উপজেলার তেঁতুলিয়ার কবি সিকান্দার আবু জাফর সড়কের পাশে তেঁতুলিয়া শাহী মসজিদ থেকে ৩০ গজ সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে পুরাতন এই জমিদার বাড়ি। বর্তমানে এই জমিদার বাড়িতে জমিদার বংশধররা বংশপরামপণায় বসবাস করে আসছেন। এখন এটি জরাজীর্ন অবস্থায় আছে, তবুই সে পুরানো স্মৃতি হিসেবে কয়েকটা ঘরের দেওয়াল এবং সামনে প্রবেশদ্বার অক্ষত রয়েছে। অসাধারণ কারুকাজই বলে দেয় পুরাতন জমিদার কিংবা রাজা বাদশাদের রুচি কতটা মানসম্মত ছিল। জমিদার বাড়ির পিছনের দিকে একটা পুকুর রয়েছে অবস্থা বর্তমানে করুন।
এই জমিদার বাড়ি থেকে আরো কিছুদুর সামনে (১২০-১৩০) গজ এগিয়ে গেলেই বামে একটা রাস্তা পাবেন। সেই রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে একটা মসজিদ পাবেন।স্থানীয়দের কাছে এটি ভাংগা মসজিদ নামে পরিচিত। এটির তেতুলিয়ার ভিতরে সব থেকে পুরাতন মসজিদ স্থানীয়দের মতে এটি তেতুলিয়া শাহী মসজিদ এর ও আগে তৈরি হয়েছে। তাই এটি পুরাতন তেতুলিয়া শাহী মসজিদ নামেও পরিচিত। এই মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ঠ মসজিদ ছিল বর্তমানে সেই গম্বুজটি না থাকলেও এটির ভিতরে এখনো এলাকার মুসলিমগন নামাজ আদায় করে থাকেন।এই মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কাজী নাজিবুল্লাহ খান।
সংস্কার ও তদারকির অভাবে আজ ধ্বংসের পথে এ জমিদার বাড়িটি। কিন্তু নেই এসবের সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা। এভাবে আস্তে আস্তে বিলিন হতে চলেছে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য গুলো। এ গুলো সংরক্ষণ না করা গেলে আমরা হারাব এমন ঐতিহ্য।
0 comments:
Post a Comment