Saturday, June 26, 2021

মেন্সট্রুয়াল কাপ

0 comments

 আগে মেয়েরা ঋতু চলাকালে কাপড় ব্যবহার করত। এরপর এল স্যানিটারি ন্যাপকিন, তারপর ট্যাম্পন। তবে এগুলো একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর এবং আরামদায়ক নয়। বর্তমানে এই প্রোডাক্টটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হলেও অনেকেই মেন্সট্রুয়াল কাপ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন না। আবার অনেকে এর সম্পর্কে জেনেও ব্যবহার করতে ভয় পান, দ্বিধায় ভোগেন। 

 


মেন্সট্রুয়াল কাপ কী?

এটি মূলত ফানেলের মতো আকৃতির মেডিকেল গ্রেড সিলিকনের কাপ। এটি স্যানিটারি ন্যাপকিনের মতো রক্ত শুষে না নিয়ে কাপে জমা রাখে। ভাঁজ করে যোনিপথ দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেটা ভেতরে গিয়ে প্রসারিত হয়ে জরায়ু মুখে আটকে যায়। ইকো ফ্রেন্ডলি হওয়ায় অন্যান্য সব পদ্ধতি থেকে এটি বেশি স্বাস্থ্যকর। ফ্লোর ওপর ভিত্তি করে এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্তও ব্যবহার করা যায়। তবে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পরপর বের করে পরিষ্কার করা শ্রেয়।



 

যেভাবে ব্যবহার করবেন মেন্সট্রুয়াল কাপ

* প্রথমেই আপনার হাত ভালো করে ধুয়ে নিন। কাপের খোলা অংশটি ওপরে রেখে নিচের অংশ শক্ত করে ধরে যোনিপথে ঢোকাতে হবে।

* কাপটি সি শেপে ফোল্ড করে ভাঁজ করে নিতে পারেন। নানা ধরনের শেপে ভাজ করা যায় যেমন—সি ফোল্ড, পাঞ্চ ডাউন, সেভেন ফোল্ড, ট্রায়াঙ্গেল, ডায়মন্ড শেপ ইত্যাদি। ভেতরে ঢোকানোর পর কাপটি ছাতার মতো খুলে যাবে। তারপর সেটিকে ঘুরিয়ে মুখ আটকে দিতে হবে, যাতে রক্ত বাইরে বেরিয়ে না আসে। এভাবে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লিকেজের টেনশন ছাড়া এবং চেঞ্জ করা ছাড়া ব্যবহার করা যাবে। ৮ ঘণ্টা পরে টান দিয়ে খুলে রক্ত পরিষ্কার করে নিতে হবে। এ ছাড়া ইউটিউবে নানা ধরনের ভিডিও পেয়ে যাবেন।

* গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। আপনার বয়স, ফ্লোর পরিমাণ, কাপের ধারণক্ষমতা ছাড়াও সন্তান ধারণ করেছেন কি না এর ওপরও নির্ভর করে আপনার কাপের সাইজ। সন্তান জন্মের পর ভ্যাজাইনার পেশি শিথিল হয়ে যায়। তখন বড় সাইজের কাপ ব্যবহার করতে হয়। আবার কিশোরী বয়সে সেই মাপটা ছোট হয়। তা ছাড়া আপনার যদি ফাইব্রোয়েডস বা জরায়ুতে ইনফেকশন থাকে, তাহলে এটি না ব্যবহার করাই শ্রেয়।

* প্রতিবার পিরিয়ড শেষে কাপটি গরম পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর মুছে শুকনো জায়গায় রাখুন। পরে এটিকে পরিষ্কার হাতে ধরুন। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে একটি কাপ ৮-১০ বছর ব্যবহারের উপযোগী হবে।

 

মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা


পশ্চিমা দেশের নারীদের কাছে বর্তমানে মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার সব থেকে নিরাপদ ও আরামদায়ক। একবার কিনে অনেক দিন ব্যবহার করা যায়। মাসিকের যন্ত্রণা থেকে অনেকখানি মুক্তি দেয়।
তুলনামূলকভাবে কম ঝামেলাহীন ও পরিবেশের ক্ষতি হয় না।

এমা কক্সের মেন্সট্রুয়াল কাপের কোম্পানি কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কেননা নিম্নবিত্ত বা হোমলেস নারীরা এই কাপ নিয়ে বেশ কিছু ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছিলেন। তিনজনকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল। কারণ, এই কাপ ব্যবহারে প্রয়োজন সঠিক স্যানিটেশন। বেশির ভাগ সময়ই ভালো জিনিসের মন্দ দিকগুলো আমরা গোপন রাখি কিংবা বলতে চাই না। তবে ভালো জিনিস বলেই যে তার খারাপ দিক থাকবে না, এমনটা নয়। মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহারেও আপনার বেশ কিছু অসুবিধা হতে পারে।

