Saturday, November 14, 2009

প্রতিবছর ঈদ এগিয়ে আসে কেন

0 comments
ঈদ, রোজা, মহররমসহ ইসলাম ধর্মীয় দিনগুলো প্রতিবছর এগিয়ে আসে। গত বছরের চেয়ে এবার ১১ দিন আগে ঈদ হবে। এর কারণ, আরবি (ইসলামি) ক্যালেন্ডার বা হিজরি সাল ইংরেজি বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের বছরের চেয়ে প্রায় ১১ দিন কম। হিজরি সালের প্রতিটি মাস শুরু হয় অমাবস্যার পরের সন্ধ্যায় প্রথম চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে। মাসের প্রথম চাঁদ সূর্যাস্তের পর পরই পশ্চিমাকাশে উদিত হয়। দেখতে খুব সরু কাস্তের একটি ফালির মতো। এ চাঁদ আকাশে ক্ষণস্থায়ী হয়। এরপর প্রতি সন্ধ্যায়ই চাঁদ বড় হতে থাকে। ক্রমে পূর্ণিমা এবং এরপর কৃষ্ণপক্ষে চাঁদ ক্রমে ছোট হয়ে আকাশে দেখা দেয়। আসলে চাঁদ ছোট-বড় হয় না, আকাশে চাঁদের যে অংশ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে, সেটা বাড়ে বা কমে। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে বলেই এ রকম হয়। এই ঘোরার পথে রাতে পৃথিবীর বিপরীত পাশে অবস্থিত সূর্যের আলোয় আলোকিত চাঁদের অংশ বাড়ে বা কমে। পৃথিবীও যেহেতু ২৪ ঘণ্টায় নিজ অক্ষরেখার চারপাশে একবার করে ঘুরে আসে, তাই প্রতি রাতেই আকাশে চাঁদ দেখা যায়, শুধু অমাবস্যার সময় চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর একই দিকে চলে যায় বলে ওই রাতে চাঁদ দেখা যায় না। চাঁদ পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে যে সময় নেয়, সেটা ইংরেজি ক্যালেন্ডারের প্রায় সাড়ে ২৯ দিনের সমান। কিন্তু যেহেতু মাসের হিসাবে দিনের ভগ্নাংশ থাকে না, তাই আরবি মাস চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৯ বা ৩০ দিনে হয়। ১২ মাসে মোট দিনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৪ (২৯.৫x১২)। কিন্তু ইংরেজি ক্যালেন্ডার হিসাব করা হয় সৌরবছর দিয়ে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে প্রায় ৩৬৫ দিন লাগে। তাই প্রতিবছর ইসলাম ধর্মীয় দিবস ও মাস ১১ দিন করে এগিয়ে আসে। সে জন্যই গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরত্, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত ঘুরে ঘুরে সব ঋতুতেই ঈদ আসে। প্রায় ৩৩ বছর পর পর বছরের একই সময়ের কাছাকাছি সময়ে ঈদ হয়। যেমন: এবার কোরবানির ঈদ হচ্ছে নভেম্বর মাসের শেষ দিকে। ২০৪২ সালে আবার প্রায় এই সময়ে কোরবানির ঈদ আসবে।

0 comments:

Post a Comment