বাংলা চলচ্চিত্র বলতেই একসময় মাথায় ভেসে উঠত একটি নাম — শাকিব খান। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ঢালিউডে রাজত্ব করা এই সুপারস্টার আজও আলোচনার কেন্দ্রে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো — ২০২৫ সালে এসে তিনি কি এখনও আগের মতোই প্রাসঙ্গিক? নাকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধূসর হয়ে যাচ্ছেন ‘সিনেমার রাজা’?👑 সাফল্যের শুরুঃ ২০০০ থেকে ২০১৫
শাকিব খান ১৯৯৯ সালে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, ২০০৬ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সময় ছিল তার ক্যারিয়ারের ‘গোল্ডেন পিরিয়ড’।
-
হিট সিনেমা: কিং খান, আম্মাজান, প্রেমিক নাম্বার ওয়ান, ভাইজান এলো রে
-
অভিনয় দক্ষতা ও লুক তাকে আলাদা করে পরিচিতি দেয়
-
বাণিজ্যিক ছবির নতুন ভাষা তৈরি হয় তার মাধ্যমে
💔 সমালোচনার ঝড় ও পরিবর্তনের চাপ
তবে সময় বদলেছে। দর্শকের পছন্দ পাল্টেছে।
-
একই ধাঁচের গল্প
-
অতিরঞ্জিত অ্যাকশন
-
দুর্বল চিত্রনাট্য
এসব কারণে অনেকেই বলতে শুরু করেন — “শাকিব খান এখন রিপিটেড, নতুন কিছু নেই”।
🌍 টলিউড যাত্রা ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
২০১৮ সালে শাকিব খান কলকাতায় কাজ শুরু করেন। ‘ভাইজান এলো রে’ ও ‘নাকাব’-এর মতো সিনেমা তাকে ভারতের দর্শকদের মাঝেও পরিচিত করে তোলে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সে সফলতা স্থায়ী হয়নি।
🎥 ২০২১-২০২4: নতুন প্রজন্ম বনাম কিং খান
এদিকে সিয়াম, শরিফুল রাজ, অনন্ত জলিলদের মতো নতুন মুখেরা ঢালিউডে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে।
-
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উত্থান
-
গল্পভিত্তিক সিনেমার চাহিদা
-
তরুণ নির্মাতাদের নতুন ধারা
এসব কিছু শাকিবের স্টারডমে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।
🔄 ২০২৫: কামব্যাক নাকি কেবল উপস্থিতি?
বর্তমানে শাকিব খান কিছু নতুন ছবিতে কাজ করছেন, যেমন:
-
“প্রিয়তমা” (২০২৩): দর্শকপ্রিয়তা পেলেও সমালোচকরা মিশ্র মত দেন
-
“রাজকুমার” ও “মাসুদ রানা” প্রজেক্ট: অপেক্ষায় দর্শক
প্রশ্ন হলো — এই প্রজেক্টগুলো কি আবারো তাকে রাজা বানাতে পারবে?
🧠 দর্শকের মতামত
পক্ষে:
-
“যতই সময় যাক, শাকিবের স্টারডম অমলিন”
-
“তিনি ইন্ডাস্ট্রির একটা ইতিহাস”
বিপক্ষে:
-
“উনি নিজেকে আপডেট করেননি”
-
“নতুনদের জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত”
🧭 উপসংহার
শাকিব খান শুধু একজন নায়ক নন, ঢালিউডের একটি সময়ের প্রতিচ্ছবি। তিনি কি আবারো ফিরবেন তার রাজাসনে, নাকি নিজেই ইতিহাস হয়ে থাকবেন — তা নির্ভর করছে তার পরবর্তী পদক্ষেপে।
শাকিব খান এখন একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন — উত্তর দেবে সময়।
0 comments:
Post a Comment