই ভবন যতটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে অনেক বেশি হলো একটি ঐতিহাসিক ভবন হিসেবে।

- তানভীর আহমেদ

ক্রেমলিন [রাশিয়া]

0 comments
ক্রেমলিন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন। ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য ক্রেমলিন দুর্গটি মস্কোর সেরা আকর্ষণের একটি। বিশ্বের অন্যতম সামরিক ক্ষমতাধর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র ছিল এটি। এখন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির বাসভবন হওয়ায় আবার নতুন করে বিশেষ মর্যাদায় আসীন হয়েছে ক্রেমলিন। এটি মস্কো নদীর তীরে অবস্থিত। প্রাচীনকালে এটি মস্কোর দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। ক্রেমলিনে মোট চারটি আলাদা আলাদা প্রাসাদ রয়েছে। এর মধ্যে ক্রেমলিন প্রাচীর এবং ক্রেমলিন টাওয়ারও রয়েছে। ইভান এই ক্রেমলিন নির্মাণের প্রাথমিক কাজটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি মস্কোর ক্রেমলিনে হেলিপ্যাড নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। রুশ রাষ্ট্রপতি মিগ-৮ হেলিকপ্টারে চড়ে এখন খুব সহজেই ক্রেমলিনে যেতে পারেন। ভবনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকায় এর গায়ে কোনো বিশেষ সংবেদক যন্ত্র বসানো হয়নি। মাত্র কয়েকদিন আগেই খবর এসেছিল ক্রেমলিন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন নেপোলিয়ন। এসব আলোচনার কারণেই ক্রেমলিন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আমেরিকার সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের সময় ক্রেমলিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে থাকে ক্রেমলিনের দিকে।


- তানভীর আহমেদ

রাষ্ট্রপতি ভবন [ভারত]

0 comments
বিশ্বের অন্যতম আলোচিত রাষ্ট্রপতি ভবন হিসেবে ভারতে রাষ্ট্রপতি ভবনের কথা উঠে আসে প্রথম দিকেই।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে ভারতীয় এই রাষ্ট্রপতি ভবনের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। প্রায় ৪০ একর জমিতে নির্মিত ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনটি চারতলা। এ ভবনটিতে রয়েছে ৩৪০টি কক্ষ। প্রতিটি তলায় রয়েছে লাইব্রেরি। এ ছাড়াও রয়েছে ৭৪টি লবি, ১৮টি সিঁড়ি, ১৭টি ঝরনা। ভারতীয় রাষ্ট্রপতির বাসভবনটি যেন ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় ভবনটি এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন। দেশটির ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এখন ভবনটির বাসিন্দা। ভারতীয় উপ-মহাদেশের ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট পঞ্চম জর্জ দিলি্লতে ভারতের রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দিলি্লকে রাজধানী শহরের আদলে গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওই সময়ের প্রখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডউইন ল্যান্ডসার লুটিয়েনসের হাতে। রাইসিনা হিল হয়ে উঠল এক নতুন নগরী হিসেবে। পরিকল্পনা কমিশন ১৯১২ সালে সে সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিশ্বরের জন্য প্রাসাদ তৈরির উদ্যোগ নেয়। আর তখনই রাইসিনা হিলে এ ভবনটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য ব্রিটিশ সরকার অনুমোদন দেয় চার লাখ পাউন্ডের। প্রথমে চার বছরের মধ্যে ভবনটি নির্মাণ শেষ হবে বলে মনে করা হলেও এতে লেগে যায় হয় প্রায় ১৭ বছর। হিন্দু, বৌদ্ধ, মোগল, গ্রিক, রোমান স্থাপত্যে নির্মিত প্রাসাদটি তৈরি করেন প্রায় ২৯ হাজার শ্রমিক। রাষ্ট্রপতি ভবনের ৩৪০টি কক্ষের অন্যতম হচ্ছে ইয়েলো ড্রইং রুম। এখানে মন্ত্রিসভা, স্পিকারসহ সাংবিধানিক মর্যাদাসম্পন্ন পদের ব্যক্তিরা শপথ নেন রাষ্ট্রপতির কাছে। রয়েছে ভোজঘর। এখানে ১০৪ আসনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে আলো ঝলমল অশোক হল। এ ঘরের মেঝে কাঠের তৈরি। এখানে বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। রাজ্যপ্রধানদের দেখা করার জন্য রয়েছে নর্থ ড্রইংরুম। রাষ্ট্রপতি ভবনের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে দরবার হল। একসময় এখানে ছিল সিংহাসন। যেখানে ব্রিটিশ অধিপতি বসতেন। আজ আর সেখানে সেই সিংহাসন নেই। সিংহাসনের স্থানে এসেছে কারুকার্যখচিত চেয়ার। আর রাষ্ট্রপতি ভবনের পেছনেই রয়েছে আর্কষণীয় বাগান; যা মোগল গার্ডেন নামে পরিচিত। এ বাগানে রয়েছে ২৫০ রকমের গোলাপ এবং দেশি-বিদেশি হাজার রকমের ফুল। এ ছাড়া এখানকার হার্বাল গার্ডেনটিও চমৎকার। আলোচিত রাষ্ট্রপতির বাসভবনের ভেতর বেশ ব্যয়বহুল আয়োজন রয়েছে। এসব অতিরিক্ত ব্যয় কমানোর জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব কারণে প্রশংসিত হচ্ছে রাষ্ট্রপতি ভবন।

