Friday, October 30, 2015

সঠিকভাবে টয়লেটে না বসলে ঘটতে পারে স্বাস্থ্যহানি

0 comments
আধুনিক যুগে এমন অনেক কিছু ব্যবহারে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেছে যা আগে ছিল না। যেমন হাই-কমোড। আগে মানুষ দুই পায়ে ভর দিয়ে মলত্যাগ করতে বসত। এতে পয়ঃনিষ্কাশন নালি থাকত প্রসারিত। হাই-কমোডে বসার কারণে যা সংকুচিত থাকে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য, অশ্বরোগ, কোলন ক্যান্সারসহ শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি ইজরায়েলের জার্নাল অব মেডিক্যাল সায়েন্স এমন গবেষণা তথ্য প্রকাশ করে।

এতে বলা হয় হাই-কমোডে যেবভাবে বসা তাতে পায়ু পথের সঙ্গে সংযুক্ত নালি সংকুচিত হয়। ফলে সব মল সরাসরি বের হয়ে আসতে পারে না। যা জমা থাকে ওই নালিতে। ধীরে ধীরে যা ক্ষরণের কারণ ঘটায়। এতে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়।

এছাড়া কমোডে ভর দিয়ে বসার ফলে মূত্রাশয়ের নালিও সংকুচিত থাকে। যা পূর্ণ মূত্র ত্যাগে বাধার সৃষ্টি করে। বিশেষত নারীদের রজঃস্রাবকালীন সমস্যা আরও তীব্র হয়। সরাসরি পায় ভর দিয়ে বা সনাতন পদ্ধতিতে বসলে শ্রোণী অঞ্চলে চাপ বৃদ্ধি পায়। যাতে পস্রাব অথবা ঋতৃকালীন রক্ত সম্পূর্ণ বের হতে পারে না। এতে করে অভ্যন্তরে রক্ত জমা থাকে। যা থেকে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। এর নাম স্টাফিলোককাস। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান তৈরি করে শরীরের অভ্যন্তরে।

ইসরায়েলি চিকিৎসক বার্কভ সিকিরভ ২০ বছরের গবেষণায় দেখেছেন হাই-কমোড ব্যবহারকারীদের অনেকেই বাথরুমেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন।

জাপানীরা এখনও সনাতন পদ্ধতিতেই মল-মূত্র ত্যাগ করে থাকে। উল্লেখ্য তাদের আয়ুও বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বেশি। তারা অনেকটা প্রাকৃতিক উপায়ে বসা যায় এমন কমোড ব্যবহার করে থাকেন

How does the toilet bowl destroy your health

সঠিকভাবে টয়লেটে না বসলে ঘটতে পারে স্বাস্থ্যহানি#toilet #Health

Posted by জ্ঞান কোষ on Friday, 30 October 2015

Thursday, October 29, 2015

কব্জি, হাত এবং বাহু স্ট্রেচিং

0 comments
এগুলো শুধু হাতের গঠনই সুন্দর করে না, সারা দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। এতে হাতের কবজি এবং বাহুও দৃঢ় হবে যা অন্যান্য ব্যায়ামগুলো করতে দরকারী। কব্জিতে শক্তি থাকলে অন্যান্য ব্যায়াম করতেো সুবিধা হবে এবং অযথা ব্যথার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

আঙুল বন্ধ:

এটা কোন যন্ত্রপাতি ছাড়াই করতে পারেন। হাত টান করে তালু মুখের বিপরীতে রেখে আঙুলগুলো উপরে তুলে দিন। এবার অন্য হাতের আঙুল এটার উপর দিয়ে ধীরে ধীরে পিছনের দিকে কিছুক্ষণ টানুন। এক হাত হয়ে গেলে আবার অন্য হাতের বেলায়ও এভাবে করুন। এক এক করে প্রতি হাতের জন্য কমপক্ষে তিনবার করে করুন।

কব্জির মোচড়:

