Saturday, June 8, 2013

বায়ু দূষণ

0 comments


একটা সময় ছিল মানুষের পথচলার জন্য কোনো গাড়ি ছিল না। সারা পৃথিবীতে ছিল না একটি কল-কারখানাও। বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজেও একজন ধূমপায়ীকে পাওয়া যেত না। সমুদ্রের নীল আর বৃক্ষের সবুজে ছেয়ে ছিল গোটা পৃথিবী। অস্তিত্ব ছিল না দূষণের। এরপর মানুষ আবিষ্কার করে তার বুদ্ধিমত্তাকে। কাজে লাগাতে শুরু করে তার সৃষ্টিশীল প্রতিভাকে। ব্যবহার করতে শেখে প্রকৃতিকে। আবিষ্কার হতে থাকে নতুন নতুন জিনিস। যে মানুষ এক সময় বাস করত প্রকৃতির তৈরি গুহায়, ভয় পেত সূর্যগ্রহণকে, সেই মানুষই নিজ প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে নির্মাণ করে আকাশচুম্বী ভবন, পা রাখে চাঁদে। তবে মানুষের অগ্রগতির এ প্রক্রিয়ার সব ফলাফলই যে মানুষের পক্ষে গেছে, তা নয়। এর জন্য মানুষকে মূল্যও দিতে হচ্ছে প্রচুর। প্রতিনিয়ত মানুষ দূষিত করে চলেছে পরিবেশকে। পরিবেশদূষণেরই একটি অংশ হলো বায়ুদূষণ। বিভিন্ন ধরনের কল-কারখানা ও গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়ার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাদের বায়ুমণ্ডলে মিশে যাচ্ছে ক্ষতিকর নানা রাসায়নিক দ্রব্য। মূলত যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য বা গ্যাস মিশে যাচ্ছে, তাকে বায়ুদূষণ বলে। ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের মধ্যে কার্বন মনো-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন উল্লেখযোগ্য। ক্ষতিকর এসব রাসায়নিক দ্রব্য বায়ুমণ্ডলে মিশে একদিকে যেমন প্রভাব ফেলছে প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের ওপর, অন্যদিকে তা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বায়ুদূষণের জন্য মূলত মানুষ দায়ী হলেও ধূলিঝড় বা অগ্ন্যুৎপাতের মতো প্রাকৃতিক কিছু কারণেও বায়ূদূষণ হয়ে থাকে। পৃথিবীর যেসব শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি, তার প্রথম দিকে রয়েছে মিসরের কায়রো, ভারতের দিল্লি, কলকাতা ও কানপুর। বায়ুদূষণের সরাসরি প্রভাবে পৃথিবীতে অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব, গ্রিনহাউস প্রভাব, এসিড বৃষ্টি ও নাইট্রোজেন অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উড়োজাহাজের বিবর্তন

0 comments:

Post a Comment