হোয়াইট হাউস [মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]

0 comments
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ভবনের গুরুত্বও তাই অনেক বেশি। হোয়াইট হাউস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ভবন। এ ভবনের নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৩ অক্টোবর ১৭৯২ সালে। প্রায় ২২০ বছর আগে এর নকশা তৈরি করেন স্থপতি জেমস হোবান। হোয়াইট হাউস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির দাফতরিক বাসভবন। ওয়াশিংটন ডিসির পেনসিলভানিয়া এভিনিউয়ে অবস্থিত বাসভবনটি ১৭৯২ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। জন অ্যাডামসের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব রাষ্ট্রপতিই এ বাসভবনে ছিলেন। আয়ারল্যান্ডের নাগরিক হোবানের অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর এটি একটি। ১৮০১ সালে টমাস হোয়াইট হাউসে উঠলে, তিনি ভবনের সামনের দিকের অংশ প্রসারিত করেন। তিনি ভবনটির সামনে দুটি স্তম্ভসারি তৈরি করেছিলেন। ১৮১৪ সালে যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী হোয়াইট হাউসকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে, এ সময় বাসভবনটির পুরো অভ্যন্তরের অংশ এবং বাইরের বেশ খানিকটা ধ্বংস হয়ে যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পুনঃনির্মাণ শুরু হয়। ১৮১৭ সালের অক্টোবরে জেমস মনরো এ আংশিক নির্মিত ভবনে ওঠেন। এদিকে ভবনের নির্মাণ কার্যক্রম চলতে থাকে। ১৮২৪ সালে ভবনের দক্ষিণ ভাগের এবং ১৮২৯ সালে উত্তরদিকের স্তম্ভগুলো নির্মিত হয়। ১৯০৯ সালে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফট ভবনের দক্ষিণ অংশ সম্প্র্রসারিত করেন এবং সর্বপ্রথম ওভাল অফিস প্রতিষ্ঠা করেন। ওভাল অফিস পরবর্তীতে ভবনের সম্প্র্রসারণের কারণে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। তৃতীয় তলার চিলেকোঠাটি ১৯২৭ সালে বাসযোগ্য করে তৈরি করা হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানের অভ্যর্থনার জন্য ভবনটির পূর্বদিকে একটি অংশ তৈরি করা হয়। তৈরিকৃত উভয় অংশই জেফারসনের নির্মিত স্তম্ভসারির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির বাসভবন নিয়ে কম লেখালেখি হয়নি। বিশেষ করে স্থাপত্যশৈলী নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের রাষ্ট্রপতি থাকেন এ ভবনে। পৃথিবীর বিখ্যাত ও প্রাচীন ভবন হোয়াইট হাউস। আমেরিকার স্বাধীনতার পর থেকে সব রাষ্ট্রপতিরই বাসভবন হয়ে ওঠে এটি, একমাত্র জর্জ ওয়াশিংটন ছাড়া, যিনি ছিলেন এর রূপকার। যদিও ১৯০১ সালে থিয়োডোর রুজভেল্ট তার ব্যবহৃত নিজস্ব কাগজপত্রে, ব্যক্তিগত প্যাডে হোয়াইট হাউস নামটি ছাপিয়ে ব্যবহার করার পর থেকেই সরকারিভাবে এ নামটি চালু হয়। তার প্রথম তলায় ক্লোক রুম, চায়না রুম, কিচেন, লাইব্রেরি আর দোতলায় ফেডারেল স্টেটরুম ইত্যাদি অবস্থিত। আর রয়েছে বিখ্যাত ব্লু-রুম আর রেডরুম। এখানে রাষ্ট্রপতিরা তাদের পরিবারবর্গ, সরকারি কর্মী ও এক সুশিক্ষিত আত্দরক্ষাবাহিনী নিয়ে বাস করেন। এটি শুধু রাষ্ট্রপতিদের বাসস্থানই নয়, অফিসও। প্রায় ১৮ একর জমিতে প্রসিদ্ধ বাগান রয়েছে ১৬০০ পেনসিলভানিয়া এভিনিউতে অবস্থিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই বাসভবনে।