এটা করতে ডামবেল বা বারবেল দরকার হবে। বেঞ্চ বা চেয়ারে ঝুঁকে বসুন। দুইহাত উরুর উপর টান করে দিন। এবার হাতে বারবেল (দুইহাতে) বা ডামবেল (একহাতে) নিয়ে কব্জিতে ধীরে ধীরে উপরের নিচে মোড়চ দিন। ১৫ বার করে ৩ সেট দিন।
হাতের তালু উপরের দিকে বা নিচের দিকে- দুভাবেই করতে পারেন।

হাতের মুঠির ব্যায়াম:

প্লাস্টিকের নরম ছোট এক ধরনের বল পাওয়া যায় যাকে স্ট্রেচ বল বলে। এছাড়া আরো অনেক টুলস আছে। বল হাতের মধ্যে নিয়ে ধীরে ধীরে চাপ দিয়ে ১০ সেকেণ্ড ধরে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে মুঠি খুলুন। এভাবে যতবার পারেন, করবেন।
স্ট্রেচ বল না পেলে টেনিস বল নিয়ে বা খালি হাতেও করতে পারেন।

উপরের ব্যায়ামগুলো যখনই সময় পান, যে অবস্থাতেই থাকেন না কেন- তখনই যতক্ষন ইচ্ছে করতে পারেন।

চেয়ার ডিপ/ বেঞ্চ ডিপ

এটাতে মেশিনের দরকার নাই। শুধু একটা চেয়ার বা বেঞ্চ হলেই হয়।
প্রথমে চেয়ার বা বেঞ্চের কিনারে বসবেন। দুই হাতের তালু দিয়ে বেঞ্চের কিনার চেপে ধরবেন। দুই হাতের দূরত্ব কাঁধের দুরত্বের সমান হবে। পা দুটো একটু সামনে টান করে দিন।
এবার হাতের উপর ভর দিয়ে শরীরের উপরি ভাগ নিচু করুন যাতে কনুই ৯০ ডিগ্রী পর্যন্ত বাঁকা হয়। হাতের উপর ভর দিয়ে শরীর আবার টান করে ফেলুন। এসময় কনুই সোজা হয়ে যাবে, তবে বিশ্রাম নিতে কনুই লক করে ফেলবেন না। এভাবে যতগুলো পারেন, করবেন। মোট ৩-৫ সেট দেবেন। সেটের মাঝে ২ মিনিট করে বিশ্রাম নেবেন।
প্রথমে হয়তো ৬-৮টার মতো পারবেন। ধীরে ধীরে ১৫টি করে দেয়ার চেষ্টা করবেন।

পুশ-আপ/ বুকডন

হাতের উপর ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো মাঝে দুরত্ব ৬ থেকে ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। আপনার যেভাবে সুবিধা হয় এবং এবং বুকের উপর যাতে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে ততটা দুরত্ব হাত বুকের কাছে রাখুন। পুরো শরীর টান থাকবে।
এবার হাতের উপর ভর দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ধীরে ধীরে শরীরের উপরি ভাগ উপরে তুলুন। এসময় হাতের কনুই সোজা হয়ে যাবে। শরীরের নিচের ভাগের ভর পায়ের আঙুলের উপর থাকবে।
নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে ধীরে ধীরে শরীর আবার নিচে মেঝের কাছাকাছি নামিয়ে ফেলুন। দেখবেন শরীর যেন মেঝেতেস্পর্শ না করে। এভাবে একবার ওঠানো এবং একবার নামানোতে একটু বুকডন গননা হবে। যতগুলো পারুন, দিন।
এভাবে ৩-৫ সেট দেয়ার চেষ্টা করুন। প্রতি সেটের মাঝে ২ মিনিট বিশ্রাম নেবেন।

ইনভার্টেড পুশ-আপ

যাদের শরীরের উপরিভাগ ততটা শক্তিশালী নয় এবং বুকডন দিয়ে খুব কষ্ট হয়, তারা এটা দিয়ে শুরু করতে পারেন। এটা যখন সময় পাবেন তখনই করতে পারেন।
দেয়াল থেকে ২/৩ ফুট দূরে সরে দাঁড়ান। দেয়ালে দুইহাত ঠেকিয়ে ঝুঁকে পড়ুন। হাত কাঁধের সমান্তরাল থাকবে। ঝুঁকে পড়ার সময় পায়ের গোড়ালি একটু উপরে উঠে গেলেও সমস্যা নাই।
বাকিটা বুকডনের মত করে করতে থাকুন।

