Tuesday, November 3, 2009

জলপিপি

0 comments

দেশি পাখি জলপিপি, ইংরেজি নাম (Jacana), বাংলাদেশের সব অঞ্চলে দেখা যায় না। হাওর অঞ্চলে এ পাখি বেশি দেখা যায়। এরা বিপন্ন পরিবেশের সঙ্গে এখনো খাপ খাইয়ে বেঁচে আছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয় থেকে সোমবার ছবিটি তুলেছেন শেখ হাসান।
*প্রকাশিত হয়েছে_যায়যায়দিন এ
জলপিপি। খুব নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করে । ধানক্ষেতে, জিল-বিল ডোবায় এদের বসবাস। সেখানে ডিম পাড়ে; বাচ্চা ফোটায়। এদের পালকের রং বিচিত্র। মাথা ও পিঠে বাদামী রঙয়ের পালক। লেজের বাকানো পুচ্ছ পালকটি এদের দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে। লিখেছেন নজরুল


জলপিপি একটি পাখির নাম। আমাদের দেশেরই একটি পাখি। এরা প্রজননের সময় এমন কৌশলে বাসা বানায় যে আশেপাশে থাকা কোন প্রাণী সেটা সহজে বুঝতে পারেনা। তাদের ডিম ব্রোঞ্জ ও বাদামী ফোঁটা মিশানো থাকে। কারণ কি জানেন? কারণ একটাই কোন শত্রু যেন বুঝতে না পারে এগুলো ডিম। ডিমখেকো কোন প্রাণী বুঝতে পারলে আর অপেক্ষা করবেনা।

আমরা জানি, পাখিরা ডিমে তা দেয়া ও বাচ্চাদের দেখাশুনা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলেই করে। কিন্তু জলপিপি সম্পূর্ণ আলাদা। স্ত্রী পাখি একই মৌসুমে চার পাঁচবার পর্যন্ত ডিম দেয়। মেয়ে পাখি প্রজননের সময়ে চার-পাঁচটি পুরুষ পাখির সাথে সংসার বাঁধে। এক জায়গায় ডিম দিয়ে আরেক পুরুষের কাছে চলে যায়। যে পুরুষকে ছেড়ে চলে যায়, সে পুরুষ পাখি বেচারার সব দায়িত্ব পড়ে অনাগত সন্তানের দেখাশোনার। ডিমে তা দেয়া থেকে শুরু করে লালন পালন সব করে। এক কথায় বলতে গেলে মিলনের পর পুরুষ পাখিটির কাজই হল ডিমে তা দেওয়া।
লিখেছেন সুজন


কিছু পাখীর নাম সরালি, পচার্ড, গার্গেনি, ছোট জিরিয়া, মানিকজোড়, জলপিপি, গোলবনহাঁস, নাকতা, খঞ্জনা, চিত্তাটুপি, পাতিভুতি, চামটঠুটি, লাল গুড়গুড়ি, পাতির হাঁস, ডেঙ্গা  



0 comments:

Post a Comment