Monday, March 16, 2020

পৃথিবীতে যুগে যুগে যত মহামারী

1 comments
আমেরিকা যখন জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমা ফেলে, তখন মুহুর্তেই তা মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়। এ কাজের জন্য যেমন দোষের ভাগিদার হতে হয়েছে আমেরিকাকে, তেমনি এর খেসারতও গুনতে হচ্ছে।
বর্তমানে করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক না পরীক্ষাগরে তৈরী করে ছড়ানো তা নিয়ে এক রকম মতভেদ রয়েছে।তবে বিষয় যাই হোক না কেন পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা একে মহামারী ঘোষণা দিয়েছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম সভ্যতা মিসরীয় মমির গায়েও বসন্ত রোগের চিত্র পাওয়া গেছে। ইতিহাসের বহু পুরনো মিসরের ফারাওরা বিশ্বকে এক সময় শাসন করতো। তাদের ক্ষমতা ও বীরত্বে পুরো দুনিয়া কাঁপতো।সেই ফারাও নামক মিসরীয় গোষ্ঠী ধবংস হয়েছে গুটি বসন্তে।

খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০ এ গ্রিসের ফুসফুস নামে খ্যাত এথেন্সে বসন্ত রোগে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়, যা ছিল ওই নগরের ২০ শতাংশ।

যে রোমান সভ্যতা ২৫০ খ্রিষ্টাব্দে চিকিৎসায় ব্যাপক সুনাম ছিল। প্লেগ মহামারী পুরো সাম্রাজ্যকে বিপর্যস্ত করে দেয়।পরবর্তী দুই শতাব্দীতে বিউবনিক প্লেগে প্রায় ১০ কোটি মানুষ মারা যায়। এই রোগ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় ছড়ায়।৬০০ শতকের প্রথমার্ধে পুরো দুনিয়ায় ৪০%মানুষ মারা যায় প্লেগ রোগে। ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর মহামারী বলা হয় একে। মানুষের মরা পচা দুর্গন্ধ বাতাস দূষিত হয়। পশুপাখি, কীট পতঙ্গ সব মারা যায়। একই সময় প্লেগ রোগে বাইজানটাইন সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়।গ্রীনল্যান্ডের প্রতাপশালী ভাইকিং জলদস্যুরা এই মহামারির ফলে সমুদ্রে তাদের নিয়ন্ত্রণ হারায়।

৬শ থেকে ৭শ শতকে দুনিয়াব্যাপী ফ্রক্স, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টাইফয়েড, অজানা রোগে ৯০% মানুষ মারা যায়। উনিশ শতকে তামাম দুনিয়া ইনফুয়েঞ্জা নাড়িয়ে দেয়।

আফ্রিকান দাসের মাধ্যমে ১৫১৯ সালে ইউরোপে প্রবেশ করে স্পলপক্স। বর্তমান মেক্সিকোতে স্মলপক্স ছড়িয়ে পড়লে দুই বছরে মারা যায় প্রায় ৮০ লাখ মানুষ।১৬৩৩ সালে ফ্রান্স, গ্রেট বৃটেন ও নেদারল্যান্ডসবাসীদের মাধ্যমে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে স্পলপক্স ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ২ কোটি মানুষ মারা যায় বলে দাবি করেন ইতিহাসবিদরা।

১৬৬৫ সালের শেষের দিকে বৃটিশ সৈনিকদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কলেরায় ভারতবর্ষ ছাড়াও স্পেন, আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, জাপান, ইতালি, জার্মানি ও আমেরিকায় দেড়শ বছরের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি মানুষ কলেরায় মারা যায়।

১৭৯৩ সালে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় ইয়েলো ফিভার মহামারী আকার ধারণ করে। এতে নগরের ১০ ভাগের এক ভাগ, প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ মারা যায়।

১৮৫৫ সালের দিকে চীন, হংকং ও ভারতে প্রায় দেড় কোটি মানুষ প্লেগে ভুগে মারা যান। ১৯১৮ সালে শুরু হওয়া স্প্যানিশ ফ্লুতে পৃথিবীতে মারা যায় ৫ কোটি মানুষ।

