Friday, November 27, 2009

মনপুরার পরি ফারহানা মিলি

13 comments
ছোট ছোট স্বপ্ন তাঁর; আকাশ ছোঁয়ার সাধও নেই। খুব বেশি কাজ করার ইচ্ছাও করে না তাঁর। যে কাজটুকু করতে চান, সেটুকু ভালোভাবে করতে পারলেই তিনি খুশি থাকেন। মনপুরার মিলি জানালেন কথাগুলো। মনপুরা যখন আকাশচুম্বী ব্যবসায়িক সাফল্য পেল, তখনো মিলি স্বাভাবিক, এ নিয়ে খুব হইচই করেননি। বাইরে বেরিয়েছেন খুব স্বাভাবিকভাবেই। অনেকেই মিলিকে দেখেছেন আর বলেছেন, আপনি সেই পরি? মিলি মাথা নেড়ে সম্মতি দেন, কখনো এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে মুখে। এতটুকুই। ফেইসবুকে যখন শত শত বন্ধু অভিনন্দন জানাচ্ছে, তখনো মিলি এ নিয়ে মাতামাতি করেননি।...

আজম খানের পাঁচটি গানের নেপথ্য কাহিণী

0 comments
এ দেশে পপসংগীতকে তুমুল জনপ্রিয় করার প্রচেষ্টায় যিনি অগ্রণী, তিনি আজম খান। এ কারণেই তাঁর নামের আগে ব্যবহূত হয় ‘পপসম্রাট’। তাঁর গাওয়া অসংখ্য গান তরুণ তো বটেই, সব ধরনের শ্রোতার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। সেই তালিকা থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে পাঁচটি গান। আজম খান এই গানগুলো সৃষ্টির পেছনের গল্প বলেছেন কবির বকুলের কাছে। ১. পাপড়ি কেন বোঝে না... পাপড়ি কোনো কাল্পনিক চরিত্র নয়। এটা বাস্তব। ১৯৭৫ সালের কথা। পাপড়িদের পরিবার ভাড়া থাকত ঢাকার কমলাপুরে, ১২ জসীমউদ্দীন রোডে, আমার বড় ভাইয়ের বাড়ির দোতলায়। তখন ওর উঠতি বয়স।...

Thursday, November 26, 2009

জুলফি পানচিল

0 comments
নামটি আমার বলি - জুলফি পানচিল ইংরেজিতে বলি - Whiskered Tern বৈজ্ঞানিক নাম - Chlidonias hybridus দেখতে আমি যেমন - আকারে প্রায় ২৮সে.মি। গাল ও গলা সাদা কিন্তু মাথার উপর থেকে চোখ বরাবর হয়ে ঘাড় পর্যন্ত কালো,ধুসর সাদা রংয়ের শরীর, সিঁদুরে লাল ছোট পা আর ঠোঁট। ডানার বড় পালকগুলো কয়েকটা কালো রংয়ের হয়। মজার ব্যাপার কী জানো, শীতকালে মাথা ও কপালের কালো রং ধিরে ধিরে হালকা হতে থাকে আর গায়ের রং হয়ে উঠে শুভ্র। যেথায় আমার বাস-নিবাস - আমি মূলতো শীতের পাখি তবে শীত শেষে কেউ কেউ তোমাদের দেশে থেকেও যায়।জলাভূমি,নদীর...

Wednesday, November 25, 2009

জিরিয়া

0 comments
নামটি আমার বলি - জিরিয়া ইংরেজিতে বলি - Little Plover, Little Ring Plover বৈজ্ঞানিক নাম - Charadrius dubius আমার যত নাম - ছোট জিরিয়া,ছোটনথ জিরিয়া দেখতে আমি যেমন - আমি আকারে প্রায় ১৬সে.মি লম্বা। ঠোঁটের উপরের সামান্য অংশ সাদা,কপাল কালো,চাঁদি ধুসর বাদামী, চোখের পাতা হলুদ তার মাঝে কালো চোখ।গলা আর ঘাড় সাদা,ঠিক তার নিচ থেকে শুরু হয়েছে কালো মোটা বৃত্ত,বুক থেকে শুরু করে লেজের নিচ পর্যন্ত সাদা।কালো ঠোঁট,লম্বা সরু দুখানা কালচে হলুদ পা। পিঠ,ডানা আর লেজের উপরের অংশ ধুসর বাদামী। যেথায় আমার বাস-নিবাস - আমি...

