Monday, March 29, 2021

বালিশ মিষ্টির ইতিকথা

0 comments
 ভাতে-মাছে বাঙালির মিষ্টান্নপ্রিয়তার কথা কে না জানে। রসনাবিলাসে তাই শেষপাতে মিষ্টি না হলে কি চলে? তা সে ঘরে বানানোই হোক বা ময়রার তৈরি। বাঙালির মিষ্টির আবার আছে নানা ধরন। স্থানভেদে এর স্বাদ আর তৈরির পদ্ধতিও ভিন্ন। এসব মিষ্টি কেবল জিবে জল আনে না, বরং এর সৃষ্টিকর্ম অনন্য শিল্পকর্ম বটে।বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতির কারণে গবাদিপশুর খাদ্যের আকাল কখনোই হয়নি। গোয়াল ভরা গরু সব সময়ই ছিল বলে বাড়ন্ত হয়নি গরুর দুধ। ময়রারাও তাই মনের সুখে তৈরি করেছেন নানা ধরনের মিষ্টি। করেছেন নানা ধরনের নিরীক্ষা। নতুন পদের...

Sunday, March 28, 2021

আইসক্রিমের গল্প

0 comments
আইসক্রিম হিমায়িত মিষ্টিজাতীয় খাবার। আইসক্রিমের আদি গল্প কিন্তু অতি প্রাচীন বলে জানা যায়। চায়না, ইরান, ইতালি, গ্রিস, ভারত—সব দেশেরই আছে আইসক্রিম নিয়ে নিজস্ব ইতিহাস। তবে সব অঞ্চলেই প্রাচীনকালে মানুষকে আইসক্রিমের জন্য পাহাড় থেকে আনা বা হিমায়িত জলাশয় থেকে খুঁড়ে নেওয়া বরফের ওপরে নির্ভর করতে হতো। সংগৃহীত বরফ বিশেষ উপায়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করা হতো। তাই বরফের দুষ্প্রাপ্যতার জন্য আইসক্রিম জনসাধারণের নাগালের বাইরেই ছিল বলা যায়।এরপর যখন আঠারো শতকে রেফ্রিজারেটরে বরফ জমানোর কায়দা জানা গেল, তখনই প্রথম সাধারণ...

Saturday, March 27, 2021

মতুয়া সম্প্রদায়

0 comments
মতুয়া হিন্দু ধর্মীয় একটি লোকসম্প্রদায়। যারা নিম্ন বর্ণ হিসেবে বিবেচিত নমঃশূদ্র গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে প্রায় ২১০ বছর আগে জন্ম হয় হরিচাঁদ ঠাকুরের, যিনি এই মতুয়া সম্প্রদায়ের সূচনা করেন। পরবর্তীতে তার ছেলে গুরুচাঁদ ঠাকুরের মাধ্যমে বিস্তৃতি লাভ করে মতুয়া মতবাদ। মতুয়া শব্দটির অর্থ মেতে থাকা বা মাতোয়ারা হওয়া। হরিনামে যে মেতে থাকে বা মাতোয়ারা হয়, সে-ই মতুয়া। মতান্তরে ধর্মে যার মত আছে সেই মতুয়া। অর্থাৎ ঈশ্বরে বিশ্বাস, গুরু-দেবতা-ব্রাহ্মণে ভক্তিশ্রদ্ধা, হরিনামে...

Sunday, March 7, 2021

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত

0 comments
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত।সীতাকুণ্ড বাজার থেকে গুলিয়াখালি সি বীচের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। অনিন্দ্য সুন্দর গুলিয়াখালি সী বিচ কে সাজাতে প্রকৃতি কোন কার্পন্য করেনি। একদিকে দিগন্তজোড়া সাগর জলরাশি আর অন্য দিকে কেওড়া বন এই সাগর সৈকতকে করেছে অনন্য। কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চারিদিকে কেওড়া গাছের শ্বাসমূল লক্ষ করা যায়, এই বন সমুদ্রের অনেকটা ভেতর পর্যন্ত চলে গেছে। এখানে পাওয়া যাবে সোয়াম্প ফরেস্ট ও ম্যানগ্রোভ বনের মত পরিবেশ। গুলিয়াখালি সৈকতকে ভিন্নতা দিয়েছে সবুজ গালিচার...

Saturday, March 6, 2021

লোহায় পা কেটে গেলে কী টিটেনাস ইনজেকশন দিতে হয়?

0 comments
 মরচে পড়া লোহায় মরিচার সাথে আরও থাকতে পারে ময়লা আবর্জনা এবং বিভিন্ন ধরণের জীবাণু। এই জীবাণু গুলোই আমাদের জন্য বেশি ক্ষতিকর। একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া Clostridium tetani যা সাধারণত মাটি, আবর্জনা ও নোংরা স্থানে পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়ার স্পোর যখন তীক্ষ্ণ পেরেক বা ওইজাতীয় জীবানু বাহিত বস্তু দ্বারা চামড়া ভেদ করে শরীরের মাংসপেশিতে প্রবেশ করে তখন সেগুলো বংশবিস্তারের মাধ্যমে এক প্রকার টক্সিন (tetanospasmin) তৈরি হয়। এ টক্সিন মানবদেহের মোটর নিউরনে আক্রমন করে যা মাংসপেশির সন্ঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে। সংক্রমণ ...

Friday, March 5, 2021

খেজুর রস ও গাছি

0 comments
খেজুরগাছ, শীতের সঙ্গে রয়েছে যার নিবিড় সম্পর্ক। শীতকালে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরগাছ থেকে পাওয়া যায় সুমিষ্ট রস, গুড়। ফল হিসেবেও খেজুরের জুড়ি নেই। শীতের মিষ্টি রোদে খেজুরের গুড় দিয়ে মুড়ি খেতে কে না ভালোবাসে? কিন্তু বর্তমানে খেজুর গাছের কদর নেই। এ গাছকে ঝোপঝাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কোথাও-বা ইটভাটার উৎকৃষ্ট জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শীতকালে গাছিরা আর যান না তার কাছে। দা-কাঁচি, একগাছি রশি, একদণ্ড বাঁশ ও কোমরে ঝোলানো লম্বা-গোল আকৃতির বিশেষ পাত্র (ঠুঙ্গি) নিয়ে গাছে উঠতে...

Thursday, March 4, 2021

মুক্তাগাছার প্রসিদ্ধ মণ্ডা

0 comments
 মণ্ডা বললেই মনে আসে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার প্রসিদ্ধ মণ্ডা।১৯৬ বছর ধরে একটি পরিবারের হাতেই তৈরি হয়ে আসছে মুক্তাগাছার এই মণ্ডা। ওই পরিবারের বাইরের আর কেউ ওই মণ্ডা প্রস্তুতের প্রণালি জানেন না বলে দাবি মুক্তাগাছার প্রসিদ্ধ মণ্ডার দোকানটির মালিকপক্ষের।বর্তমান ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর শহরে গোপাল পালের প্রসিদ্ধ মণ্ডার দোকানটি ১৮২৪ সালে স্থাপিত হয়। তখন মুক্তাগাছার জমিদার সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী। গোপাল পালের মণ্ডা তাঁকে মুগ্ধ করে। এরপর জমিদারবাড়ির খাবারের তালিকায় জায়গা করে নেয় মণ্ডা। অতিথি আপ্যায়ন...

Wednesday, March 3, 2021

বিলুপ্তির পথে বাংলার গ্রে-হাউন্ড কুকুর

0 comments
 শিকারি গোছের গ্রে-হাউন্ড কুকুর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। এর দেহ তিন থেকে চার ফুট লম্বা। কান ও মুখ বেশ লম্বাটে। পেট ছোট হলেও বুকটা চওড়া। লেজটা চিকন ও লম্বা। লেজটি অধিকাংশ সময় দেহের নিচের দিকে সোজা ঝুলে থাকে। খুব একটা বাঁকা করে না। হালকা–পাতলা গড়নের এই কুকুরের পা ও পায়ের নখ লম্বা। বাদামি রঙের চোখ দুটি বড় বড়।শুধু আকৃতি বা দৈহিক গঠনের দিক থেকে গ্রে-হাউন্ড অন্যান্য কুকুরের চেয়ে আলাদা তা নয়। আচরণের দিক থেকেও আলাদা। হাঁটাচলা বা দৌড় দেওয়ার ভঙ্গিট ভিন্ন। ঘুমের অভ্যাসের মধ্যেও আছে...

Tuesday, March 2, 2021

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী চুঙ্গাপিঠা

0 comments
 খড়ের আগুনে বাঁশের ভেতর আতপ চালের গুঁড়ি সেদ্ধ হয়ে তৈরি হয় লম্বাটে সাদা পিঠা। চুঙ্গার ভেতরে তৈরি বলে এর নাম চুঙ্গাপিঠা। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে শীত মৌসুমে ভাপা, পুলি আর মালপোয়া পিঠার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পিঠা উৎসব মাতালেও এর দেখা পাওয়া এখন দুষ্কর।একসময় বাড়িতে জামাই এলে এই চুঙ্গাপিঠার সঙ্গে হালকা মসলায় ভাজা মাছ, নারকেল, কুমড়ার মিঠা বা রিসা পরিবেশন করা ছিল রেওয়াজ। রাতভর চলত চুঙ্গাপুড়ার কাজ। গিট্টু (ভাঁজ) মেপে ছোট ছোট করে কাটা বাঁশের ওপর জ্বলত খড়ের আগুন। কালের পরিক্রমায় সেই পিঠা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।পৌষ...

