যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিক মাধ্যম ইন্টারনেট। ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তির এই প্রধান বাহন। ১৯৬৯ সাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষক দল। ১৯৮০ সালে সফটওয়্যার প্রকৌশলী টিম বার্নার্স লি ভাবলেন এমন কোনো প্রোগ্রামের কথা, যা মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করবে। তিনি ডেভেলপ করলেন 'হাইপার টেক্সট' নামে নতুন সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে নিজের কম্পিউটারের মেমোরির তথ্য অন্যান্য কম্পিউটারের সঙ্গে জুড়ে দিতে সমর্থ হলেন। প্রত্যেকটি তথ্যকে আবার আলাদা নম্বর হিসেবে চিহ্নিত করতেও সমর্থ হন তিনি। এর রেশ ধরেই ১৯৮৩ সালের শেষ নাগাদ জন্ম হয় ইন্টারনেটের। বর্তমানে যোগাযোগের অন্যতম শীর্ষ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটে নানা ধরনের সেবা প্রচলন হওয়ায় এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড স্ট্যাট পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপ মতে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪০ কোটি। এর মধ্যে ব্যবহারকারী সংখ্যার হিসাবে মহাদেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এশিয়া। এশিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখন ১০৭ কোটি। তবে ইন্টারনেটের সুবিধা গ্রহণে এগিয়ে রয়েছে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো। অন্যদিকে ইন্টারনেট সুবিধা থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে আফ্রিকা মহাদেশ। এখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র সাড়ে ১৬ কোটি।
আমিনুর রহমান
0 comments:
Post a Comment