Tuesday, November 24, 2009

মেটেপ্যাঁচা

0 comments
নামটি আমার বলি - মেটেপ্যাঁচা ইংরেজিতে বলি - Large-tailed Nightjar বৈজ্ঞানিক নাম -Caprimulgus macrurus আমার যত নাম - চরপ্যাঁচা, নলপিতানি দিনকানা, নলপিতানি রাতচরা,ল্যাঞ্জা রাতচরা দেখতে আমি যেমন - আপদামস্তক প্রায়৩০সে.মি লম্বা।আমার গায়ের পালক অন্য প্যাঁচা ভায়াদের মতোই অদ্ভুত।কালো,বাদামী,হালকা বাদামীর ফুটি,লম্বা লেজ,ছোট্ট মাথা আর ছোট্ট এক জোড়া ঠোঁট,গোল কালো চোখ।নিজের পায়ে দাঁড়াই খুব কম সময়ই,গায়ের সাথে ডানা লেপ্টে পা গুটিয়ে বসে সারদিন ঝিমুই। যেথায় আমার বাস-নিবাস - আমি অন্যসব প্যাঁচা ভায়াদের মতোই নিশাচর।শক্ত...

Monday, November 23, 2009

নীলকন্ঠি

0 comments
লিখেছেন : সোমা নামটি আমার বলি - নীলকন্ঠি ইংরেজিতে বলি - Indian Roller বৈজ্ঞানিক নাম - Coracias benghalensis আমার যত নাম - নীলকন্ঠ,নীলকন্ঠি দেখতে আমি যেমন - আকারে প্রায় ৩১সে.মি। আমার মেয়ে পাখি আর ছেলে পাখি দেখতে প্রায় একই রকম,বাদামী পিঠ,ডানায় গাঢ় নীল আর আকাশি নীলের খেলা ,লেজের দিকটাতেও তেমনি। মাথা,ঘাড়,গলা আর বুক আকাশনীল,চোখ,ঠোঁট কালো আর পা দু’খানা হালকা হলুদ।। যেথায় আমার বাস-নিবাস - অগভীর বন আমার বসবাসের জন্য পছন্দ,,তোমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশেই আমার বিচরণ বেশি। আমার খাবার মেন্যু – - প্রধানত...

Sunday, November 22, 2009

বাংলা - প্রথম শ্রেণী

0 comments
প্রশ্ন: বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়গুলোর নাম লেখো। জাতীয় ফুল = সাদা শাপলা। জাতীয় ফল = কাঁঠাল। জাতীয় মাছ = ইলিশ। জাতীয় পশু = রয়েল বেঙ্গল টাইগার। জাতীয় পাখি = দোয়েল। জাতীয় বন = সুন্দরবন। জাতীয় খেলা = হা-ডু-ডু। জাতীয় কবি = কাজী নজরুল ইসলাম। জাতীয় মসজিদ = বায়তুল মোকাররম মসজিদ। জাতীয় দিবস = ২৬ মার্চ। খাবার প্রশ্ন: যা চিবিয়ে খেতে হয় না। ১. চা ২. কফি ৩. শরবত ৪. মধু ৫. দুধ ৬. পানি। প্রশ্ন: দুধ দিয়ে তৈরি খাবারের নাম। ১. দই ২. মাখন ৩. ছানা ৪. পায়েস ৫. ফিরনি ৬. সেমাই। ফুল গন্ধযুক্ত/সাদা ফুল: ১. গন্ধরাজ ২. বেলি ৩....

Friday, November 20, 2009

গীতা দত্ত

0 comments
পুরোনো দিনের যেসব গান শুনে আজও সংগীতানুরাগীরা মুগ্ধ হন, যেসব গান আজও শ্রোতাদের বিনোদিত করে, করে নস্টালজিক, যেসব গান আজও অনেকে একলা দুপুরে বা শেষ বিকেলে আপন মনে গুনগুন করে গেয়ে ওঠেন, সেই সব গান যাঁরা গেয়েছেন, তাঁদের একজন গীতা দত্ত। উপমহাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের কিংবদন্তি জুটি উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত এবং অজয় কর পরিচালিত অন্যতম জনপ্রিয় ছবি হারানো সুর-এ (১৯৫৬) যে সুরটি হারিয়ে যায়, যে সুরের গানটিতে ঠোঁট মিলিয়েছেন সুচিত্রা সেন, সেই— তুমি যে আমার ওগো তুমি যে আমার কানে কানে শুধু একবার বল তুমি যে আমার। গানটির...