এই কাপ ব্যবহারে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। কাপ ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে খুলে তা পরিষ্কার করতে হয়; যা ঘরের বাইরে থাকলে করা খুবই কষ্টসাধ্য। সব সময় ব্যবহারের পর ফুটন্ত পানিতে ফুটিয়ে তুলে রাখতে হবে। পরিষ্কার হাতে এই কাপ ধরতে হয়। তাই হুটহাট চাইলেই কাপ খুলে পরিষ্কার করা যায় না। হাত ভালো করে ধুয়ে কাপ ধরতে হয়।

মেন্সট্রুয়াল কাপ সম্পর্কিত কিছু কুসংস্কার

অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা আছে যে মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহারে হাইমেন পর্দা ছিঁড়ে যায়, ফলে ভার্জিনিটি নষ্ট হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ, কাপটি যোনিপথের সামনের দিকেই থাকে, হাইমেন পর্দার কাছেও যায় না। তাই ছেঁড়ার প্রশ্নই ওঠে না। অনেকে ভাবেন যে ব্যথা পাবেন, এটিও ঠিক নয়।

এটিকে একটু ব্যয়বহুল মনে হলেও হিসাব মেলালে দেখা যাবে এটি একটি লাইফ টাইম ইনভেস্টমেন্ট। কারণ, একটি কাপ সঠিকভাবে ব্যবহারে ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী; যা আপনার মাসে মাসে স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার টাকার তুলনায় খুবই নগণ্য।  

 

 সংগৃহীত: প্রথম আলো

Tuesday, June 15, 2021

বায়তুল মোকাররম মসজিদ নির্মাণের ইতিকথা

0 comments

বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদের নাম ‘বায়তুল মোকাররম’। এটি ঢাকায় অবস্থিত। এর বর্তমান ধারন ক্ষমতা ৪০,০০০। কিন্তু যখন এটি নির্মাণ করা হয়েছিল তখন এর ধারন ক্ষমতা ছিল ৩০,০০০। বায়তুল মোকাররম মসজিটি পৃথিবীর ১০ম বৃহত্তম মসজিদ হিসেব বিখ্যাত। বায়তুল মোকাররম মসজিদ নির্মাণের পিছনে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা আছে যা আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা। এখানে কিছু তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হলো মাত্র:

 
কথিত আছে যে, পঞ্চাশ/ষাট দশকে তৎকালীন ঢাকার এক শ্রেনীর অভিজাত নাগরিকদের বসবাস ছিল পুরানা পল্টন, সেগুন বাগিচা এলাকায়। ঐ সময় দ্রুত ঢাকা শহরের বিস্তার ঘটছিল, বিশেষ করে শহরের উত্তরাংশে। তখনকার ঢাকার মূল নক্সা অনুসারে সদর ঘাট থেকে সোজা উত্তর দিকে যে নবাবপুর রোডটি গুলিস্থান এলাকা হয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এর দিকে চলে গেছে , সেটি ডানে বামে কোথাও মোড় না নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ বরাবর (তখনও মসজিদ নির্মাণ হয়নি) পুরানা পল্টন-সেগুন বাগিচা এলাকার উপর দিয়ে আরো উত্তরে চলে যাবার কথা ছিল, এতে অভিজাত শ্রেনীর অনেক নাগরিকের আবাস্থলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এমতাবস্থায় উক্ত এলাকায় বসবাসরত অবাঙ্গালী ধনিক শ্রেনীর নেতৃত্বস্থানীয় কিছু ব্যাক্তি রাতারাতি বর্তমান স্থানে মসজিদ নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহন করে তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানের নিকট একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। যুক্তি হিসেব তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বোঝায় যে, পুরাতন এবং নতুন ঢাকার সংযোগস্থলেই ঢাকা শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ করা অধিকতর যুতসই হবে। এতে নতুন ও পুরাতন ঢাকার সকলেই এই মসজিদের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।উল্লেখ্য গুলিস্থান হতে দক্ষিনে ঢাকার মূল শহর যা পুরাতন ঢাকা হিসেবে পরিচিত ছিল এবং গুলিস্থান হতে উত্তরে তখন নতুন শহর অর্থাৎ নতুন নতুন আবাসিক এলাকা এবং অফিস ও বানিজ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছিল। সামরিক প্রশাসন এই প্রস্তাব গ্রহন করে মসজিদ নির্মাণের সকল খরচ ব্যাবসায়ী মহলকেই বহন করতে অনুরোধ করে।
 

এ প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আব্দুল লতিফ ইব্রাহীম বাওয়ানী সর্বপ্রথম মসজিদটি নির্মাণের সম্পূর্ণ অর্থ যোগানের দায়িত্ব গ্রহনে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সে মোতাবেক এটি নির্মাণের কাজ তদারকি ও সমন্ময় সাধনের জন্যে ১৯৫৯ সালে ‘ বায়তুল মোকাররম মসজিদ সোসাইটি’ নামে একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
 
