Saturday, April 17, 2010

মাইজভাণ্ডারী মেলা

0 comments
প্রতিবছর মাঘ মাসের ১০ তারিখে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বসে মাইজভাণ্ডারী মেলা। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক শাহ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী পরলোকগমন করেন। সেই ‘ওফাত দিবস’ উপলক্ষেই প্রতিবছর ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার শরীফে মাইজভাণ্ডারী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলা উপলক্ষে রচিত একটি গান একসময় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল—দেখে যা রে মাইজভাণ্ডারী হইতাছে নূরের খেলা।
মাইজভাণ্ডারী মেলা মূলত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক মিলনমেলা হলেও আরও কিছু চরিত্র এই মেলা অর্জন করেছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের অবাধ গমনাগমন, আশপাশের উপজাতীয় এবং স্থানীয় কৃষিজীবী ও কুটিরশিল্পের পণ্য উত্পাদনকারী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ। তার পরও এই মেলার শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ মাইজভাণ্ডারীসংগীত। এই মেলায় ক্ষুদ্র বই প্রকাশকেরা তাঁদের নতুন-পুরোনো মাইজভাণ্ডারী গানের বই বিক্রি করতে চলে আসেন।
মেলায় যখন গ্রাম্য কবিয়ালেরা সুর করে কবিতা পড়েন, তখন শ্রোতার দল তাঁকে ঘিরে শুনতে থাকে লোকায়ত গান। শ্রোতারা শুধু আগ্রহভরে গান শোনে না, যাওয়ার সময় কবিয়ালের কাছ থেকে দু-একটি কবিতার পুঁথি কিনে নেয়।
সুফি-সাধকদের ঐতিহ্যের ধারায় সমন্বয়ধর্মীর বিশেষত্বে মাইজভাণ্ডারী তরিকা সৃষ্টি। তাই স্বাভাবিকভাবে মাইজভাণ্ডারী ওরসকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সর্বধর্মের মানুষের এক মহামিলন ক্ষেত্র।

0 comments:

Post a Comment