৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্ত দিবস। এ দিনেই কোটালীপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা পত পত করে উড়তে থাকে। লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে আনন্দে ফেটে পড়ে। দিবসটি পালন উপলক্ষে কোটালীপাড়ায় হেমায়েত বাহিনী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে।
১৯৭১ সালের এ দিনে কোটালীপাড়ায় প্রায় ৫’শ পাকহানাদারকে পরাস্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা কোটালীপাড়াকে শক্রমুক্ত করে । চুড়ান্ত বিজয় ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হলেও কোটালীপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়েছিল ৩ ডিসেম্বর। এদিন সকাল ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়াই প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। এদিন মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর আক্রমনে কোটালীপাড়া থানা,মসজিদ ও গোডাউনে অবস্থানরতঃ পাকসেনাদের পতন ঘটে। কোটালীপাড়াকে শত্রু মুক্ত করে হেমায়েত বাহিনী। পাকবাহিনী ও তাদের দোষররা ছিল খুবই শক্ত অবস্থানে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে বেশ কয়েকটি সম্মূখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় হেমায়েত বাহিনী। উল্ল্যেখযোগ্য যুদ্ধ হয় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, ঝনঝনিয়া, জহরের কান্দি, হরিনাহাটিসহ বিভিন্ন স্থানে। এ ছাড়া ছোট খাট বেশ কয়েকটি স্থানে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন হেমায়েত বাহিনী প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রম।
কোটালীপাড়া মুক্ত হওয়ায় এদিন আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। মুক্তিকামী মানুষ অনেক দুঃখ বেদনার পর মুক্তির স্বাদ পেয়ে দলে দলে লাল সবুজ পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র উচিয়ে আনন্দ উল্লাসে ফেঁটে পড়েন এবং জয় বাংলা শ্লোগান দেন।
হেমায়েত বাহিনী প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রম জানিয়েছেন, ২ ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে তারা সিদ্ধান্ত নেন চারিদিক থেকে কোটালীপাড়া থানা, মসজিদ, গোডাউন ঘরে অবস্থানকারী শত শত পাকহানাদার সদস্যকে আক্রমন করা হবে। ভোর রাত ৪ টার দিকে আমরা এক সাথে চারিদিক থেকে আক্রমন শুরু করি। কিন্তু, চারিদিক থেকে পরিকল্পিত আক্রমনের মুখে পরাস্থ হয়ে পড়ে পাকহানাদাররা। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে ৪ শতাধিক আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। শুধুমাত্র সেদিন কুরপালা থেকেই সাড়ে তিন’শ সশস্ত্র রাজাকারকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করা হয়েছিল । মুক্তিকামী মানুষের কাছে এদিনটি এখন স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
১৯৭১ সালের এ দিনে কোটালীপাড়ায় প্রায় ৫’শ পাকহানাদারকে পরাস্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা কোটালীপাড়াকে শক্রমুক্ত করে । চুড়ান্ত বিজয় ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হলেও কোটালীপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়েছিল ৩ ডিসেম্বর। এদিন সকাল ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়াই প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। এদিন মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর আক্রমনে কোটালীপাড়া থানা,মসজিদ ও গোডাউনে অবস্থানরতঃ পাকসেনাদের পতন ঘটে। কোটালীপাড়াকে শত্রু মুক্ত করে হেমায়েত বাহিনী। পাকবাহিনী ও তাদের দোষররা ছিল খুবই শক্ত অবস্থানে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে বেশ কয়েকটি সম্মূখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় হেমায়েত বাহিনী। উল্ল্যেখযোগ্য যুদ্ধ হয় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, ঝনঝনিয়া, জহরের কান্দি, হরিনাহাটিসহ বিভিন্ন স্থানে। এ ছাড়া ছোট খাট বেশ কয়েকটি স্থানে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন হেমায়েত বাহিনী প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রম।
কোটালীপাড়া মুক্ত হওয়ায় এদিন আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। মুক্তিকামী মানুষ অনেক দুঃখ বেদনার পর মুক্তির স্বাদ পেয়ে দলে দলে লাল সবুজ পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র উচিয়ে আনন্দ উল্লাসে ফেঁটে পড়েন এবং জয় বাংলা শ্লোগান দেন।
হেমায়েত বাহিনী প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রম জানিয়েছেন, ২ ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে তারা সিদ্ধান্ত নেন চারিদিক থেকে কোটালীপাড়া থানা, মসজিদ, গোডাউন ঘরে অবস্থানকারী শত শত পাকহানাদার সদস্যকে আক্রমন করা হবে। ভোর রাত ৪ টার দিকে আমরা এক সাথে চারিদিক থেকে আক্রমন শুরু করি। কিন্তু, চারিদিক থেকে পরিকল্পিত আক্রমনের মুখে পরাস্থ হয়ে পড়ে পাকহানাদাররা। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে ৪ শতাধিক আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। শুধুমাত্র সেদিন কুরপালা থেকেই সাড়ে তিন’শ সশস্ত্র রাজাকারকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করা হয়েছিল । মুক্তিকামী মানুষের কাছে এদিনটি এখন স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।