ঢাকায় বসবাস করেন তখনকার অনেক বিশিষ্ঠ জনের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে এবং তাঁদের বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, বায়তুল মোকাররম মসজিদটি যেস্থানে নির্মিত হয়েছে সে স্থানটিতে একটি বড় পুকুর ছিল এবং পুকুরটির নাম ছিল ‘ পল্টন পুকুর ‘।এছাড়া পুকুরটির পার্শ্ববর্তী খোলা জায়গাটি মূল শহরের সীমানার বাইরে ছিল বিধায় (তখনও নতুন শহর গড়ে ওঠা শুরু হয়নি) পুরাতন শহরের সকল ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলা (Dumping Place) হতো। কালের আবর্তে ময়লা ফেলতে ফেলতে পুকুরটিও প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছিল।
 

বায়তুল মোকাররম মসজিদের নক্সা ও নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘ আব্দুল হোসেইন এম. থারিয়ানি এন্ড কোম্পানী ‘ কে। থারিয়ানি এন্ড কোম্পানী সে সময়ে বেশ সুনামধন্য একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল। এ প্রতিষ্ঠানটি ‘ঢাকা নিউ মার্কেট, ‘শাহবাগ হোটেল’ (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বা পিজি হাসপাতাল ), তৎকালীন আদমজী গ্রুপের হেড অফিস ‘ আদমজী কোর্ট বিল্ডিং’ এবং ‘ডিআইটি বিল্ডিং(বর্তমানে রাজউক) নির্মাণ করে সুনাম অর্জন করে।
 
বায়তুল মোকাররম মসজিদের নক্সা করার সময় মসজিদকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম মার্কেট , অফিস, লাইব্রেরি, গাড়ী পার্কিং এবং দক্ষিন প্রান্তে আগ্রার তাজমহলের সম্মুখভাগের একাধিক ছোট ফোয়ারা শোভিত পানির আধারের ন্যায় লম্বা পানির আধার সম্বিলিত মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। 
পবিত্র কাবা শরীফ প্রতিটি ধর্মপ্রান মুসলিমের নিকট অতি পবিত্র একটি স্থান বিবেচিত। কাবা শরীফ কে কেন্দ্র করেই মুসলমানগন পৃথিবী যে যে প্রান্তেই অবস্থান করুন না কেন নামাজ আদায় করে থাকেন।এছাড়া কাবাঘরের ছবিটি সকলেই নিজ নিজ অন্তরে ধারন করে থাকেন যেন চক্ষু বন্ধ করলে চোখের ভেতর পবিত্র কাবা শরীফের দৃশ্যটি ভেসে উঠে।যেহেতু বায়তুল মোকাররম মসজিদটি হবে ঢাকার কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং পবিত্র স্থান; এ কথা চিন্তা করেই বায়তুল মোকাররমের বহি:দৃশ্যটি (Out look) যেন কাবা ঘরের মত দৃশ্যমান হয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম স্থাপত্যের ঐতিহ্যেরও যেন প্রতিফলন ঘটে সে কথা বিবেচনায় রেখে পবিত্র কাবা শরীফ ও মোঘল স্থাপত্য কলার সমন্ময় ঘটিয়ে বায়তুল মোবারক মসজিদের স্থাপত্য নক্সাটি করা হয়। কাবা শরীফের ন্যায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের মূল অংশে কোন ডোম নেই, কিন্তু দক্ষিণ এশিয়া সহ পৃথিবীর অন্যান্য অন্চলে সাধারণত ডোম সম্বলিত মসজিদ হয়ে থাকে, একথা ভেবে মূল কাঠামোয় ডোম না রাখলেও ডোমের অভাব পূরনের জন্য বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণের প্রবেশ পথে দুটি ডোম সম্বিলিত প্রবেশ দ্বার নির্মাণ করা হয়। যদিও মূল নক্সা অনুযায়ী মসজিদের প্রধান প্রবেশ পথটি পূর্বদিক থেকেই হবার কথা ছিল।
 
বায়তুল মোবারক মসজিদ ৮ তালা বিশিষ্ট এবং এর উচ্চতা ৯৯ ফুট। মসজিদের নীচ তালার মূল নামাজের স্থানটি ২৬,৫০৭ বর্গফুট। এর পূর্বদিকে আরও ১৮৪০ বর্গফুট জায়গা রাখা হয়েছে নামাজ পড়ার জন্য। এছাড়াও মূল কাঠামোর বাইরে পূর্বদিকে আরও ২৮,৯৮৭ বর্গফুট খোলা জায়গা নামাজ পড়ার জন্য রাখা হয়েছে।
 