চম্পা

0 comments
চম্পা তখন আমি অনেক পিচ্চি। বনানীতে থাকি। ভীষণ চঞ্চল ছিলাম। একদিন হঠাত্ই আমার মাথায় খেয়াল চাপল, পাড়ায় মাতব্বরি করতে হবে। কীভাবে করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে বান্ধবীদের পরামর্শ চাইতেই ওরা দোকান খোলার পরামর্শ দিল। যেই কথা সেই কাজ। পাড়ার ফওজিয়া আপাকে (বর্তমানে বিখ্যাত আইনজীবী) সঙ্গে নিয়ে নেমে পড়লাম দোকান প্রতিষ্ঠার কাজে। এক বন্ধুর বাড়ির গ্যারেজকেই আমরা আমাদের নিজেদের দোকান মনে করে কাজ শুরু করলাম। নিজেরাই রং করে গ্যারেজের চেহারা পুরোপুরি বদলে ফেললাম। জায়গা তো পাওয়া গেল। সমস্যা হলো, কিসের দোকান দেব?...

আশ্চর্য যত কান্ড

0 comments
১) উটের মেরুদন্ডের হাড় কিন্তু সরল রেখার মত সোজা ২)গবেষনায় দেখা গেছে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বেশি ঘুমায়। ৩)একটা ইদুর পানি না খেয়ে একটা উটের চেয়ে বেশিদিন বেচে থাকতে পারে। ৩)কোমল পানীয় কোকাকোলার রং প্রথমে ছিল সবুজ। ৪)একটা মৌমাছির চোখে প্রায় ৬হাজার৩০০ মাইক্রোস্কোপিক লেন্স আছে। ৫)সাইবেরিয়াতে দুধ বরফের মত জমাট করে বিক্রি করা হয়। ৫)শামুক হল পৃথিবীর সবচেয়ে মন্থর গতির প্রানি । চলার গতি ঘন্টায় ০.০৩মাইল। ৬) ঘুমন্ত অবস্থায় একজন মানুষ ৪০বারের মত পাশ বদল করে, আর অনিদ্রা রুগীরা করে ৭০ বারের মত । ৭) মানুষের ফুসফুসে...

Thursday, November 19, 2009

উলি নেকড স্টর্ক পাখি কি বাংলায় ফিরেছে!

0 comments
বাংলাদেশে স্টর্ক গোত্রের পাখি মদনটাক। এ পাখি সুন্দরবনসহ দেশের বড় নদীগুলোর চড়ায় সীমিত সংখ্যায় দেখা যায়। স্টর্ক গোত্রের আরেক সদস্য এশিয়ান ওপেন বিল বা শামুকখোল পাখি। মাঝেমধ্যে শীতকালে এদের বাংলাদেশের বিলঝিলে দেখা যায়। কখনো কখনো দেখা যায় পেইন্টেড স্টর্কও। ব্যস, এই হলো বাংলাদেশে স্টর্ক গোত্রের পাখির হাল অবস্থা। তবে বাংলাদেশের মতো বিলঝিলের দেশে এমন হওয়ার কথা নয়। যেমন—ব্ল্যাক নেকড স্টর্ক, হাড়গিলা বা অ্যাডজুট্যান্ট স্টর্ক, হোয়াইট স্টর্ক, উলি নেকড স্টর্ক একসময় এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিল। এখন এদের খুঁজে...

ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

0 comments
ন্যাশনাল আইডি কার্ড সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নিচে ১৩টি ডিজিট রয়েছে এই ১৩ টি ডিজিটের একটি বিশেষত্ব রয়েছে যা আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। আমার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নম্বরটি হচ্ছেঃ ৫৫২৫৭০৮১৪৬২৩১ যার প্রথম দুই ডিজিট - ৫৫ হচ্ছে জেলা কোড। আমার জেলা মাগুরা। পরবর্তী ডিজিট- ২ হচ্ছে আর.এম.ও (রিজিওন) এখানে ২ মানে পৌরসভা। ১ = পল্লী ২ = পৌরসভা / অন্য এলাকা ৩ = শহর ৫ = ক্যান্টঃ বোর্ড ৯ = সিটি কর্পোরেশন পরবর্তী দুই ডিজিট- ৫৭ হচ্ছে উপজেলা কোড। আমার উপজেলা মাগুরা সদর। পরবর্তী...