প্রাচীন শহর পেত্রা

0 comments
পৃথিবীর নানা প্রান্তরে রয়েছে বাহারি রকমের শহর। যে শহর গুলো নিজের গুনে, বৈশিষ্ট্যে অনন্য। বিভিন্ন শহর বহন করছে নিজের ঐতিহ্য। কিন্তু কিছু শহর একেবারেই ব্যতিক্রমধর্মী। এসব শহরের মধ্যে একটি শহরের নাম পেত্রা।

পেত্রা একটি প্রাচীন আরবের একটি শহর। বর্তমান জর্দানের দক্ষিণ-পশ্চিমের গ্রাম ওয়াদি মুসার ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান। ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতাইন রাজ্যের রাজধানী।

পেত্রা নগরী মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ ছিল। এটি বিখ্যাত এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলোর জন্য। এটি তৈরি হয়েছে গুহার মধ্যে যা কোথাও কোথাও মাত্র ১২ ফুট চওড়া, মাথার ওপরে পাথরের দেয়াল। গুহার পাশেই রয়েছে কঠিন পাথরের দেয়ালের গায়ে গ্রথিত সেই প্রাচীন দালানগুলো। যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল 'খাজনেত ফিরাউন' নামের মন্দিরটি। মন্দিরটি ফারাওদের ধনভাণ্ডার নামেও পরিচিত। আরো রয়েছে একটি অর্ধগোলাকৃতির নাট্যশালা যেখানে প্রায় ৩০০০ দর্শক একসাথে বসতে পারে।
সৌন্দর্য্য প্রাকৃতিক কারুকার্য এমন সব কিছু মিলিয়েই পেত্রা বিশ্ববাসীর কাছে একটি বিশেষ জায়গা। আর তাই প্রতিদিন এখানে বহু পর্যটক আসেন। পর্যটকরা ঘুরে-ফিরে দেখেন এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। সবাই অবিভূত হন পেত্রার পারিপার্শ্বিক দৃশ্য দেখে। দেশ-বিদেশে তাইতো পেত্রার খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে। আরব দেশে যেসব পর্যটক আসেন তাদের অধিকাংশই এই পেত্রার সান্নিধ্য নিয়েছেন। প্রাচীন এই আরব শহর পেত্রা তাইতো সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