১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারী বায়তুল মোকাররম মসজিদের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করে প্রথম পর্যায়ে দোতালা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। পরবর্তিতে বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেড়িয়ে ১৯৬৮ সালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের কাজ সম্পূর্ণ হয়।বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রধান স্থপতি ছিলেন ‘ আব্দুল হোসেইন এম. থারিয়ানি এন্ড কোম্পানী ‘ এর স্বত্বাধিকারী মি: আব্দুল হোসেইন মোহাম্মদ থারিয়ানি’র পুত্র মো: সেলিম থারিয়ানি । ১৯৬৩ সালে বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রথম নামাজ পড়া শুরু হয় এবং ১৯৬৪ সাল হতে বায়তুল মোকাররম মার্কেট চালু হয়।
 
লিখেছেনঃ একেএম সামসুদ্দিন

Monday, June 14, 2021

গ্রাফোলজিঃ হাতের লেখায় মানুষ চেনা (পর্ব-৩) [মৃগাঙ্ক চক্রবর্তী]

0 comments

 

বদমেজাজি মানুষদের হাতের লেখা দেখে চেনা যায়। কেউ বদমেজাজি কীনা দেখতে গেলে, হাতের লেখায় লক্ষ্য করবেন t এর ক্রসবারটার দিকে। যদি দেখেন t এর ক্রসবারটা t-কে ছাড়িয়ে ডানদিকে সরে গেছে, তার মানে মানুষটা বদমেজাজি, শর্ট টেম্পারড। 
 
নীচের ছবিতে toy লেখাটায় t এর ক্রসবারটা লক্ষ্য করুন। দেখবেন ডানদিকে সরে গেছে।
 

একজন মানুষ খুব সহজেই ইরিটেট ফিল করে কীনা সেটাও কারো হাতের লেখা দেখে বোঝা সম্ভব। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে i আর j এর ডটের দিকে। 
 
সাধারণত এই ডটটা ছোটো একটা বিন্দু হয়। কিন্তু যদি দেখা যায় i এবং j এর ওপরের ডটটা একটা ছোট্টো বিন্দুর বদলে স্ল্যাস মতোন আকার নিয়েছে, তার মানে সেই মানুষটা সহজেই ইরিটেট ফিল করে, সহজেই ইরিটেট হয়ে যায়। নীচের joy আর Indian শব্দদুটোতে j আর i এর মাথার ওপরের ডটটা দেখো। দেখবে বিন্দুর বদলে স্ল্যাস আকার নিয়েছে। এর মানে মানুষটা সহজেই ইরিটেট হয়ে যায়। 
 
🖋️ Mriganka Chakraborty
Source:
BOOKS:
1) HANDWRITING ANALYSIS PUTTING IT TO WORK FOR YOU: ANDREA MCNICHOL (CONSULTED BY THE FBI, THE U.S DEPARTMENT OF JUSTICE, SCOTLAND YARD, TGE U.S DEPARTMENT OF DEFENCE, AND FORTUME 500 COMPANIES) WITH JEFFREY A. NELSON
2) HANDWRITING ANALYSIS : P. SCOTT HOLLANDER
3) HANDWRITING ANALYSIS TGE COMPLETE BASIC BOOK: KAREN KRISTIN AMEND AND MARY STANSBURY RUIZ
4) BART BAGGETT'S HANDWRITING ANALYSIS SECRETS OF LOVE SEX AND RELATIONSHIP: BART BAGGETT
VIDEO TUTORIAL:
1) A TO Z GRAPHOLOGY BY ZUBIN VEVAINA
2) GRAPHOLOGY BY FIONA MACKAY YOUNG
3) HANDWRITING ANALYSIS TUTORIAL BY BART BAGGETT

গ্রাফোলজিঃ হাতের লেখায় মানুষ চেনা (পর্ব-২) [মৃগাঙ্ক চক্রবর্তী]

0 comments

গ্রাফোলজিতে বলা হয়, হাতের লেখায় ক্যাপিটাল S দেখে বোঝা যায়, মানুষটা চাইল্ডিশ স্বভাবের, নাকি ম্যাচিওর মেন্টালিটির।
নীচের ছবির প্রথম S টার দিকে নজর দিলে দেখবেন S এর ওপরের অংশটা নীচের অংশের থেকে বেশী বড়ো। S এর এরকম গঠন হাতের লেখায় দেখা গেলে, এর মানে লোকটার মধ্যে এখনো বাচ্চামো স্বভাব আছে। চাইল্ডিশ স্বভাব সম্পর্ক কিংবা ওয়ার্ক প্লেস, সবক্ষেত্রেই এফেক্ট ফেলে।
ছবির দ্বিতীয় S টা দেখলে দেখা যায়, S এর ওপর এবং নীচের দুটো অংশই সমান। এদের মাইন্ডসেট চাইল্ডিশ নয়, আবার পুরোপুরি ডেভেলপড ম্যাচিওর নয়। বরং ডেভেলপিং পর্যায়ে আছে। মানে, এখনো ডেভেলপ করছে।
ছবির তৃতীয় S এ দেখা যাচ্ছে ওপরের অংশের থেকে নীচের অংশটা বড়ো। এরকম S দেখা গেলে, সেই মানুষটার মাইন্ডসেট ডেভেলপড। সে পুরোপুরি ম্যাচিওর স্বভাবের।
🖋️ কলমেঃ চক্কোত্তির শ্লো-Gun
Source:
BOOKS:
1) HANDWRITING ANALYSIS PUTTING IT TO WORK FOR YOU: ANDREA MCNICHOL (CONSULTED BY THE FBI, THE U.S DEPARTMENT OF JUSTICE, SCOTLAND YARD, TGE U.S DEPARTMENT OF DEFENCE, AND FORTUME 500 COMPANIES) WITH JEFFREY A. NELSON
2) HANDWRITING ANALYSIS : P. SCOTT HOLLANDER
3) HANDWRITING ANALYSIS TGE COMPLETE BASIC BOOK: KAREN KRISTIN AMEND AND MARY STANSBURY RUIZ
4) BART BAGGETT'S HANDWRITING ANALYSIS SECRETS OF LOVE SEX AND RELATIONSHIP: BART BAGGETT
VIDEO TUTORIAL:
1) A TO Z GRAPHOLOGY BY ZUBIN VEVAINA
2) GRAPHOLOGY BY FIONA MACKAY YOUNG
3) HANDWRITING ANALYSIS TUTORIAL BY BART BAGGETT

