Wednesday, September 20, 2023

মানুষের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের ট্রায়াল শুরু করবে নিউরালিংক

0 comments

 বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মালিকানাধীন ব্রেইন-চিপ স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক জানিয়েছে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য মস্তিষ্কে বিশেষ ধরনের চিপ স্থাপন (ইমপ্ল্যান্ট) করে পরীক্ষার জন্য অংশগ্রহণকারী নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে তারা। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এ ধরনের প্রথম হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য একটি স্বাধীন রিভিউ বোর্ডের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে তারা।

 


নিউরালিংক জানায়, সার্ভিকাল স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি বা অ্যামিওট্রফিক লেটারাল স্ক্লেরোসিসের কারণে যাদের পক্ষাঘাত রয়েছে, তারা এ গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে পারে। কিন্তু এই হিউম্যান ট্রায়ালে কতজন অংশগ্রহণকারী নেওয়া হবে সেই তথ্য প্রকাশ করেনি ইলন মাস্কের এই প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে, এই হিউম্যান ট্রায়াল শেষ হতে ছয় বছরের মতো সময় লাগবে।

নিউরালিংক জানায়, এ গবেষণায় মস্তিষ্কের যে অংশ দেহের অঙ্গের নড়াচড়াকে নিয়ন্ত্রণ করে, রোবট ব্যবহার করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই অংশে একটি ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) স্থাপন করা হবে। এর প্রাথমিক লক্ষ্য হবে, মানুষকে তাদের চিন্তাশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার কার্সর বা কীবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম করে তোলা।

এর আগে ১০ জন রোগীর মধ্যে তাদের ডিভাইস স্থাপনের জন্য অনুমোদন পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিল কোম্পানিটি। কিন্তু বর্তমান ও সাবেক কর্মীদের বরাতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর আরও কম সংখ্যক রোগী নিয়ে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা করে নিউরালিংক। তবে এফডিএ ঠিক কতজন রোগীর অনুমোদন দিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।



নিজের প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে ইলন মাস্কের। তিনি আশা করেন, মস্তিষ্কে যন্ত্র স্থাপনের ফলে স্থূলতা, অটিজম, বিষণ্নতা ও সিজোফ্রেনিয়ার মতো অনেক রোগ সারানো সম্ভব হবে।

গত মে মাসে নিউরালিংক জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) তাদেরকে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপন করে পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। যদিও ওই সময় প্রাণীর ওপর পরীক্ষা চালানোর বিষয়টি নিয়ে ফেডারেল তদন্তের অধীনে ছিল প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন- বিসিআই ডিভাইসটি যদি মানুষের ব্যবহারের জন্য নিরাপদ বলে প্রমাণিতও হয়, তবুও বাণিজ্যিকভাবে এটি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেতে এক দশকেরও বেশি সময় লেগে যাবে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানটির।

0 comments:

Post a Comment