ভাসমান মসজিদ, মরক্কো

0 comments
প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের কথা শুনলে মনে হয় বিশাল এক বাগান যেন শূন্যে ঝুলে আছে আর বাতাসে দোল খাচ্ছে। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। তেমনি দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভেসে আছে কিন্তু আসলে ভেসে নেই, এমন একটি মসজিদ আছে মরক্কোয়। বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান এ মসজিদটি তৈরি করেছেন কাসাব্লাঙ্কা শহরে। মসজিদটির নির্মাণ কাজ করেছেন ফরাসি কোম্পানি বয়গিসের প্রকৌশলীরা। আর এর নকশা তৈরি করেছিলেন বাদশা হাসানের ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ। মসজিদটিকে যে কারণে ভাসমান মসজিদ বলা হয় সেটি হলো মসজিদটির তিনভাগের একভাগ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর অবস্থিত। দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয়, ঢেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে আর মুসল্লিরা যেন নামাজ পড়ছেন পানির ওপর। মসজিদটি কিন্তু ছোটখাটো নয়। এখানে প্রায় ১ লাখ মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। এর মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার! আর মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। মসজিদের ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট পরপর যান্ত্রিকভাবে খুলে যায়। ফলে মসজিদের ভেতরে প্রাকৃতিক আলো ও মুক্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে। তবে বৃষ্টির সময় ছাদটি খোলা হয় না।
মসজিদটি এতই বড় যে, এর মূল কাঠামোর ভেতরে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা সেন্ট পিটার্সকেও অনায়াসে বসিয়ে দেওয়া যাবে। ২২.২৪ একর জায়গার ওপর অবস্থিত এ মসজিদের মূল ভবনের সঙ্গেই আছে লাইব্রেরি, কোরআন শিক্ষালয়, ওজুখানা এবং কনফারেন্স রুম। ২৫০০ পিলারের ওপর স্থাপিত এ মসজিদের ভেতরের পুরোটাই টাইলস বসানো। শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও আবার সোনার পাত দিয়ে মোড়া। মসজিদ এলাকার আশপাশে সাজানো আছে ১২৪টি ঝরনা এবং ৫০টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালের আগস্টে। প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পীর দিনে দুই শিফট শ্রমের ফলে প্রায় সাত বছরে নির্মিত হয় এ মসজিদ। মসজিদটির উদ্বোধন করা হয় ১৯৯৩ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর দিনে। বিলাসবহুল এ মসজিদটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে তত্কালীন ৮০ কোটি ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা!

হেলসিঙ্কি, ফিনল্যান্ড

0 comments
একটি ওয়ালেট কুড়িয়ে পেলে আপনি সেটা রেখে দেবেন নাকি মালিককে ফিরিয়ে দেবেন?

এই বিষয় নিয়ে নতুনভাবে চালানো এক জরিপে দেখা গেছে বিশ্বের অন্যান্য শহরের তুলনায় ফিনল্যান্ডের শহর হেলসিঙ্কির বেশির ভাগ জনগণ ওয়ালেটটি ফিরিয়ে দেবে। হেলসিঙ্কি শহরে ফেলে রাখা ১২টি ওয়ালেটের মধ্যে ১১টি ফেরত এসেছে।

রিডারস ডাইজেস্ট ম্যাগাজিনের একটি প্রজেক্টের অংশ হিসেবে বিশ্বের ১৬টি শহরে ওয়ালেট ফেলে রাখা হয়েছিল এটা দেখার জন্য যে, কয়টি ফেরত আসে।
ফেলে রাখা প্রতিটি ওয়ালেটে ফোন নম্বর, একটি পারিবারিক ছবি, বিজনেস কার্ড, কূপন এবং ৫০ মার্কিন ডলার বা ৩১ ইউরো করে রাখা ছিলো।

জরিপ শেষে ফলাফলে দেখা যায়, ভারতের মুম্বাই দ্বিতীয় স্থান লাভ করা সৎ মানুষের শহর যেখানে ১২টির মধ্যে ৯টি ওয়ালেট ফেরত এসেছে। এরপরেই রয়েছে হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটি, যেখানে ১২টার মধ্যে ৮টি ফেরত এসেছে।

এ তালিকায় পর্তুগালের লিসবন সবচেয়ে বেশি অসৎ মানুষের শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে । সেখানে ১২টির মধ্যে মাত্র একটি ওয়ালেট ফেরত এসেছে।

Monday, September 9, 2013

বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষা শিক্ষা

0 comments
যারা যারা বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষা শিক্ষা করতে চান তারা নিচের টেবিল থেকে দেখে নিতে পারেন ।
In EnglishBishnupriyanglishআমার ঠারে
Hi ! How are you ?Kihan he ! Kisade kita ?কিহান হে ! কিসাদে কিতা ?
Where your home ?Kurang tor ghor go ?কুরাঙ তর ঘরগো ?
Nice to meet you.Tor loge miliya nungai lagil.তর লগে মিলিয়া নুঙেই লাগিল ।
Excuse me, What's your name ?Githanok/Girokgo , Tor nanghan kihan ?গিথানক/গিরকগো তর নাঙহান কিহান ?
Now what do you do ?Epaga ti kita kortei go ?এপাগা তি কিতা করতেইগো ?
You are so nice .Ti khub chuna osot.তি খুব চুনা অসত ।
I tell himMe tare matlu.মি তারে মাতলু ।
I came yesterday.Me gelga kali aahisugo he.মি গেলগা কালি আহিসুগোহে ।
Where do you live?Ti kurang thaq go?তি কুরাঙ থারগো ?
It's Black.Ehan kalahan.এহান কালা হান ।
It's a baby.Egote sougo.এগোতে সৌগো ।
Father & MotherEma baro Babaইমা বারো বাবা ।
It's mean !Ehar mane !এহার মানে !
Small/TallHurkang/Dangorহুরকাঙ/দাঙর
My Village.Mor ganghan.মর গাঙহান ।
Writting a Letter.Chithi ahan lenkorani.চিঠি আহান লেঙকরানি ।
He is Swiming.Ta Hinar.তা হিনার
He is working.Ta kam korer.তা কাম করের ।
Back Home .Ghore Jaga.ঘরে যাগা ।
New wonder.Nuwa mitleng.নুয়া মিল্লেঙ ।
Edit it !Potik !পতিক
Nice dream.Hoba Hopon.হবা হপন ।
My AffectionateMor thoi go.মর থৈ গো ।
LoveVana Nungsi/Hadapanaভানা নুঙশী/হাদাপানা
Telling LanguageTotoranir vasaটটরানির ভাষা

Friday, September 6, 2013

রহস্যময়ী ম্যাগনেটিক হিল ও স্পুক হিল

0 comments
কেমন হয় বলুন তো, যদি আপনার গাড়িটি এমনি রেখে দিলেন আর তা নিজে নিজে গড় গড় করে বিনা বাধায় ২০০ গজ মতো উপরে উঠে গেল! কী হতে পারে, যাদু না রহস্য? কি বিশ্বাস হচ্ছে না? পুরো ব্যাপারটা নিয়ে চ্যালেজ্ঞ ছুড়ে দেওয়া যেতে পারে আপনার কাছে। কারণ, ঘটনা কিন্তু পুরোপুরি সত্য। আমরা কথা বলছি মনকটন শহরের উত্তরে অবস্থিত চুম্বক পাহাড় বা ম্যাগনেটিক হিলকে নিয়ে। পাহাড়টি কানাডার নিউ বার্নসউইক প্রদেশে অবস্থিত। এই পাহাড়ের নিচে কোন গাড়ি রাখলে তা নিজে নিজে উপরে উঠে যায়।
রহস্যের শুরু ১৮৮০ সালে। যখন ছোটখাট ওয়াগনগুলো এমনি ওপরে উঠে যেত। ১৯৩৩ সালে খবরটি প্রথম ছাপা হলো স্থানীয় সিন্ট জন টেলিগ্রাফ জার্নালে। রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামলেন বিশেষজ্ঞরা। মনকটন শহরের প্রতিটি পাহাড়ে চললো অনুসন্ধান। পেরিয়ে গেল পাঁচ পাঁচটি ঘন্টা কিন্তু কোন ফলাফল নেই। শেষমেশ একেবারে বাড়ী যাওয়ার পথে দেখা গেল বিস্ময়কর কান্ড। নির্দিষ্ট একটি জায়গায় তাদের গাড়িটা বিনা বাধায় পাহাড়ের উচ্চভাগের দিকে উঠে গেল। চোখ পড়ল রাস্তার পাশের পানির উৎসটার দিকে। মাধ্যকার্ষণ নীতি অমান্য করে সেটাও বয়ে চলেছে ওপরের দিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকার চুম্বক পাহাড়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রুপান্তরিত করলেন। আজকাল অবশ্য এর আশপাশে গলফ কোর্স, চিড়িয়াখানা, রেলওয়েসহ অনেই কিছুই গড়ে উঠেছে। ২০০২ সালে ম্যাগনেটিক হিল পার্ক জিতে নেয় কানাডার সেরা আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থানের পুরস্কার। এখন এই পাহাড়ের রহস্য উপভোগ করতে আপানাকে কিছু খরচ করতে হবে। তারপর আপনার গাড়িটাকে ওই স্থানটাতে রেখে দিন এবং দেখুন কি হয়! আপনার গাড়িটি পাহাড়ের নিচ থেকে নিজে নিজে উঠে যাবে পাহাড়ের উপরে। রাস্তার পাশের ড্রেনের পানির দিকে নজর দিতে ভুলবেন না কিন্তু। দেখবেন পানিও বয়ে চলেছে উপরের দিকে।

