এটিএম শব্দের অর্থ হচ্ছে “Automated Teller Machines” সোজা বাংলা কথায় আমরা
বলতে পারি টাকার মেশিন । কি অদ্ভুত মনে হচ্ছে ? আসলে এটিই সত্যি ধীরে ধীরে
বিষয়টি পরিস্কার করছি ।
বর্তমান বিশ্বে ব্যাংক গ্রাহকের ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহে সাত দিন এবং বছরের
বার মাস ননস্টপ ব্যাংকিং এর চাহিদার কথা মাথায় রেখে “Automated Teller
Machines” বা এটিএম এর জন্ম হয়েছে । বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছোট্ট একটি
স্থানে এধরনের বুথ তৈরি করা হয় যার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে
ব্যাংকসমুহ ।
এটিএম এর মাধ্যমে ব্যাংকের গ্রাহক যেমন ননস্টপ ব্যাংকিং করতে পারছে
তেমনি ব্যাংকের তাদের অফিসে অতিরিক্ত লোকবল খাটানোর প্রয়োজন হচ্ছে না এবং
এর মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা ব্যাংকিং করা সম্ভব হচ্ছে খুবই সহজে তাই এটি
বিশ্বব্যাপী একটি খুবই জনপ্রিয় পদ্ধতি ।
এটিএম ব্যাবহারের সবচেয়ে বেশি সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে আপনি বিশ্বের
যেকোনো প্রান্ত থেকে বিশ্বের যেকোনো ব্যাংকের অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন ।
বর্তমানে এটিএম ভিসা, মাস্টারকার্ড, এমেরিকান এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন গেটওয়ে
সমর্থন করে থাকে ।
এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য ব্যাবহার করা হয় বিশেষ একধরনের
প্লাস্টিক কার্ড । এই প্লাস্টিক কার্ডে বসান হয় বিশেষ একধরনের সেন্সর
যেটিকে আমরা বলে থাকি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড যা আপনার একটি চলমান ব্যাংক ।
দিন গড়ানোর সাথে সাথে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ব্যাবহার।
বিশেষ করে নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি নেই বলে এর জনপ্রিয়তা উত্তরত্তর বৃদ্ধি
পাচ্ছে।
শুধু তাই নয় এই কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে পন্য ক্রয় বিক্রয় থেকে শুরু করে
বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদনা করা সম্ভব হচ্ছে । ডেবিট বা
ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে স্পস্ট ধারনা না থাকায় আমরা অনেক সময় বুঝতে পারিনা
এর পার্থক্য । নিম্নে ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হল।
এটিএম মেশিনের কার্যপ্রণালী
আমরা হাতের ডান দিকে একটি পূর্ণাঙ্গ এটিএম মেশিনের চিত্র দেখতে পাচ্ছি।
লক্ষ্য করুন এখানের নির্দিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো মার্ক করা হয়েছে
লাল কালি দ্বারা।
১, চিত্রের লাল কালি দ্বারা মার্ক করা ১ নম্বর অংশটি হচ্ছে মনিটর বা ডিসপ্লে বলা হয় ।
২, ডিসপ্লের বাম পার্শ্বে অর্থাৎ ২ নম্বর অংশটিতে বেশ কিছু বাটন যুক্ত
রয়েছে যেখানে আমরা মেনু বা বেশ কিছু সেটিং পরিবর্তন করতে পারি । যেমন ধরুন
বাই ডিফল্ট ইংরেজি ভাষা রয়েছে আপনি ভাষা পরিবর্তন করে বাংলা করতে চাইছেন
তাহলে এই বাটন গুলো আপনার কাজে আসবে ।
৩,তিন নম্বর অংশটিতে আমাদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড প্রবেশ করাতে হবে এই
অংশটির একটু উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন সচিত্র একটি কার্ডের ছবি দেওয়া
হয়েছে ঠিক সেইভাবে কার্ড প্রবেশ করাতে হবে ।
৪, চার নম্বর অংশটি আমাদের প্রধান অংশ এখানে মোবাইলের মত ০ থেকে ৯
পর্যন্ত সংখ্যা এবং সাবমিট, ব্যাক ইত্যাদি বাটন রয়েছে । আপনার কার্ড
প্রবেশের পরে মনিটরে আপনার পিন নম্বর চাইবে তাই পিন নম্বরটি এই বাটনগুলোর
সাহায্যে লিখুন এবং সাবমিট করুন । অর্থ উত্তোলন বা ব্যাল্যান্স চেক ইত্যাদি
অপ্সহন এর ভেতরেই পাবেন ।
৫, ৫ নম্বর অংশের মাধ্যমে আপনার লেনদেনের প্রতিবেদন রিসিভ আকারে প্রিন্ট
হয়ে থাকে তাই অর্থ উত্তোলনের পরে এখান থেকে স্লিপটি সংগ্রহ করুন ।
৬, আপনি যদি অর্থ উত্তোলনের কমান্ড দেন তবে মেশিন আপনার চাহিদার সমপরিমান অর্থ এই অংশ অর্থাৎ ৬ নম্বর জায়গা দিয়ে প্রদান করবে ।
৭, এখানে লুকানো ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন এবং স্পীকার রয়েছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
কখনোই ভুল পাসওয়ার্ড তিন বার প্রবেশ করাবেন না এতে করে আপনার কার্ডটি এটিএম মেশিনে আটকে যেতে পারে ।
পিন নম্বর কখনোই কোথাও সংরক্ষণ করে রাখবেন না ।
এটিএম থেকে কিভাবে টাকা তুলবেন
অনেক নতুন ব্যাবহারকারি রয়েছেন যারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার
করেন কিন্তু এটিএম থেকে কিভাবে টাকা তুলতে হয় সেবিষয়ে জানেননা তাদের জন্য
এই নিবন্ধটি খুবই সহায়ক হবে ।
কাজের প্রয়োজনে আমাকে প্রায় এটিএম ব্যাবহার করতে হয় কিছুদিন পূর্বে আমি
প্রায় ১০০০০ টাকা এটিএম থেকে উত্তোলন করলাম এবং আপনাদের কাছে ব্যাক্তিগত
অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করছি কিভাবে এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করা যায় ?
নিম্নে পর্যায়ক্রমে বা ধাপে ধাপে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হল
১, প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশের এটিএম সেবা প্রদানকারী ব্যাংকসমুহের যেকোনো একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে ।
২, অতঃপর ব্যাংক থেকে এটিএম কার্ড সংগ্রহ করতে হবে ।
৩, আপনার বর্তমান ব্যাল্যান্স সম্পর্কে ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা এটিএম থেকে ব্যাল্যান্স পরিক্ষা করে নিন । ( এটিএম থেকে ব্যাল্যান্স পরিক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন রকমের ফি গ্রহন করে থাকে )
৪, আপনার পার্শ্ববর্তী কোন এটিএম বুথ খুজে নিন।
৫, অতঃপর এটিএম মেশিনের ভিতরে আপনার কার্ড প্রবেশ করান ।
৬, এটিএম মেশিন আপনার কাছ থেকে পিন নাম্বার চাইবে বাটনের সাহায্যে আপনার পিন নাম্বার টাইপ করুন এবং এন্টার চাপুন ।
৭, আপনি কত টাকা উত্তোলন করতে চান তা বাটনের সাহায্যে লিখুন আপনার ট্রান্সাকশন পিন চাইলে তা দিন ব্যাস ।
৮, কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন দেখবেন এটিএম মেশিন আপনার উল্লেখিত পরিমান অর্থ বের করে দিয়েছে এখন টাকাটি গুনে নিন ।
৯, অর্থ উত্তোলনের পরে একটি ট্রান্সাকশন রিপোর্ট মেশিনের এক প্রান্ত থেকে বের হয়ে আসবে তা ভবিষ্যতের জন্য নিজের কাছে সংগ্রহ করুন ।
১০, নিজের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডটি মেশিন থেকে সংগ্রহ করুন ।
সিকিউরিটির স্বার্থে আমি আমার কার্ডের সংখ্যা বা নাম্বার অস্পষ্ট করে প্রকাশ করেছি। আপনি যদি একজন কার্ড ব্যাবহারকারি হয়ে থাকেন তবে নিজের কার্ডের নাম্বার তথা যেকোনো সিকিউরড তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন এবং সুরক্ষিত থাকুন।
নিম্নে পর্যায়ক্রমে বা ধাপে ধাপে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হল
১, প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশের এটিএম সেবা প্রদানকারী ব্যাংকসমুহের যেকোনো একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে ।
২, অতঃপর ব্যাংক থেকে এটিএম কার্ড সংগ্রহ করতে হবে ।
৩, আপনার বর্তমান ব্যাল্যান্স সম্পর্কে ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা এটিএম থেকে ব্যাল্যান্স পরিক্ষা করে নিন । ( এটিএম থেকে ব্যাল্যান্স পরিক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন রকমের ফি গ্রহন করে থাকে )
৪, আপনার পার্শ্ববর্তী কোন এটিএম বুথ খুজে নিন।
৫, অতঃপর এটিএম মেশিনের ভিতরে আপনার কার্ড প্রবেশ করান ।
৬, এটিএম মেশিন আপনার কাছ থেকে পিন নাম্বার চাইবে বাটনের সাহায্যে আপনার পিন নাম্বার টাইপ করুন এবং এন্টার চাপুন ।
৭, আপনি কত টাকা উত্তোলন করতে চান তা বাটনের সাহায্যে লিখুন আপনার ট্রান্সাকশন পিন চাইলে তা দিন ব্যাস ।
৮, কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন দেখবেন এটিএম মেশিন আপনার উল্লেখিত পরিমান অর্থ বের করে দিয়েছে এখন টাকাটি গুনে নিন ।
৯, অর্থ উত্তোলনের পরে একটি ট্রান্সাকশন রিপোর্ট মেশিনের এক প্রান্ত থেকে বের হয়ে আসবে তা ভবিষ্যতের জন্য নিজের কাছে সংগ্রহ করুন ।
১০, নিজের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডটি মেশিন থেকে সংগ্রহ করুন ।
- এটিএম এর ভিতরে অবৈধ কিছু করার চেস্টা করবেন না যেমন মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত করা ইত্যাদি তাহলে বিপদে পড়বেন কারন এটিএম বুথে ২৪ ঘন্টা লুকানো ক্যামেরার সাহায্যে মনিটরিং করা হয় এবং বাহিরে সর্বদা সিকিউরিটি গার্ড থাকে।
- এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলনের পড়ে অবশ্যই মেশিন থেকে আগত ট্রান্সাকশন রিপোর্টটি সংগ্রহ করুন।
- এটিএম ব্যাবহারের পূর্বে ব্যাংকের ফি সম্পর্কে সচেতন থাকুন ।
- ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড কখনোই মানিব্যাগে রাখবেন না । এতে করে কার্ডটি নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে ।
সিকিউরিটির স্বার্থে আমি আমার কার্ডের সংখ্যা বা নাম্বার অস্পষ্ট করে প্রকাশ করেছি। আপনি যদি একজন কার্ড ব্যাবহারকারি হয়ে থাকেন তবে নিজের কার্ডের নাম্বার তথা যেকোনো সিকিউরড তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন এবং সুরক্ষিত থাকুন।
0 comments:
Post a Comment