বাংলাদেশে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে বন-জঙ্গল ছেড়ে পশু-পাখী লোকালয়ে আসছে। সেই সব পশু-পাখীদের সেবা-শুরুষা ও সংরক্ষন করার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭২ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সৌখিন প্রানী সংরক্ষক সিতেশ রঞ্জনদেব বন্যপ্রানী সেবাশ্রম গড়ে তুলেন। স্থানীয় ভাবে এটি মিনি চিড়িয়াখানা হিসেবে পরিচিত। এই সেবাশ্রমে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণীসহ বর্তমানে দেড়’শ প্রজাতির জীব-জন্তু রয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা এখানে বেড়াতে আসেন।
বিলুপ্ত প্রাণীদের মধ্যে ১টি সাদা বাঘ, ২টি সোনালী বাঘ, পাহাড়ী বক,নিশি বক, সোনালী কচ্ছপসহ অসংখ্যক বিরল প্রজাতির প্রানী রয়েছে এখানে। এর মধ্যে সাদা বাঘটি বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। এদের পরিচর্যা করার জন্য রয়েছে দুইজন কর্মচারী। তারা সার্বক্ষনিক সংরক্ষিত প্রানীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিদিন এতসব প্রানীদের খাবারের জন্য সিতেশ বাবুর ব্যায় হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্যের কারনে সেবাশ্রমটি পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। অথচ বছর দুয়েক আগে একটি নতুন প্রাণী এলে যতটা খুশী হতেন এখন তার আগ্রহে অনেকটা ভাটা পড়েছে।
0 comments:
Post a Comment