গ্রাফোলজিঃ হাতের লেখায় মানুষ চেনা (পর্ব-১) [মৃগাঙ্ক চক্রবর্তী]

0 comments

 

গ্রাফোলজিতে আরো তিনরকম ক্যাপিটাল S দেখা যাক বরং। 
প্রথম S-টা লক্ষ্য করলে দেখবে, S এর ওপরে একটা দাগ মতো আছে। এরকম S যারা লেখেন তারা অনেকসময় বেশী বিনয়ী হতে গিয়ে মানুষ তাদের ফেক মনে করেন। হয়তো তিনি নিজের সাধারণ ভদ্রতা দেখাচ্ছেন। কিন্তু বেশী বিনয়ী বা গ্রেটফুল হতে গিয়ে লোকটাকে সবাই ফেক, মনে করে।
দ্বিতীয় S-টা প্রথম S এর মতোই। কিন্তু ওপরের বদলে দাগটা নীচে আছে। এরকম লোকগুলো একটা ব্যাপার হওয়ার পর, সেই ব্যাপারটা নিয়ে ডিটেইলসে মানুষজনকে বলতে ভালোবাসেন। ধরো, লোকটা অনেকক্ষণ চেষ্টাচরিত্র করার পর একটা কাজ সফলভাবে করলেন বা কোনো একটা জিনিস রিসিভ করলেন। তারপর তিনি কীভাবে কতোটা চেষ্টাচরিত্র করেছেন, কতোটা সাধ্যসাধনা করার পর জিনিসটা উনি রিসিভ করেছেন, সেটা লোকটা সবাইকে ডিটেইলসে জানাতে পছন্দ করেন।
তৃতীয় S-এর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে S-এর নীচের দিকে লুপ মতো একটা আকার দেখা যাচ্ছে। অনেকটা "ু"-কারের মতো। এই ধরনের মানুষগুলো খুব মেটারিয়ালিস্টিক স্বভাবের হয়। একটা কিছু পাওয়ার পরও, আরো চাই, আরো যদি পেতে পারি, এই মনোভাবটা ওদের মধ্যে থাকে। এদের সবসময় টার্গেট থাকে, এরা কতোটা কম টাকায়, কতো বেশী বেশী জিনিস পেতে পারে।
Source:
BOOKS:
1) HANDWRITING ANALYSIS PUTTING IT TO WORK FOR YOU: ANDREA MCNICHOL (CONSULTED BY THE FBI, THE U.S DEPARTMENT OF JUSTICE, SCOTLAND YARD, TGE U.S DEPARTMENT OF DEFENCE, AND FORTUME 500 COMPANIES) WITH JEFFREY A. NELSON
2) HANDWRITING ANALYSIS : P. SCOTT HOLLANDER
3) HANDWRITING ANALYSIS TGE COMPLETE BASIC BOOK: KAREN KRISTIN AMEND AND MARY STANSBURY RUIZ
4) BART BAGGETT'S HANDWRITING ANALYSIS SECRETS OF LOVE SEX AND RELATIONSHIP: BART BAGGETT
VIDEO TUTORIAL:
1) A TO Z GRAPHOLOGY BY ZUBIN VEVAINA
2) GRAPHOLOGY BY FIONA MACKAY YOUNG
3) HANDWRITING ANALYSIS TUTORIAL BY BART BAGGETT
🖋️ Mriganka Chakraborty

Sunday, June 13, 2021

গ্রাফোলজিঃ হাতের লেখায় মানুষ চেনা [মৃগাঙ্ক চক্রবর্তী]

0 comments

 গ্রাফোলজি কথাটার মানে হলো, মানুষের হাতের লেখা অ্যানালাইসিস করে, সেই মানুষটার স্বভাব চরিত্র সব বলে দেওয়া। যদিও এটা একটা সিউডো সায়েন্স। তবে সম্প্রতি এই গ্রাফোলজি নিয়ে চর্চা বেশ বেড়েছে।

হাতের লেখা দেখে কীভাবে মানুষ চেনা, সেসব নতুন নতুন ফান্ডা এখানে আলোচনা করবো।
আজকে আলোচনা করবো, হাতের লেখা দেখে কীভাবে মিথ্যাবাদী চেনা যায়। কীভাবে বোঝা যায় একজন মানুষ মিথ্যা কথা বলে নাকি? মানুষটা কতোটা সিক্রেটিভ? কে স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড না?
এই সমস্তটাই বোঝা যায়, ছোটো হাতের লেখা O এর লুপ দেখে। আর ছোটো হাতের C এর লুপ দেখে।
১) প্রথম ছবিটা ভালো করে দেখুন। Luck শব্দটার C-টায় লুপটা লক্ষ্য করুন। এরকম লুপ যদি, কোনো হাতের লেখায় ছোটো হাতের C তে দেখা যায়, তার মানে এই যে, ওই মানুষটা স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড না। ইনিয়েবিনিয়ে বা ঘুরিয়ে কথা বলতে সে ভালোবাসে।
 
২) দ্বিতীয় ছবিতে দেখুন, Love শব্দটায় ছোটো হাতের O তে বাঁদিকে লুপ আছে। এরকম কোনো হাতের লেখায়, O-এর বাঁদিকে লুপ থাকার মানে, যার হাতের লেখা, সেই মানুষটা নিজে এমন সব জিনিস স্বজ্ঞানে অজ্ঞানে বিশ্বাস করে, যেগুলো পুরোপুরি কিংবা একেবারেই সত্যি না। অথচ তারা নিজের মনে মনেই এসব মিথ্যাকে সত্যি বলে বিশ্বাস করে এসেছে। এবং সামনের মানুষটাকে বলার সময় সেই মিথ্যাটাই সত্যি হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করে। এর মানে এই নয় যে সে মিথ্যাবাদী। এর মানে মানুষটা নিজে মিথ্যাটাকে সত্যি বলে অ্যাকসেপ্ট করে। 
 
৩) তৃতীয় ছবিতে Son শব্দটায় O তে দুদিকে দুটো লুপ দেখা যাচ্ছে। এরকম হাতের লেখার মানে, মানুষটা মিথ্যাবাদী। লোকটার মিথ্যা কথা বলাটা একটা অভ্যাস। 
 
৪) চতুর্থ ছবিতে Pond লেখায় O-তে ডানদিকে লুপ তৈরি হয়েছে। এরকম ডানদিকে লুপওয়ালা O, কারো হাতের লেখায় দেখা গেলে, এর মানে মানুষটা সিক্রেটিভ। যেকোনো কিছু সবার সামনে প্রকাশ না করে, নিজের মনে চেপে রাখতে পছন্দ করে। 
 
🖋️ Mriganka Chakraborty
Source:
BOOKS:
1) HANDWRITING ANALYSIS PUTTING IT TO WORK FOR YOU: ANDREA MCNICHOL (CONSULTED BY THE FBI, THE U.S DEPARTMENT OF JUSTICE, SCOTLAND YARD, TGE U.S DEPARTMENT OF DEFENCE, AND FORTUME 500 COMPANIES) WITH JEFFREY A. NELSON
2) HANDWRITING ANALYSIS : P. SCOTT HOLLANDER
3) HANDWRITING ANALYSIS TGE COMPLETE BASIC BOOK: KAREN KRISTIN AMEND AND MARY STANSBURY RUIZ
4) BART BAGGETT'S HANDWRITING ANALYSIS SECRETS OF LOVE SEX AND RELATIONSHIP: BART BAGGETT
VIDEO TUTORIAL:
1) A TO Z GRAPHOLOGY BY ZUBIN VEVAINA
2) GRAPHOLOGY BY FIONA MACKAY YOUNG
3) HANDWRITING ANALYSIS TUTORIAL BY BART BAGGETT

বাংলাদেশে আলোচিত ৫ পরকীয়া কাহিনী

0 comments

একটি সুখী পরিবারকে চোখের পলকে তছনছ করে দিতে পারে পরকীয়া সম্পর্ক। কেউ নিজের ইচ্ছায় এই নিষিদ্ধ সম্পর্কে জড়ান, আবার কেউ পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়েন। আবার জীবনসঙ্গী মনের মতো না হলে কেউ কেউ সচেতনভাবেই পরকীয়া প্রেম করেন। প্রতিনিয়ত পত্র পত্রিকায় পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে নানা সংবাদ ছাপা হচ্ছে । বর্তমানে এর প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে আলোচিত ৫ টি পরকিয়া সমাজকে নাড়া দেয়। আবেদন করে ব্যবস্থা নেয়ার।



১.  খুকু আর মনিরের পরকীয়ার কারণে যে মৃত্যু মানুষকে হতবিহ্বল করে তেমন মৃত্যু ঘটেছিল শারমীন রীমার। ১৯৮৯ সালে বিয়ের মাত্র তিন মাস পর খুন হন শারমীন রীমা। স্বামী মনিরের সাথে  চট্টগ্রাম বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার পথে স্বামী মনির হোসেন রীমাকে হত্যা করে লাশ নারায়ণগঞ্জের মিজমিজি গ্রামের কাছে ফেলে রেখে আসে। বাড়ি থেকে এত দূরে কোনো মেয়ের লাশ পাওয়া গেলে যে কেউই সবার আগে ধরে নেয় হয় স্বামী নিজেও খুন হয়েছে বা নিজেই খুন করেছে। ঘটনার পরদিন ১০ মে গ্রেফতার হন মুনির। মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। ১৯৯০ সালের ২১ মে ঢাকার জেলা ও দায়রা আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর দীর্ঘদিন মামলা চলার পরে নিম্ন আদালতে অপরাধী মুনির হোসেন এবং হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনাদানকারী তার প্রেমিকা হোসনে আরা খুকু দুজনেরই ফাঁসির রায় হলেও উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের রায়ে খুকুকে খালাস দেওয়া হয়।



২. চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকর ডাক্তার ছেলে মোস্তফা মোরশেদ আকাশ এর বিয়ের কার্ড বিলি শেষ। এমন সময় জানতে পারেন তার হবুস্ত্রীর পুরাতন প্রেমিক রয়েছে। বিয়ের পর জানতে পারে অন্য আরেক একজনের সংগে  তানজিলা হক চৌধুরী মিতু’র চলছে পরকীয়া। বারংবার নিষেধ স্বস্ত্বেও সংশোধন হয়নি মিতু। অবশেষে ২০১৯ সালে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেই নিজেকে শেষ করে দেন আকাশ।

৩. ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম (মিতু)। স্বামী পুলিশের এএসআই বাবুল আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পাঁচ বছর পর পিবিআইর তদন্তে এ খুনের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

তদন্তসংশ্লিষ্টদের দাবি, আলোচিত মিতু হত্যা মামলার অন্যতম ইন্ধনদাতা মনে করা হচ্ছে ভারতীয় নাগরিক গায়ত্রী অমর সিংহকে। তিনি ২০১৩ সালে ইউএনএইচসিআরের ফিল্ড অফিসার (প্রটেকশন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন কক্সবাজারে। একই সময় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন সঙ্গে বাবুল আক্তার।

ওখানেই তাদের বন্ধুত্ব হয়। পরে তা রূপ নেয় পরকীয়ায়। গায়ত্রী বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় বিভিন্ন হোটেলে বাবুল আক্তারের সঙ্গে একান্তে দেখা করেছেন।

৪. ২০১৯ সালে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার পিছনেও রয়েছে পরকীয়ার মত বিষয়। বিয়ের পরও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি তার আগের প্রেমিক নয়ন বন্ডের সাথে নিয়মিত সম্পর্ক রাখত। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতির এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে খুন করা হয় রিফাতকে। যদিও এর সাথে মাদক ও ছিনতাইয়ের একটি যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু সব ছাপিয়ে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কই বড় ঘটনার জন্ম দেয়।

৫.  ২০২১ সালের জুন মাসে কুষ্টিয়ায় পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়ের ছোঁড়া গুলিতে স্ত্রী-সন্তানসহ পরকীয়া প্রেমিক নিহত হয়। পুলিশ জানায়,  দেড় বছর আগে সৌমেন কুষ্টিয়া থাকাকালীন সময়ে আসমার সাথে পরিচয় হয়।  আসমা তার আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে সৌমেনের সাথে গোপনে বিয়ে করে। পরবর্তী পর্যায়ে সৌমেন বদলি হয়ে কুষ্টিয়া থেকে চলে গেলে আসমার সাথে বাড়ির পাশের সাকিলের পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে।



পশ্চিমা বিশ্বে পরকীয়া নিয়ে গবেষণা ও জরিপ হলেও বাংলাদেশে তা দৃশ্যমান নয়। ফলে জানা যায় না সঠিক তথ্য। তবে ২০১৯ এর একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, প্রতি ৫৫ মিনিটে ঢাকা সিটি করোর্পরেশনে একটি করে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়ে।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান। ইসলাম ধর্মে পরকীয়া কঠিনভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে । ইসলামি আইন শাস্ত্রে পরকীয়ায় জড়িত নারী পুরুষের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, যা হলো পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদন্ডের শাস্তি।
বাংলাদেশে পরকীয়া সংক্রান্ত আইনের ৪৯৭ ধারায় বলা হয়েছে যে কোন বিবাহিত ব্যক্তি যদি অন্য কোন বিবাহিত নারীর সাথে জেনেশুনে যৌন সম্পর্ক করে তাহলে তা ব্যভিচার বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে সেই পুরুষটির পাঁচ বছরের কারাদন্ড, অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান আছে। তবে যে নারীর সাথে ব্যভিচার করা হয়েছে - তার ক্ষেত্রে আইনে কোন শাস্তির বিধান নেই, ব্যভিচারকারী নারী ও পুরুষ উভয়ের শাস্তির কথাও বলা নেই।  