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ডালরুটি

0 comments
 বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতিতে পুরান ঢাকার খাবারের আলাদা একটি স্থান আছে। মোগলাই খাবারের সঙ্গে দেশি খাবারের সংমিশ্রণ কিংবা মোগলাই খাবারের দেশি সংস্করণের জন্য পুরান ঢাকা বিখ্যাত। ডালরুটি পুরান ঢাকার সে রকম ঐতিহ্যবাহী একটি খাবারের নাম। তবে এখন বিভিন্ন কারণে ঢাকার আদি খাবারগুলোর মধ্যে এটি টিকে আছে কোনোভাবে। পুরান ঢাকার মানুষ মনে করেন, বিকেলের নাশতায় নানা রকম তেলে ভাজা খাবারের চেয়ে এটি ভালো এবং মুখরোচক। তাই এটি ছিল ঢাকাবাসীর জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে একটি। লোকমুখে জানা যায়, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে...

Monday, March 1, 2021

বড়ি'র কথা

0 comments
 ডাল বা কুমড়োর বড়ি মূলত সংরক্ষণযোগ্য খাদ্য উপাদান। বড়ি বানিয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে কাচের বয়ামে পুরে বছরভর খাওয়া যায়।আশি বা নব্বইয়ের দশকে গ্রামে গ্রামে বড়ি দেওয়ার দৃশ্য ছিল নিয়মিত। শীত এলেই মাষকলাইয়ের বড়ি বানিয়ে সে বড়িকে খোলা জায়গায় নরম রোদে শুকাতে দেওয়ার দৃশ্য খুব একটা ধূসর হয়নি এখনো। কিন্তু বড়ি দেওয়ার সে চলই এখন সীমিত হয়ে গেছে।   নাম যেহেতু ডালের বড়ি, তাই এর মূল উপাদান যে ডাল, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মাষকলাই, মসুর এবং মটর ডাল ব্যবহার করা হয় এটি তৈরি করতে। সারা রাত ডাল...

সমুচা যেভাবে এলো বাংলায়

0 comments
 দশম শতকের ইরানি ইতিহাসবিদ আবুল ফজল বেহাগি তাঁর তারিখ-ই-বেহাগি নামের বইয়ে প্রথম ‘সাম্বুসাক’ খাবারটির উল্লেখ করেন বলে জানা যায় বিভিন্ন সূত্র থেকে। আমির খসরু (১২৫৩-১৩২৫) তেরো শতকের ভারতবর্ষীয় সুলতানদের খাবার টেবিলে দেখেছিলেন মাংসের পুর ভরা সামুসাক। সামুসাক বা সাম্বুসাক বা সামোসায়, সোজা বাংলায় আমরা যাকে সমুচা নামে চিনি। চলিত বাংলায় এ খাবারকে ছামুচা (সামুচা) বলেও ডাকা হয়।পর্তুগিজরা ভারতের পশ্চিম উপকূলে আলুর চাষ শুরু করে ১৭ শতকে। ধারণা করা হয়, সে সময় ভারতের পশ্চিম উপকূলের নিরামিষাশী মানুষ মাংসের...

শিঙাড়া’র ইতিকথা

0 comments
খাদ্য বিশারদদের মধ্যে একশ্রেণির ধারণা, শিঙাড়ার জন্ম মধ্যপ্রাচ্যে। আবার কেউ কেউ ধারণা করেন, এটি ইরানের খোরাসান অঞ্চলের খাবার। আবার কারও মতে, এটি তুর্কি খাবার। পরে যা ইরানে চলে যায়।এই খাবারটি এসেছে অন্য দেশ থেকে। এখনো শিঙারার জনপ্রিয়তা অটুট। সকালে কিংবা বিকালে চায়ের সঙ্গে খা্ওয়া হয় নানা স্বাদের শিঙারা।হিন্দিতে পানিফলের নাম শিঙাড়া। পানিফলের সঙ্গে শিঙাড়ার আকৃতিগত মিলের জন্য একে শিঙাড়া নামে ডাকা হয়। শিঙাড়ার শিং থাকে তিনটি। তবে শিং ভেঙে দিলে হাতে থাকে আলু। কিন্তু কী আশ্চর্য, আলুর সঙ্গে থাকে আরও কত...
Pages (19)123 Next