কুরআন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ। ২০১৫ সালে এই পবিত্র ধর্মগ্রন্থের সবচেয়ে পুরনো পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যায়।
এর পরের বছর স্বর্ণের অক্ষরে কুরআন লিখে ইতিহাস গড়েন আজারবাইজানের এক নারী শিল্পী। তার নাম তুনজালে মেমেদজাদে।
১৬৪ ফুটের স্বচ্ছ কালো সিল্কের ওপর স্বর্ণ এবং রুপা দিয়ে কোরআন লিখেছেন তিনি। এতে সময় লেগেছে প্রায় ৩ বছর।
সিল্কের ওপর স্বর্ণের হরফে কুরআন এই প্রথম লেখা হল বলে জানান ৩৩ বছর বয়সী এই শিল্পী।
স্বর্ণের হরফে লেখা এই কুরআনের দৈর্ঘ্য ১১.৪ ফুট। আর প্রস্থ ১৩ ফুট।
প্রত্যেকটি হরফ নিজের হাতে লিখেছেন মেমেদজাদে।
প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে ইসলামের শিল্পকলা। তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স দিয়ানেট থেকে স্বর্ণের হরফে লেখা এই কুরআনের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
মাঠ জোড়া হলুদ ফুল আর সবুজ পাতার অপরূপ যুগল বন্দী। বড় বড় ফুলগুলো চেয়ে
আছে সূর্যের দিকে মুখ করে, তাই এর নাম সূর্যমুখী।
এক বর্ষজীবী সূর্যমুখী ফুলের বীজে রয়েছে ৪০-৪৫শতাংশ লিনোলিক এসিড। যা
উন্নতমানের ভোজ্যতেলের প্রধান উপকরণ। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, ডি ও ই রয়েছে।
সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে বনস্পতি তেল উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যসম্মত ও
মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই এর অবস্থান। তাছাড়া এতে ক্ষতিকারক ইরোসিক
এসিড নেই। এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সূর্যমুখীর তেল হৃদরোগীদের জন্য খুবই
উপকারী।
আগে তেল উৎপাদনকারী এ ফুলের চাষ খুব একটা না হলেও বর্তমানে পরীক্ষামুলকভাবে
শুরু হয়েছে।
যশোর জেলায় চলতি মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে এর চাষ করা হয়েছে।
ফলনও ভালো হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
সূর্যমুখী ফুল চাষে স্বল্পখরচে লাভ বেশী। বীজ বপনের ৯০ থেকে ৯৫ দিনের
মধ্যেই ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।
প্রতিবিঘায় ১১ থেকে ১২ মণ সূর্যমূখী বীজ
উৎপাদিত হয় যার বর্তমান বাজার দর প্রতিমণ ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা ।
এছাড়া সূর্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত
হয়। এছাড়া বীজ ছাড়ানোর পর ফুলের মাথাগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা
যায়।
গাছের অন্যান্য অংশগুলি জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এলাকার অনেক
কৃষক আগামীতে সূর্যমুখী ফুল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশে আগে সূর্যমুখী বীজ থেকে তেল নিষ্কাষনের কোন ব্যবস্থা ছিলো না
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে সূর্যমুখী বীজ থেকে তেল সংগ্রহের পদ্ধতি চলে
আসায় আগামীতে আরো বেশী জমিতে এর আবাদ করা সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানান,
কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান।
মৃৎশিল্প মানুষের প্রাচীনতম আবিষ্কার। খৃষ্টপূর্ব ২৯ হাজার থেকে ২৫ হাজার অব্দের নব্যপ্রস্তর যুগে এর সূচনা।
এ পেশার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে কুমার বা কুম্ভকার বলা হয়। আমাদের দেশে গ্রামীণ জনপদে কুমারদের কারখানা একটি দর্শনীয় বিষয়। একই ছাদের নিচে দেখা যায় চুলা, গুদামঘর ও বসবাসের ঘর, দরজার সামনের খোলা জায়গাটুকু ব্যবহূত হয় কাদামাটি তৈরির স্থান হিসেবে।
কুমাররা তৈজসপত্র তৈরিতে বেলে ও কালো এঁটেল এ দু ধরনের মাটি ব্যবহার করে থাকে।
বেলে মাটির সঙ্গে এঁটেল মাটির অনুপাত ১:২ করে মেশালে শক্ত ও উন্নতমানের মৃৎপাত্র তৈরি করা যায়।
