Sunday, February 14, 2021

ওয়াল কেবিনেট কি

0 comments

ঘরের আয়তন কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তাও বেড়েছে ওয়াল কেবিনেটের। অনেকেই বাসার পরিসর বড় দেখাতে ঘরের ভেতর আসবাব ব্যবহার করেন না। আলো-বাতাসযুক্ত একটা ঘর সবারই স্বপ্ন। ওয়াল ফিটেড ফার্নিচার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটা চমৎকার উপায়। 

 



ঘরের ভেতরে প্রয়োজনের আসবাবও থাকলো আবার ঘর আঁটসাঁটও দেখালো না। ছোট ঘরের জন্যও তো এটা আদর্শ একটা উপায়। দেয়ালকে ব্যবহার করলে ঘরের অনেকটুকু জায়গা বেঁচে যাবে। 

ঘরের ভেতর কেবিনেট আভিজাত্যময় একাট ভাব এনে দেয়  ঘরের ভেতর আলমারি বা ওয়ারড্রব রাখলে তাতে বেশ কিছু জায়গা ব্লক হয়ে যায়। কেবিনেট জিনিসটা আপনার দেয়ালের ভেতর তৈরি করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, কেবিনেটের সম্পূর্ণ অংশই থাকবে দেয়ালের ভেতর! কেবিনেটের দরজা অনেক সময় বাইরে থেকে খুলবে আবার স্লাইড ডোরও হতে পারে। সুতরাং, আপনার ঘরের অনেকটা জায়গা বেঁচে যাবে কেবিনেটের জন্য। কেবিনেট বেশ উপকারী একটি আসবাব ঘরের জন্য। এর ব্যবহার শুধু বেডরুমেই নয় সাড়া ঘরেই আছে। 

তথ্যসূত্র:  বিপ্রপার্টি ও কালেরকন্ঠ

Tuesday, February 9, 2021

ঢাকাই নামের ইতিকথা: গেন্ডারিয়া

0 comments

 যদি প্রশ্ন করা হয় ঢাকার প্রথম আবাসিক এলাকা কোনটি? উত্তর দিতে হিমশিম খেতে হতে পারে যে কারো। হালের ঢাকায় এখন আছে ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী বা উত্তরার মত নামীদামী আবাসিক এলাকা। কিন্তু পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়াকে দেখে আঁচ করার তেমন কোন উপায়ই নেই যে, এটিই ছিল ঢাকার প্রথম আবাসিক এলাকা!

বৃটিশ শাসিত বাংলায়, ঢাকার প্রথম আবাসিক এলাকা হিসাবে গড়ে উঠে গেন্ডারিয়া। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে এটি পরিণত হয়েছিল মধ্যশ্রেণির আবাসিক এলাকা হিসেবে। এত পুরাতন এলাকা হওয়ায় বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই গেন্ডারিয়া। কিন্তু কীভাবে এল এই নাম? এ নিয়ে দুটো প্রধান মতামত পাওয়া যায়।

অনেকে বলেন, কোন এক ইংরেজ পরিব্রাজক ঘোড়ায় চড়ে ঘুরতে ঘুরতে গেন্ডারিয়ার লোহারপুলের পাদদেশে এসে পড়েন। এই এলাকার চারপাশের দৃশ্য দেখে এতই বিমোহিত হয়েছিলেন যে তিনি বলে ওঠেন, ‘Wow! What a grand Area!’ সেই থেকেই এই আবাসিক এলাকার নাম হয়ে উঠে ‘গেন্ডারিয়া’।


আর ভিন্নমতটিও বেশ মজার। আখ বা ইক্ষু অঞ্চলভেদে “গেন্ডারি” নামে পরিচিত। তৎকালীন সময়ে দয়াগঞ্জ, মীরহাজিরবাগ এলাকায় প্রচুর গেন্ডারি বা আখের চাষ হতো। সেই আখ বিক্রির জন্যও বিখ্যাত ছিল এই এলাকা। আর সেই থেকে এই এলাকার নাম হয়ে গেন্ডারিয়া।

সূত্র: বিপ্রপার্টি

Sunday, February 7, 2021

ঢাকাই নামের ইতিকথা: ধানমন্ডি

0 comments

 “রাজায় রাজায় যুদ্ধ, উলুখাগড়ার প্রাণান্ত!” - প্রবাদটির অর্থ অনেকে জানলেও যদি বলা হয়, এই এক শতাব্দী আগেই ধানমন্ডি ছিল উলুখাগড়া আর ছন গাছের রাজ্য, এখানে দেখা যেত দিগন্ত বিস্তৃত ধানক্ষেত আর কালেভাদ্রে দু’একজন মানুষ, তা কজন বিশ্বাস করবেন? অথবা ব্রিটিশ আমলে এখানে বসত ধানের বিশাল বাজার, তাই বা কতটুকু বিশ্বাস হয়? 


