Sunday, September 27, 2020

যশোরে সূর্যমুখী ফুল চাষ

1 comments

 মাঠ জোড়া হলুদ ফুল আর সবুজ পাতার অপরূপ যুগল বন্দী। বড় বড় ফুলগুলো চেয়ে আছে সূর্যের দিকে মুখ করে, তাই এর নাম সূর্যমুখী। 

এক বর্ষজীবী সূর্যমুখী ফুলের বীজে রয়েছে ৪০-৪৫শতাংশ লিনোলিক এসিড। যা উন্নতমানের ভোজ্যতেলের প্রধান উপকরণ। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, ডি ও ই রয়েছে। সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে বনস্পতি তেল উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই এর অবস্থান। তাছাড়া এতে ক্ষতিকারক ইরোসিক এসিড নেই। এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সূর্যমুখীর তেল হৃদরোগীদের জন্য খুবই উপকারী। আগে তেল উৎপাদনকারী এ ফুলের চাষ খুব একটা না হলেও বর্তমানে পরীক্ষামুলকভাবে শুরু হয়েছে। 


 

যশোর জেলায় চলতি মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে এর চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। সূর্যমুখী ফুল চাষে স্বল্পখরচে লাভ বেশী। বীজ বপনের ৯০ থেকে ৯৫ দিনের মধ্যেই ফলন ঘরে তোলা সম্ভব। 

প্রতিবিঘায় ১১ থেকে ১২ মণ সূর্যমূখী বীজ উৎপাদিত হয় যার বর্তমান বাজার দর প্রতিমণ ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা । এছাড়া সূর্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বীজ ছাড়ানোর পর ফুলের মাথাগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। 

গাছের অন্যান্য অংশগুলি জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এলাকার অনেক কৃষক আগামীতে সূর্যমুখী ফুল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। 

বাংলাদেশে আগে সূর্যমুখী বীজ থেকে তেল নিষ্কাষনের কোন ব্যবস্থা ছিলো না কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে সূর্যমুখী বীজ থেকে তেল সংগ্রহের পদ্ধতি চলে আসায় আগামীতে আরো বেশী জমিতে এর আবাদ করা সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানান, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান।


 

1 comments:

Post a Comment