Saturday, June 12, 2021

বিলেত শব্দটির উৎপত্তি

0 comments

‘বিলাত’ শব্দটির অর্থ ইংল্যান্ড, ইউরোপ। বস্তুত ‘বিলাত’ অর্থ ইংল্যান্ড। বাঙালির কাছে বিলাত শব্দটা যখন বহুল প্রচলিত ছিল তখন ‘বিলাত’ বলতে শুধু ইংল্যান্ড নয়, পুরো ইউরোপকেই বোঝাত। এখন অবশ্য ‘বিলাত’ শব্দটি আগের মত বহুল প্রচলিত নয়। এখন ইংল্যান্ডকে আর বিলাত বলা হয় না, ইংল্যান্ডই বলা হয়।

তবে বাঙালির বিলাত শব্দটি বিলাতি নয়, আরবি। আরবি ‘ওয়ালাত’ শব্দ ফারসি, উর্দু ও হিন্দি ভাষায় আরবি বর্ণ ‘ওয়াও’-এর উচ্চারণজনিত কাঠিন্যে পড়ে বিলায়ত হয়ে যায়। বাংলা ভাষায় এসে ‘বিলায়ত’ আরও বিকৃত হয়ে ‘বিলাত’ হয়ে যায়। আরবি ওয়ালাত শব্দের মূল অর্থ ওয়ালি বা গভর্নর-শাসিত দেশ বা প্রদেশ। এক সময় মিশর, ইরানসহ অনেক দেশ ছিল আরবদের ‘ওয়ালাত’। ভারতের মুসলমান রাজত্বের প্রথম দিকে ভারতীয় মুসলমানগণ পারস্য ও মধ্য এশিয়ার দেশসমূহকে ‘বিলায়ত’ বলত । তাদের কাছে ঐসব এলাকার অধিবাসীরা ছিল আহলে বিলায়ত বা দেশি লোক। ভারতের ব্রিটিশ শাসনামলে আকস্মিকভাবে শব্দটির অর্থ পাল্টে যায় এবং বিলায়ত ভারতীয়দের কাছে হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড বা ইউরোপ।
[উৎস : (১) হরেন্দ্রচন্দ্র পাল : বাঙলা সাহিত্যে আরবী-ফারসী শব্দ, ঢাকা, বাঙলা ও সংস্কৃত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেনেসাঁস প্রিন্টার্স, ১৯৬৭
(২) হরিচরণ বন্দোপাধ্যায়, বঙ্গীয় শব্দকোষ, নতুন দিল্লি, সাহিত্য অকাদেমী, ১৯৬৬]
 
অন্যমতে, প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্যরা ইংল্যান্ডের লোকেদের blighty বলত ।
Blighty থেকে বিলেত কথাটি এসেছে ।

Friday, June 4, 2021

চুরি যাওয়া নেপোলিয়নের লিঙ্গ

0 comments
মৃতদেহ সংরক্ষণ কিংবা নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গ মমি করার চল শুরু করেছিল মিশরীয়রা। তাদের আবিষ্কৃত মমি রহস্য এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যে ঘেরা। তবে বিখ্যাত ব্যক্তিদের অঙ্গ সংগ্রহ করা হয়েছিল কোন উদ্দেশ্যে, তা কি জানা গেছে আজো। 

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বা নাপোলেওঁ বোনাপার্ত ছিলেন ফরাসি বিপ্লবের সময়কার একজন জেনারেল। সাধারণ একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও স্বপ্ন দেখেছেন ব্রিটিশ শাসন করার। সেনাবাহিনী প্রধান থেকে শুরু করে ফ্রান্সের শাসক। শেষ জীবনে নির্বাসনে কাটিয়েছেন এই শাসক। ১৮২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে নেপোলীয়ন ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। তিনি ৫ ই মে তে মৃত্যুবরণ করেন।

সম্রাটের মৃত্যুর পর এক ব্রিটিশ চিকিৎসক তার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন। তখনই তিনি নেপোলিয়নের লিঙ্গ দেহ থেকে আলাদা করে নিয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে ২৯০০ ডলারে আমেরিকার একজন ইউরোলজিস্ট সেটি কিনেছিলেন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত সেটি তিনি বাক্সবন্দি করে নিজের বিছানার নীচে রাখতেন। ২০০৭-এ তাঁর মৃত্যু হয়। এবং ২০১৬ সালে ফের একবার নিলামে ওঠে নেপোলিয়নের লিঙ্গ। 

ডেইলি বাংলাদেশ