১৭২০ সালে দুনিয়া জুড়ে ২০ কোটি মানুষ শুধু মাত্র প্লেগ রোগে মারা যায়। তার ১০০ বছর পর ১৮২০ সালে শুধুমাত্র ভারত ও পূর্ব এশিয়া কলেরা রোগে মারা যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। এবং আফ্রিকা ইউরোপে বসন্ত রোগে মারা যায় ৩৫ লক্ষ মানুষ। তারও ১০০ বছর পর ১৯২০ সালে দুনিয়া জুড়ে মারা যায় ৫ কোটি মানুষ। ১৮৬০ সালে আধুনিক যুগে প্লেগ ছড়ায় এতে চীন, ভারত ও হংকংয়ে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। পরে ১৮৯০ এর দশকে প্লেগের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন হয়। বিশ শতকের সবচেয়ে বড় প্লেগ মহামারী দেখা দেয় ১৯১০ সালে। চীনের মাঞ্চুরিয়ায় দুই বছরে মারা যায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।বিশ্বজুড়ে ১৯১৮ সালে গ্রেট ফ্লু মহামারী রূপ নেয়। এতে দুই বছরে সারা বিশ্বে মারা যায় ৩ কোটির বেশি মানুষ।
১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সাল সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ভয়াবহ এই মহামারীকে তখন নাম দেওয়া হয় ‘স্প্যানিশ ফ্লু’।

আমেরিকায় ১৯৫২ সালে পোলিওতে আক্রান্ত হয় প্রায় ৬০ হাজার শিশু, এতে তিন হাজারের বেশি মারা যায়।প্রথম এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয় ১৯৮৪ সালে। এই ভাইরাসের কারণে এইডস রোগে সে বছরই আমেরিকায় মারা যায় ৫,৫০০ জন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। আর এ পর্যন্ত এইডসে মারা গেছে আড়াই কোটির বেশি মানুষ।

সার্স বা সিভিয়ার একিউট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম এ ২০০২ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৩ সালের জুলাইয়ের মাঝে ১৭টি দেশে ৭৭৪ মানুষের প্রাণ সংহার করেছিল। বিশ্বজুড়ে ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু বা এইচ ওয়ান এন ওয়ান ফ্লুতে ১৮,৫০০ জন মারা গেছে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ৭৫ হাজার বলেও ধারণা করা হয়। হাইতিতে ২০১০ সালে ভয়ংকর এক ভূমিকম্পের পর কলেরা মহামারী রূপ নিলে ১০ হাজার মানুষ মারা যায়। ২০১২ সালে ভাইরাসজনিত রোগ হামে মারা যায় ১ লাখ ২২ হাজার মানুষ। সে বছর পুরো বিশ্বে ব্যাকটেরিয়া সংক্রামক রোগ টিউবারকিউলোসিসে মারা যায় ১.৩ মিলিয়ন মানুষ। এছাড়া প্রতি বছর টাইফয়েড জ্বরে মারা যাচ্ছে ২ লাখ ১৬ হাজার মানুষ।

মার্স বা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয় এবং সেখানে আক্রান্তদের ৩৫শতাংশ মারা যায়। সৌদি আরব ছাড়াও এর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে ওমান, আরব আমিরাত, মিসর ইত্যাদি মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কটি দেশে। ধারণা করা হচ্ছে, মানবদেহে এই ভাইরাস এসেছে উট থেকে। কাতার, ওমান, সৌদি আরব ও মিসরে উটের রক্তেও মার্স ভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়া সৌদি আরবে বাদুড়ের রক্তেও পাওয়া গেছে এই ভাইরাস। মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাস ছড়িয়েছে হাঁচি, কাশি, নিকট অবস্থান ইত্যাদি থেকে।

নিপাহ ভাইরাস বাদুড় থেকে পশুপাখি ও মানুষের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে। ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ায় শূকরের মধ্যে প্রথম এ রোগ চিহ্নিত হওয়ার পর সেখানকার কৃষি শহর নিপাহ'র নামে ভাইরাসটির নামকরণ হয়েছে। পশুপাখি থেকে প্রায় তিনশ মানুষের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে যার মধ্যে অন্তত একশ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইবোলা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুই অবধারিত। ১৯৭৬ সালে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়।ইবোলা ভাইরাসের পাঁচটি ভিন্ন নাম রয়েছে - ইবোলা-জায়ারে, ইবোলা-সুদান, ইবোলা-আইভোরি কোস্ট, ইবোলা-রেস্টন এবং ইবোলা-বুন্দিবুগিও। এ নামকরণগুলো ছড়িয়ে পড়া এলাকার নামানুসারে হয়েছে। ভয়ংকর এই ইবোলাভারাসে মৃত্যুহার ৫০ শতাংশের মতো।পশ্চিম আফ্রিকায় ২০১৪ সালে ইবোলা জ্বরে মারা যায় অন্তত ১১,৩০০ জন।
২০১৯ সালে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ইবোলা ভাইরাসে ২ হাজার ৯০৯ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১ হাজার ৯৫৩ জন প্রাণ হারায়। এখনও এই ভাইরাসের কোনো কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি করা যায়নি।