এই রকম আরেকটি পাহাড় হলো ফ্লোরিডার লেক ওয়ালসের স্পুক হিল। বিশ-ত্রিশ লাখ বছর আগে এটি ছিল একটি দ্বীপ। আর আজ স্পুক হিল দুনিয়ার অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক এসে ভিড় করেন এখানে। এখানে এলে প্রথমেই আপনার চোখ পড়বে পথের ধারের সাইনবোর্ডটির দিকে। এতে লেখা আছে এক অদ্ভূত উপকথা। লেক ওয়ালস একটি ইন্ডিয়ান গ্রাম। বহু বছর আগে এই গ্রামে প্রচন্ড উপদ্রব ছিল গ্যাটার দস্যূদের। গ্রামের প্রধান ছিলেন একজন যোদ্ধা। যুদ্ধে দস্যুদের মেরে ফেললেন তিনি। যা থেকে জন্ম নিল একটি ছোট্ট লেক। লেকের উত্তর পাশে দাফন করা হয়েছিল সেই মহান যোদ্ধার মৃতদেহ। তখনকার দিনে চিঠি-পত্র আনা-নেওয়া করার পথে রানারদের নজরে পড়লো প্রথম এই ব্যাপারটি। তাদের ঘোড়াগুলোকে উপর থেকে নিচে নামার পথে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হচ্ছে। কী যেন ঘোড়াগুলোকে উপরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সেই থেকে জায়গাটির নাম হয়ে গেল স্পুক হিল। যার বাংলা অর্থ ভুতুড়ে পাহাড়। অনেকে বলে আজও সেই দস্যুরা প্রতিশোধ নেয়ার রাস্তা খুঁজছে এবং সেই যোদ্ধা এখনও লড়াই করে চলেছে।

Wednesday, September 4, 2013

ভাত খাওয়ার পর যে পাঁচটি কাজ করবেন না

0 comments
পৃথিবীতে অন্তত তিনশ কোটি মানুষের প্রধান খাবার ভাত ৷চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যরক্ষায় ভাত খাবার পর পাঁচটি কাজ করতে অনুৎসাহিত করেন। এগুলো হলো:

১. ভাত খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে বা ১/২ ঘণ্টা পর ফল খাবেন। কেননা, ভাত খাওয়ার পরপর কোনো ফল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

২. সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলে যতখানি ক্ষতি হয়, ভাত খাওয়ার পর একটি সিগারেট বা বিড়ি তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করে। তাই ধূমপান করবেন না।

৩. চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে। তাই ভাত খাওয়ার পর চা খাবেন না।
৪. বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না। খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেস্টাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ বেঁকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন বলা হয়। কেউ বেশি খেতে চাইলে আগে থেকেই কোমরের বাধন ঢিলা করে নিতে পারেন।

৫. গোসল করবেন না। ভাত খাওয়ার পরপরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে, ফলে খাদ্য হজম হতে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী লাগবে।

Tuesday, September 3, 2013

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস

0 comments
৩ মে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস“। মূলত সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ করা, বিশ্বব্যাপী সকল গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবন দানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ এবং তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক জাতিসংঘ ১৯৯৩ সাল থেকে এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মূলত বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে ১৯৯৩ সাল থেকে ‘৩ মে’ পালিত হয়ে আসছে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’। ১৯৯১ সালে নামিবিয়ার উইন্ডহকে অনুষ্ঠিত ‘ডিকারেশন অন প্রমোটিং ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যান্ড প্লুরালিস্টিক মিডিয়া’ শীর্ষক সেমিনারের উপর ভিত্তি করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে এ দিবসটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মূল্য লক্ষ্য ছিল, বিশ্বব্যাপী স্বাধীন, অবাধ ও বহুমাত্রিক শক্তিশালী গণমাধ্যম ও তথ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের অগ্রগতি ও সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা।