Wednesday, June 5, 2013

বিশ্ব শিশু দিবস

0 comments
অক্টোবরের প্রথম সোমবার হিসেবে বিশ্ব শিশু দিবসও পালিত হয়
শিশু অধিকার ফোরামের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে পথশিশুদের মধ্যে শতকরা ৫৩ ভাগ ছেলে ও ৪৭ ভাগ মেয়ে শিশু। প্রায় ৪৯ ভাগ শিশু রাস্তার পাশে বাস করতে বাধ্য হয়। এদের মধ্যে শতকরা ৩১ ভাগ কোন লেখাপড়া জানে না। ৩৭ ভাগ লিখতে ও পড়তে পারে। এদের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ শিশুর প্রথম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণীতে পড়ার সুযোগ হয়েছে। এই হলো চিত্র।বাংলাদেশ সরকার জাতীয় শিশু নীতি অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের সার্বক্ষণিক শিশুশ্রমে নিয়োগ করা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ১৮ বছরের নিচে প্রত্যেককে শিশু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪ বছরের নিচে কাউকে কোনও সার্বক্ষণিক কাজে নিয়োগ না করার বিধান করা হয়েছে। এখানে শিশু অবস্থাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে,দেশের ৩৫ লাখ শিশু শ্রমিকের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে ১৩ লাখ শিশু, যা মোট শিশু শ্রমিকের ৪১ শতাংশ।আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের শিশু শ্রমিকরা প্রায় ৩৪৭ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে ৪৭ ধরনের কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৩ ধরনের কাজকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পথশিশুদের ৬৯ শতাংশই কোনও না কোনও শিশুশ্রমে নিয়োজিত রয়েছে। এই ঢাকা শহরে প্রাতিষ্ঠানিক খাতের এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে শিশু-শ্রমিক নেই! চরম দারিদ্র্যের কারণে তাদের বাবা-মা তাদেরকে এ ধরনের কাজে ঠেলে দিতে বাধ্য হয়।বাংলাদেশর আইনে রয়েছে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। তবে সচেতন মহলের অভিযোগ রয়েছে, শিশুশ্রম বিরোধী আইনগুলো এখনও কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায় না। দিনটিকে ঘিরে প্রতিবারই আমাদের দেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু হতাশার কথা হচ্ছে আজও আমাদের দেশের শিশুরা তাদের মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত। প্রতিদিন হাজারো শিশু অর্ধাহারে, অনাহারে রাতে ঘুমাতে যায়।জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম দিকে থাকলেও দেশের মোট শিশুর বড় একটি অংশ শিশুশ্রমের সঙ্গে যুক্ত।

0 comments:

Post a Comment