বেঞ্চ প্রেস


এটাতে ডামবেল বা বারবেল লাগবে।
বেঞ্চের উপর টান হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা মেঝেতে বা বেঞ্চের উপর রাখতে পারেন। হাতে ডামবেল নিয়ে বুকের উপর তুলে ধরুন।
নিঃশ্বাস নিতে নিতে ধীরে ধীরে ডামবেল বুকের কাছাকাছি নামিয়ে আনুন। আবার নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে ওজন উপরে তুলে ধরুন। কনুই পুরো টান করবেন না, হালকা বাঁকিয়ে রাখবেন। নিতম্ব যেন শুণ্যে উঠে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন, তবে পিঠের মাঝে হালকা বাঁকা হলে সমস্যা নাই।
এভাবে ৮-১০টি করে ৩-৫ সেট দিন। প্রতি সেটের মাঝে ২ মিনিট বিশ্রাম নিন।
খেয়াল রাখবেন, ওজন যেন আপনার শরীরের উপর না পড়ে যায়। ওজন বেশি নিলে মাথার কাছে একজনকে দাঁড়িয়ে সাহায্য করতে বলতে পারেন।
শুরুতে হালকা ওজন দিয়ে করবেন।

ডামবেল ব্যায়াম

0 comments
ডামবেল নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যায়াম
জিমে যাওয়ার সময় নেই বলে হতাশায় ভোগারও কোনো যুক্তি নেই। দুটি ডামবেল নিয়ে বাড়িতেই করতে পারেন উপকারী অনেক ব্যায়াম। এ নিয়ে কিছু ব্যায়ামের কথা আমরা আগেও জানিয়েছি। আজ ডামবেল নিয়ে আরো কিছু ব্যায়ামের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক। ব্যায়ামগুলো একেবারেই সহজ। এ জন্য ট্রেনিং সেন্টারে বা জিমে যেতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ঘরেই করতে পারেন সহজ এই ব্যায়ামগুলো। শুরুতে প্রয়োজন নেই ভারী ডামবেলেরও। হালকা দুটি ডামবেল দিয়েই শুরু করা যেতে পারে সহজ এ ব্যায়ামগুলো। ব্যায়ামের শুরুতে ডামবেলের ওজন ৬ থেকে ৮ কেজি হওয়া উচিত। কিছুদিন পর ওজন বাড়িয়ে ৮ থেকে ১২ কেজি করতে হবে। পরে অ্যাডভান্স অবস্থায় ১২ থেকে ১৬ কেজি নিয়ে অনুশীলন করতে হবে। শুরুতে ১৫ মিনিট করে করবেন। এরপর ধীরে ধীরে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন ব্যায়ামগুলো। অবশ্যই একটানা না করে বিরতি নেবেন কয়েক মিনিট পর পর।

আয়রন ক্রস
* লাঠিতে দুই হাতে দুটি ডামবেল নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে হাত সোজা অবস্থায় মাথার ওপর তুলতে হবে।
* ধীরে ধীরে হাতে ধরা ডামবেল নিচে নামাতে হবে। হাত কাঁধ বরাবর আসার পর থামতে হবে, আবার ওপরে তুলতে হবে। এভাবে কয়েকবার অনুশীলন করুন।

ওয়ান লেগ রোমানিয়ান ডিডলিফট
* দুই হাতে দুটি ডামবেল নিয়ে এক পায়ে ভর দিয়ে এমনভাবে দাঁড়াতে হবে, ডামবেল দুটি যেন শরীরের দুই পাশে থাকে।
* এবার কোমর বাঁকিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকতে হবে, যেন ডামবেল দুটি দুই হাতে ঝুলতে থাকে।