জিকা ভাইরাস উগান্ডার জিকা ফরেস্ট এলাকায় বানরের মধ্যে ১৯৪৭ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়। তবে আফ্রিকা ও এশিয়ায় এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। মশার মাধ্যমে দ্রুত এ ভাইরাসটি ছড়ায়। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে এমন কোনো রোগীকে এডিস মশা কামড়ানোর মধ্য দিয়ে এর স্থানান্তর হয়। পরে ওই মশাটি অন্য ব্যক্তিদের কামড় দিলে তা ছড়াতে থাকে। এরপর ওই ব্যক্তিদের মাধ্যমেই ভাইরাসটির বিস্তার ঘটতে থাকে।

প্যারিসের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর সারাবিশ্বে জলাতঙ্কের আক্রমণে প্রাণ হারায় ৫৯ হাজার মানুষ। সংক্রমিত প্রাণীর লালায় রেবিজ বা জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাস বিচরণ করে।

মারবুর্গ ভাইারাস ইবোলা ভাইরাসের চেয়ে কম মারাত্মক। জার্মানির একটি শহরের নামে এই ফিলোভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে। উচ্চ মারণক্ষমতা অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশ আক্রান্ত মানুষ এ ভাইরাসে মারা যায়। মারবুর্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পঞ্চম বা সপ্তম দিনে সংক্রমিত ব্যক্তির প্রচণ্ড জ্বর এবং সেই সঙ্গে রক্তবমি, মলের সঙ্গে রক্ত, নাক, দাঁতের মাড়ি এবং যোনিপথে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ অসুস্থতার পরে পুরুষদের মধ্যে অর্কিটিস নামক অণ্ডকোষের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। তবে এই ভাইরাস খুব সহজে সংক্রমিত হয় না।

সেসব প্রাণী মানুষকে কামড়ালে মানুষ সংক্রামিত হয়। তবে এই রোগের ভ্যাকসিন থাকলেও সঠিক সময়ে চিকিৎসার না দেয়ার কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

২০১৯ সালে এশিয়ার কয়েকটি দেশে এডিস মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। ফিলিপাইনে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ মানুষ মারা গেছে। বাংলাদেশের মতো থাইল্যান্ড,ফিলিপাইন, মালয়েশিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু। এখন আমরা ২০২০ সালে অবস্থান করছি। করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়।করোনা ভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট।প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনা ভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনা ভাইরাস ওসি৪৩’ নামে নামকরণ করা হয়।এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ভাইরাসটির আরো বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে ‘এসএআরএস-সিওভি’, ২০০৪ সালে ‘এইচসিওভি এনএল৬৩’, ২০০৫ সালে ‘এইচকেইউ১’, ২০১২ সালে ‘এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ঘিরে ক্রমেই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক।২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রমণ দেখা দেয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানবদেহে যে রোগ হয় তার নাম কোভিড-১৯(Covid-19)। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ পর্যন্ত চীনের সাথে সাথে ১২১টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে, ৪৯৯৯০ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। নিশ্চিতভাবে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে আরো ১,৩৫,১৬৬ জন রোগী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৭০,৩৯৫ জনের বেশি লোক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর হতে জানা যাচ্ছে।


পৃথিবীতে যুগ যুগ ধরে বন্যা, খরা, অগ্নুৎপাত,ভূকম্পন, সাইক্লোন, ফরমালিন, ইন্টারনেট বাগ, প্রযুক্তি হ্যাক, হাইব্রিড খাদ্য, যুদ্ধ, রোগ-শোকের মহামারিসহ নানা বিপর‌্যস্থতের তথ্য মেলে ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কোরআন ও ওল্ড টেস্টামেন্টে।

1 comments:

  • June 14, 2021 at 9:55 AM

    অনেক সুন্দর একটি লেখা আমাদের উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি আপনার লেখাটি পুরটাই পড়েছি, এবং কিছু পয়েন্ট নোট করে রেখেছি আমার পারসোনাল ডায়েরীতে।
    banglahealthtips নিয়ে আপনার প্রতিটা পোস্ট পড়ার আমার ইচ্ছে আছে। আপনার লেখার ঢং বেশ চমৎকার লেগেছে আমার কাছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
    ভালো থাকবেন এবং আরও নতুন নতুন লেখা আমাদের সামনে তুলে ধরবেন এটাই কামনা।

Post a Comment