কোষ্ঠকাঠিন্যের বড় কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস। ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়ার ভয়ে অনেকে পানি কম খান, আঁশযুক্ত খাবারও প্রায়ই খাওয়া পড়ে না। আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) বা হাইপোথাইরয়েডের মতো রোগ নারীদের মধ্যে বেশি। এ দুটিও কোষ্ঠকাঠিন্যর অন্যতম কারণ। অনেকেই তেমন ব্যায়াম বা কায়িক শ্রম করেন না। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি প্রধান কারণ। কিছু ওষুধও এর জন্য দায়ী। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অ্যানাল ফিসার, পাইলস, ইউটেরাইন প্রলাপস ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি যা করতে পারেন:
- প্রচুর পানি পান করুন। স্কুল–কলেজ বা অফিসে গেলে পানি পান কমিয়ে দেবেন না। বাথরুমে যেতে হলে চেপে রাখবেন না।
- প্রতিদিনের বাউয়েল মুভমেন্ট বা মলত্যাগের অভ্যাস স্বাস্থ্যকর করে তুলুন। একটু ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। টয়লেট ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকা ভালো, যেমন সকালের নাশতার ১৫ বা ২০ মিনিট পর। টয়লেট ব্যবহারে তাড়াহুড়া করবেন না।
- দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যোগ করুন প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার। সকালের নাশতায় রাখতে পারেন লাল রুটি, ওটস, হোল গ্রেইন সিরিয়াল বা কর্নফ্লেক্স। রাখুন গোটা ফল, পারলে ফলের খোসাসহ। খেজুর, বাদাম, কিশমিশ, অ্যাভোকেডো, আম, কলা, পেঁপে খাওয়া ভালো। দুপুরের খাবারে সবজি এবং সালাদ অবশ্যই রাখবেন। রাতে এক গ্লাস গরম দুধ অনেক কাজে আসবে। ব্রকলি, বরবটি, মটরশুঁটি এবং যেকোনো ধরনের বীজজাতীয় খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়।
- বিস্কুট, কুকি, ক্যান্ডি, আইসক্রিম ও উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। এগুলো এড়িয়ে চলুন।
- বয়স্ক নারীদের হঠাৎ নতুন করে কোষ্ঠকাঠিন্য, মাঝেমধ্যে ডায়রিয়া মাঝেমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের সঙ্গে রক্তপাত, অল্প অল্প জ্বর, পেটব্যথা, ওজন হ্রাস ইত্যাদি থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
0 comments:
Post a Comment