আধুনিক যুগে এমন অনেক কিছু ব্যবহারে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেছে যা আগে ছিল না। যেমন হাই-কমোড। আগে মানুষ দুই পায়ে ভর দিয়ে মলত্যাগ করতে বসত। এতে পয়ঃনিষ্কাশন নালি থাকত প্রসারিত। হাই-কমোডে বসার কারণে যা সংকুচিত থাকে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য, অশ্বরোগ, কোলন ক্যান্সারসহ শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি ইজরায়েলের জার্নাল অব মেডিক্যাল সায়েন্স এমন গবেষণা তথ্য প্রকাশ করে।
এতে বলা হয় হাই-কমোডে যেবভাবে বসা তাতে পায়ু পথের সঙ্গে সংযুক্ত নালি সংকুচিত হয়। ফলে সব মল সরাসরি বের হয়ে আসতে পারে না। যা জমা থাকে ওই নালিতে। ধীরে ধীরে যা ক্ষরণের কারণ ঘটায়। এতে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া কমোডে ভর দিয়ে বসার ফলে মূত্রাশয়ের নালিও সংকুচিত থাকে। যা পূর্ণ মূত্র ত্যাগে বাধার সৃষ্টি করে। বিশেষত নারীদের রজঃস্রাবকালীন সমস্যা আরও তীব্র হয়। সরাসরি পায় ভর দিয়ে বা সনাতন পদ্ধতিতে বসলে শ্রোণী অঞ্চলে চাপ বৃদ্ধি পায়। যাতে পস্রাব অথবা ঋতৃকালীন রক্ত সম্পূর্ণ বের হতে পারে না। এতে করে অভ্যন্তরে রক্ত জমা থাকে। যা থেকে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। এর নাম স্টাফিলোককাস। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান তৈরি করে শরীরের অভ্যন্তরে।
ইসরায়েলি চিকিৎসক বার্কভ সিকিরভ ২০ বছরের গবেষণায় দেখেছেন হাই-কমোড ব্যবহারকারীদের অনেকেই বাথরুমেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন।
জাপানীরা এখনও সনাতন পদ্ধতিতেই মল-মূত্র ত্যাগ করে থাকে। উল্লেখ্য তাদের আয়ুও বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বেশি। তারা অনেকটা প্রাকৃতিক উপায়ে বসা যায় এমন কমোড ব্যবহার করে থাকেন
How does the toilet bowl destroy your healthসঠিকভাবে টয়লেটে না বসলে ঘটতে পারে স্বাস্থ্যহানি#toilet #Health
Posted by জ্ঞান কোষ on Friday, 30 October 2015
0 comments:
Post a Comment