কাদামাটি দিয়ে তৈরি মৃৎশিল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়: মাটির পাত্র, পাথুরে পাত্র ও পোর্সেলিন। এসব তৈরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ধরনের কাদামাটির প্রয়োজন। মাটি সংগ্রহের পর হাত ও পায়ের সাহায্যে বা কাঠ অথবা পাথরের পিটনা দিয়ে থেতলে পাত্র তৈরির উপযুক্ত করে তোলা হয়।
কাক্ষিত রূপ দেয়ার পর রোদে শুকানো হয়। পরে পাঞ্জা বা চুলাতে ভাটার আগুনে উচ্চ তাপমাত্রায় (৬০০ - ১৬০০°সে) পোড়ানো হয়।
লাল রঙের তৈজসপত্র তৈরিতে ভাওয়ালের লালমাটি ব্যবহার করা হয়। সাদা কিংবা কালো রঙের তৈজসপত্র তৈরিতে একই ধরনের মাটি ব্যবহার করা হয়। কালো পাত্র তৈরির ক্ষেত্রে চুলাকে কিছু সময় ঢেকে রাখা হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় চুলার আগুনে খৈল পোড়ানো হয়।
চাকচিক্যময় করতে রং লাগানো হয়। লাল সিসা থেকে লাল রং, আর্সেনিক থেকে হলুদ, দস্তা থেকে সবুজ এবং বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগের মিশ্রণে কালো রং তৈরি করা হয়। মাটির তৈজসপত্র ছাড়াও অনেক কুমার ইট, টাইলস, মূর্তি, পুতুল ও খেলনা প্রভৃতি তৈরি করে।
বাংলাদেশে মৃৎশিল্প ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে চলছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এই শিল্পের প্রসার। অনেকে এ পেশায় থাকলেও মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা না থাকায় অভাব-অনটনে সংসার চালাতে পারছেন না তারা। শৈল্পিক নৈপুণ্য ও সৃজনশীল এ শিল্পের বর্তমানে ঠাঁই হয়েছে বিভিন্ন জাদুঘর ও চারু প্রদর্শনীতে। সময়ের আবর্তনে অন্যান্য বস্ত্ত, যেমন প্লাস্টিক বা ধাতুনির্মিত পণ্যের উদ্ভব ও ব্যবহার মৃৎশিল্পের ব্যাপক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন জমিদার বাড়ি। এর সাথে এক-একটা জমিদার বাড়ির আছে এক একরকম ইতিহাস। ১৮১৪-১৮১৫ শতাব্দীতে জমিদার রেজওয়ান খান সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। যা রেজওয়ান খানের জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত।
উপজেলার তেঁতুলিয়ার কবি সিকান্দার আবু জাফর সড়কের পাশে তেঁতুলিয়া শাহী মসজিদ থেকে ৩০ গজ সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে পুরাতন এই জমিদার বাড়ি। বর্তমানে এই জমিদার বাড়িতে জমিদার বংশধররা বংশপরামপণায় বসবাস করে আসছেন। এখন এটি জরাজীর্ন অবস্থায় আছে, তবুই সে পুরানো স্মৃতি হিসেবে কয়েকটা ঘরের দেওয়াল এবং সামনে প্রবেশদ্বার অক্ষত রয়েছে। অসাধারণ কারুকাজই বলে দেয় পুরাতন জমিদার কিংবা রাজা বাদশাদের রুচি কতটা মানসম্মত ছিল। জমিদার বাড়ির পিছনের দিকে একটা পুকুর রয়েছে অবস্থা বর্তমানে করুন।
এই জমিদার বাড়ি থেকে আরো কিছুদুর সামনে (১২০-১৩০) গজ এগিয়ে গেলেই বামে একটা রাস্তা পাবেন। সেই রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে একটা মসজিদ পাবেন।স্থানীয়দের কাছে এটি ভাংগা মসজিদ নামে পরিচিত। এটির তেতুলিয়ার ভিতরে সব থেকে পুরাতন মসজিদ স্থানীয়দের মতে এটি তেতুলিয়া শাহী মসজিদ এর ও আগে তৈরি হয়েছে। তাই এটি পুরাতন তেতুলিয়া শাহী মসজিদ নামেও পরিচিত। এই মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ঠ মসজিদ ছিল বর্তমানে সেই গম্বুজটি না থাকলেও এটির ভিতরে এখনো এলাকার মুসলিমগন নামাজ আদায় করে থাকেন।এই মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কাজী নাজিবুল্লাহ খান।
সংস্কার ও তদারকির অভাবে আজ ধ্বংসের পথে এ জমিদার বাড়িটি। কিন্তু নেই এসবের সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা। এভাবে আস্তে আস্তে বিলিন হতে চলেছে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য গুলো। এ গুলো সংরক্ষণ না করা গেলে আমরা হারাব এমন ঐতিহ্য।
All contents of this blog are not copyrighted. The contents is taken from newspapers and others.Here I keep those news_that I think is IMPORTANT. All this is my collection. I do not keep them for any commercial purpose. Just keep in memory.
online