অথচ, যতদূর জানা যায়, এর সবই আসলে সত্য। ঢাকার আরও বেশ কিছু এলাকার মত ধানমন্ডিতেও লোকালয় গড়ে উঠতে শুরু করে সাতচল্লিশে দেশভাগের পরপর। এর আগে এই এলাকা ছিল সবুজে শ্যামলে ভরা এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল। চল্লিশের দশকেও ধানমন্ডিতে কৃষিকাজ করা হত পুরোদমে আর সম্পূর্ণ এলাকা ছিল ছন এবং উলুখাগড়ায় রাজ্য৷ তাই ধানমন্ডি নামকরণের সাথেও জড়িয়ে আছে এই বিষয়গুলোই।

বাংলা ভাষায় “মণ্ডন” শব্দটির অর্থ সাজসজ্জা বা অলংকার। পুরো এলাকা যখন সোনালী পাকা ধানে ছেয়ে যেত, তখন একে দেখতে লাগত অসাধারণ। মনে হত যেন সোনালী অলংকারের চাদর দিয়ে কেউ এলাকাটিকে ঢেকে দিয়েছে। অনেকের মতে ধানের এই মণ্ডন থেকেই এলাকার নাম হয় ধানমন্ডি।

আবার, ফারসি পরিভাষায় “মন্ডি” শব্দটির অর্থ হাট বা বাজার। আশেপাশে প্রচুর ধান উৎপাদন হওয়ায় ব্রিটিশ আমলে এখানে বসত ধানের বিশাল বাজার। সেই থেকে এই এলাকার নাম ধানমন্ডি হয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন।

তাই বলাই যায় যে, ধানমন্ডি নামটির সাথে আমাদের প্রধান খাবার ধান জড়িয়ে আছে। অথচ আজ এই এলাকাকে বলবে এই এলাকায় একসময় ছিল রমরমা ধানের বাজার?


 

সূত্র: বিপ্রপার্টি

মঠ

0 comments

মঠ এমন একটি অবকাঠামো, যেখানে কোন এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা ধর্মীয় কারণে অবস্থান করেন এবং সেখান থেকে ওই ধর্মের বিভিন্ন উপদেশ প্রদান ও শিক্ষাদান করা হয়।

খরোষ্ঠী-ব্রাহ্মী শিলালিপিতে বাংলায় সর্বপ্রথম মঠ উল্লেখ দেখা যায়। এটি মূলত খ্রিস্টীয় দুই শতক। খ্রিস্টীয় ছয় শতক থেকে এর সংখ্যা বাড়তে থাকে।



বেশীরভাগ মঠই পোড়া মাটির অলঙ্করণে আবৃত। দেয়ালে খোদাই করা লতা-পাতা, ফুল ইত্যাদি। এতে প্রবেশের জন্য থাকে দুইটি দরজা। এই পুরাকীর্তগুলো এখন অনেকটাই অবহেলিত। মঠের উপরিভাগে বেড়ে ওঠা পরগাছা নষ্ট করছে বাইরের দেয়াল। 


মধ্যযুগে মঠের সঙ্গে আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলিও জড়িত ছিলো। মঠগুলির ব্যয় নির্বাহ হতো প্রধানত কৃষি উৎপাদন থেকে। সাত শতকের সিলেটের বৈষ্ণব মঠগুলিকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণ ও অন্যান্য পেশাদার শেণীর লোকদের বসতি প্রতিষ্ঠা করে জনপূর্ণ করা হয় এবং অকর্ষিত ভূমি (অকর্ষ) চাষের অধীনে আনা হয়। পরবর্তীতে মঠ গুলি কৃষকদের সুদের বিনিময়ে ঋণ দিত । কৃষকরা এই ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে মঠ গুলি তাদের জমি বাজেয়াপ্ত করতো । এজন্য মধ্যযুগের জনগণ একই দেব-দেবীর উপাসনা এবং একত্রে বসবাস করলেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে তারা দেশান্তরীয় মঠ এবং বঙ্গালদেশীয় মঠ এই উপ-দলীয় পার্থক্য বজায় রাখত। আবার, রাজ দরবারও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির পৃষ্ঠপোষকতার বিনিময়ে তাদের পার্থিব ক্ষমতা স্থিতিশীল করে তুলেছিল।


