Monday, October 10, 2011

মাউথওয়াশ

0 comments
আমরা অনেকে ঘুম থেকে উঠার পর ব্রাশ না করে মাউথওয়াশ ব্যবহার করি। এখন প্রশ্ন হলো মাউথ ওয়াশ কী? মাউথ ওয়াশ হলো ওষুধসমৃদ্ধ একটি অ্যান্টিসেপটিক দ্রবণ, যা মুখে নিয়ে কুলি করার জন্য ব্যবহার করা হয়। আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ কর্তৃক মাউথওয়াশকে প্রধানত তিন ভাগে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়েছে, কসমেটিক মাউথওয়াশ এবং রাপিউটিক মাউথওয়াশ। আসুন জেনে নিই এর ব্যবহারগুলো।
মাউথওয়াশের উপাদানগুলো :বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত মাউথওয়াশে যেসব উপাদান ব্যবহূত হয়ে থাকে সেগুলো হলো—থাইমল, ইউক্যালিপ্টল, হেক্সিটিডিন, মিথাইল স্যালিসাইলেট, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ক্লোরোহেক্সিডিন গ্লুকোনেট, ফ্লোরাইড, পোভিডন আয়োডিন ইত্যাদি।

মাউথওয়াশ কীভাবে ব্যবহার করবেন?

++ মাউথওয়াশ ব্যবহারের আগে দাঁত ব্রাশ এবং ডেন্টাল ফ্লসিং করে নেওয়া ভালো।

++ ২ চামচ পরিমাণ সমপরিমাণ পানির সঙ্গে মিশিয়ে অথবা চিকিত্সক কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।

++ মাউথওয়াশ ৩০ সেকেন্ডের জন্য মুখের অভ্যন্তরে রেখে কুলি করতে হবে। তবে ফ্লোরাইডযুক্ত মাউথওয়াশের ক্ষেত্রে ১ মিনিট কুলি করতে হবে।

++ মাউথওয়াশ ব্যবহারের ৩০ মিনিটের মধ্যে কিছু খাওয়া বা ধূমপান করা ঠিক নয়। অন্যথায় মাউথওয়াশের কার্যকারিতা অনেকাংশে হ্রাস পায় অথবা নষ্ট হয়ে যায়।

অতিরিক্ত বা যথাযথ মাউথওয়াশ ব্যবহার না করলে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে সেগুলো হলো—

++ মুখের স্বাদের পরিবর্তন আসতে পারে। মুখের স্বাদের এ পরিবর্তন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার জন্য হতে পারে আবার ক্ষেত্রবিশেষে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
++ দাঁতে দাগ পড়তে পারে।
++ মুখের অভ্যন্তরে শুষ্কভাব বিরাজ করতে পারে।
++ অতিরিক্ত ব্যবহারে মুখে ঘা বা আলসার দেখা যেতে পারে।

0 comments:

Post a Comment