Thursday, May 17, 2012

ফারাক্কা দিবস

0 comments
১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৪ সালে ভারত পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর কথা বলে বাংলাদেশের সমর্থন নিলেও অদ্যবধি তা অব্যাহত আছে। এর ফলে দেশের কৃষি, শিল্প, বন ও ন পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাপক বিপর্যয়ের সম্মুখিন হচ্ছে।
ভয়েজ ওভারঃ
কলকাতা বন্দরকে পলির হাত থেকে রক্ষার জন্য মুর্শীদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর গ্রামের ফারাক্কা নামকস্থানে ১২২৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৩ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন এই বহুমুথি ব্রীজ সেই সাথে ড্যাম নির্মান করা হয়। চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার উজানে অবস্থিত এ বাধের ১২৩টি গেটের মাধ্যমে পানি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ন্যাটঃ
১৯৭৪ সালের ১৬ মে ইন্দিরা মুজিব চুক্তির মাধ্যমে ফারাক্কা বাঁধ চালু হয়। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী ভারত কখনই পানি দেয়নি। এ বাঁধের কারণে রাজশাহী শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে সরে গেছে পদ্মা। ফলে মরুভূমি পরিনত হয়েছে উত্তরাঞ্চল। এ কারণে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোও মৃত প্রায়।
ভক্সপপঃ
পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানি বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য লংমার্চ করেন। কিন্তু কোন লংমার্চ, বৈঠক বা চুক্তিতেও পানি সমস্যার সমাধান হয়নি।
ন্যাটঃ
আন্তর্জাতিক নদী আইন ও রীতিনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, ভারত বাংলাদেশকে পানি থেকে বঞ্চিত করে আসছে। যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হেলসিংকি নীতিমালার ৪ ও ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'প্রতিটি অববাহিকাভুক্ত দেশ, অভিন্ন নদীর ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্য দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রয়োজন বিবেচনা করবে। এ জন্য অবশ্যই অন্য দেশের যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।'

রেজোয়ান করিম
মোহনা সংবাদ

0 comments:

Post a Comment