Saturday, February 6, 2021

ঢাকাই নামের ইতিকথা: শাহবাগ

0 comments

শাহবাগ, হাজারো মানুষের পদচারণায় ব্যস্ত এক নাম, আজকের ঢাকার প্রাণকেন্দ্র। অথচ একসময় ঢাকার শেষ সীমানাই ছিল এই এলাকা।

১৭ শতকে ঢাকা হয় মোগল বাংলা প্রদেশের রাজধানী আর সেই সাথে হয় শাহবাগের গোড়াপত্তন। হঠাৎ করেই অন্যরকম গুরুত্ব পাওয়া এই এলাকা জুড়ে গড়ে উঠতে থাকে দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন স্থাপনা। সেই সাথে মোগল শাসকদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে এখানে গড়ে উঠে বিশাল ফুলের বাগান যার নাম ছিল “বাগ-ই-বাদশাহী”, ফার্সি ভাষার শব্দটির অর্থ করলে দাঁড়ায় - রাজার বাগান! আর রাজার বাগান বা বাগ-ই-বাদশাহী থেকেই আজকের শাহবাগ।



মোগল শাসনের সমাপ্তির পরে ব্রিটিশ শাসক বা স্থানীয় প্রভাবশালীদের চেষ্টায় কিছুদিন টিকে থাকলেও ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায় এই বাদশাহী বাগান। মানুষের মুখে শুধু থেকে যায় নামটি। কে জানে, একসময়ের জৌলুস মনে করিয়ে দিতেই যেন আজ শাহবাগে গড়ে উঠেছে বিশাল ফুলের বাজার!

সূত্র: বিপ্রপার্টি

সাত মসজিদ রোড

0 comments

মোহাম্মদপুর আর ধানমন্ডির একটি সংযোগ সড়ক হল সাত মসজিদ রোড। নাম শুনে মনে হতে পারে, তবে কি এই রাস্তায় ৭টি মসজিদ আছে? তা হয়ত নেই তবে যে মসজিদের নামে এই রাস্তার নামকরণ তাতে আছে ৭টি গম্বুজ। 


বলা হচ্ছে মোহাম্মদপুরে থাকা ঐতিহ্যবাহী সাত গম্বুজ মসজিদের কথা।
ছাদে তিনটি বড় গম্বুজ এবং চার কোণের প্রতি কোনায় একটি করে ছোট গম্বুজ থাকায় একে সাত গম্বুজ মসজিদ বলা হয়। ১৬৮০ সালে, শায়েস্তা খাঁর আমলে নির্মিত এই মসজিদের নামেই হয়েছে সংলগ্ন সাত মসজিদ রোড-এর নামকরণ, প্রচলিত ধারণা এটিই। 


 মসজিদের পূর্ব পাশে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে একটি সমাধি। কথিত আছে, এটি শায়েস্তা খাঁর মেয়ের সমাধি। সমাধিটি ‘বিবির মাজার’ বলেও খ্যাত। স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য অনুযায়ী, একসময় মসজিদের পাশ দিয়ে বয়ে যেত বুড়িগঙ্গা। ঘাটেই ভেড়ানো হতো লঞ্চ ও নৌকা। কিন্তু এখন সেসব হারিয়ে গেছে। বর্তমানে মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আছে। কেউ যদি মোহাম্মদপুরের কাটাসুর থেকে শিয়া মসজিদের দিকের রাস্তা ধরে বাঁশবাড়ীর দিকে যান, তবে চোখে পড়বে এই মসজিদ। মসজিদের ঠিক পেছনেই আছে একটি মাদ্রাসা।  সেখানে উঠেছে অনেক বহুতল ভবন। 

সূত্র: বিপ্রপার্টি ও প্রথমআলো