হিলারি ম্যানটেল

0 comments
অসাধারণ সৃষ্টির উপাদান ও উপাত্তের কোনো কাল নেই। প্রাচীনতম বস্তুর ভেতরে যদি নতুন কোনো বৈশিষ্ট্য আমরা খুঁজে পাই তাহলে আলোড়িত হয়ে উঠি, নতুন করে আবিষ্কারের আনন্দে আমরা পুলকিত হই। আমাদের দেখার পরিধি বিস্তৃৃত হয়। যিনি দেখান তাকে বাহবা দিয়ে আমরা ধন্য হই। তেমনি ইতিহাসের এক চিরচেনা ঘটনাকে নতুন করে উপস্থাপন করেছেন হিলারি ম্যানটেল, তার উপন্যাস ওল্ফ হল'র মধ্য দিয়ে। তার অসাধারণ কল্পনাশক্তি, সাবলীল লেখনি শৈলির পথ ধরে মানটেল দ্রুত হেঁটে গেছের ইতিহাসের পাতায়; পাঠককে টেনে নিয়েছেন সঙ্গে। তাই মান বুকার পুরস্কারটিও...

সুধীন দত্ত

0 comments
বাংলা কবিতার দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০) নানা কারণে প্রাতিস্বিকতার পরিচয় দিয়েছেন। চর্যাকারদের থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত বাংলা কবিতার যে ধারা তিরিশোত্তর কালের কবিরা সে ধারায় নতুন বাঁক সৃষ্টি করেন। মূলত, মেধা-মননের পরিচর্যায় এ সময়ের কবিরা কবিতাকে করে তোলেন অতি উচ্চ মার্গের শিল্পপ্রতিমারূপে ...এক্ষেত্রে অন্যতম পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন সুধীন দত্ত। তার কবিচিত্ত সমস্ত বিশ্ব-ব্রহ্মা- ঘুরে বীজ সংগ্রহ করেই নির্মাণ করেছে কাব্যের কল্পতরু। তিনি জগৎকে দেখেছেন নেতিবাচক দৃষ্টি দিয়ে।...

মামুন রশীদ নব্বইয়ের দশকের কবি

0 comments
মামুন রশীদ নব্বইয়ের দশকের কবি। তিরিশের দশকের বাংলা কবিতাকে যে করে রাহুগ্রাসের মতই নিঃসঙ্গতা ও বিচ্ছিন্নতা গ্রাস করে নিয়েছিল আর যে কারণেই জীবনানন্দ দাশের আর্তনাদ, 'ছিঁড়ে গেছি_ ফেঁড়ে গেছি_ পৃথিবীর পথে পথে হেঁটে হেঁটে', সুধীন দত্তের বুকভাঙা আকুতি 'ফাটা ডিমে আর তা দিয়ে কী ফল পাবে' দেখে-শুনে আমরা নিজেরাও তলিয়ে ছিলাম অসীম নিঃসঙ্গতার পীড়নে। বাংলা কবিতার এই নৈরাশ্য ও নৈরাজ্য চলেছে পঞ্চাশের দশক অবধি। তারপরেই ষাটের দশকে কবিতা বিশেষত; বাংলাদেশের কবিতায় আসে প্রকট দেশ ও জাতি চেতনা এবং 'মৃত্তিকামুখী সমাজদৃষ্টি'।...

জীবনানন্দ দাশ

0 comments
'কবিতা ও জীবন একই জিনিষেরই দুইরকম উৎসারণ।' _জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের দুই যুগন্ধর কবি জন্মেছিলেন একই খ্রিস্টীয় বছর ১৮৯৯-এ, দুই খ্রিস্টীয় শতাব্দীর যৌগিকলগ্নে। একজন কাজী নজরুল ইসলাম ও অন্যজন জীবনানন্দ দাশ। নজরুলের জন্ম ২৪ শে মে আর জীবনানন্দের ১৭ই ফেব্রুয়ারি। বাংলা সাহিত্যে দু'জনেরই আবির্ভাব নতুনকে ধারণ করে। অর্থাৎ প্রচলিত ধারা ও ধারণার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে তাদের সরব আগমন। নজরুল হুঙ্কার দিলেন_ 'তোরা সব জয়ধ্বনি কর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর! ঐ নতুনের কেতন ওড়ে কাল-বোশেখীর ঝড়। তোরা সব জয়ধ্বনি কর! তোরা...
Pages (19)123 Next