বিশ্ব ধরিত্রী দিবস (Earth Day) আজ। প্রতি বছর ২২ এপ্রিল বিশ্বের প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা ও ভালোবাসা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত এই দিবস আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয়।
বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্রমসই মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে, এই ভাবনা থেকে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন এই বিষয়টি নিয়ে ভাবা শুরু করেন।
পরে তিনি ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে এ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডির কাছে এই বিষয়টি আলাপ করার জন্য ওয়াশিংটন যান।
এই বিষয়টি বেশ পছন্দ করেন কেনেডি। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর একাদশ-রাষ্ট্র সংলাপ ভ্রমণে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসু কোনো আলোচনা হয় নি। কিন্তু নেলসন এর প্রচারণা অব্যাহত রাখেন।
তখন বেশিরভাগ মানুষ প্রথম দিকে বিষয়টিকে ততটা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করলেও প্রচারণার মাধ্যমে ক্রমে ক্রমে এই বিষয়টি বহু মানুষকে সচেতন করে তোলে।
অবশেষে তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সাধারণ মানুষ এবং সরকারি মহলে বিশেষভাবে গুরুত্ব আদায় করে নিতে সক্ষম হয়।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২২ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ধরিত্রী দিবস পালিত হয়।
নেলসন প্রথমে এই দিবসটির নাম দিয়েছিলেন এনভায়রনমেন্টাল টিচ-ইন। বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারিভাবে এই পালন করা হয়। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে এই দিবস পালিত হয় বসন্তকালে আর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলিতে পালিত হয় শরৎকালে।
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘ, তাদের বাৎসরিক পঞ্জিকায় স্থান দেয় এবং জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে তা প্রতিপালনের জন্য উৎসাহ দান করা শুরু করে। ফলে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই দিবসটি ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ নামে আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment