খাদ্য বিশারদদের মধ্যে একশ্রেণির ধারণা, শিঙাড়ার জন্ম মধ্যপ্রাচ্যে। আবার কেউ কেউ ধারণা করেন, এটি ইরানের খোরাসান অঞ্চলের খাবার। আবার কারও মতে, এটি তুর্কি খাবার। পরে যা ইরানে চলে যায়।
এই খাবারটি এসেছে অন্য দেশ থেকে। এখনো শিঙারার জনপ্রিয়তা অটুট। সকালে কিংবা বিকালে চায়ের সঙ্গে খা্ওয়া হয় নানা স্বাদের শিঙারা।
হিন্দিতে পানিফলের নাম শিঙাড়া। পানিফলের সঙ্গে শিঙাড়ার আকৃতিগত মিলের জন্য একে শিঙাড়া নামে ডাকা হয়।
শিঙাড়ার শিং থাকে তিনটি। তবে শিং ভেঙে দিলে হাতে থাকে আলু। কিন্তু কী আশ্চর্য, আলুর সঙ্গে থাকে আরও কত কী? থাকছে ফুলকপি, চিনাবাদাম, গরু বা খাসির কলিজা কিংবা মাংসের পুর! অবাক হই না। কারণ, খেতে ভালোই লাগে। বাঙালির হেঁশেলে ঢুকে কোন খাবারটি তার স্বরূপ ধরে রাখতে পেরেছে? এমন যে পরাক্রমশালী মোগল, কূটনীতিতে পোক্ত ইংরেজ, যুদ্ধবাজ ডাচ, নাক উঁচু ফরাসি তাদের সবাইকে পরাজিত করেছে আমাদের হেঁশেলের মানুষেরা—মসলা, তেল আর লবণে মেখে কষিয়ে কষিয়ে। সেখানে শিঙাড়ায় আলুর সঙ্গে ফুলকপি, চিনাবাদাম, কলিজা কিংবা মাংসের পুর জায়গা করে নেবে, সেটা ছিল বিধিলিপি।
আলুর পুর দিয়ে শিঙ্গাড়া বানানোই আদি নিয়ম। কিন্তু শীতে আলুর সঙ্গে ফুলকপির ফুল আর তাজা ধনেপাতা কষিয়ে পুর বানিয়ে শিঙাড়া বানানো হয়।
লেখা:রজত কান্তি রায়, প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment