Friday, April 9, 2010

হোলি উত্সব

0 comments
প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা, তথা দোলপূর্ণিমায় বাংলাদেশের হিন্দু-বৈষ্ণব মানুষেরা হোলি উত্সব উদ্যাপন করেন। কথিত আছে, একদিন শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধা তাঁদের সখাসখি বা ভক্তদের সঙ্গে এক জায়গায় বসে আলাপ করছিলেন। একসময় আকস্মিকভাবে শ্রীরাধার ঋতুস্রাব ঘটে। সখাসখি বা ভক্তদের কাছে শ্রীরাধা যেন বিব্রত না হন, সে জন্য হোলির আয়োজন করেন শ্রীকৃষ্ণ। অন্যদিকে একথাও বলা হয়, বর্ষ শুরুর আগে দেহ অশুচি থাকলে যমদূত কাউকে স্পর্শ করতে পারে না। তাই হোলি উত্সব করে রং মেখে দেহকে রাঙিয়ে তোলা হয়। প্রকৃতির বিচিত্র-বর্ণিল রঙের প্রতি একাত্ম হতেই হোলির প্রচলন হয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন। হোলি উত্সব বিভিন্ন বর্ণের তরল রং একে অপরকে কখনো দূর থেকে ছিটিয়ে দেয়। কখনো আবার কাছে গিয়ে গায়ে-মুখে হাত দিয়ে হাস্যোজ্জ্বল হয়ে তরল রং মাখিয়ে দেয়। হোলি উত্সব শুষ্ক রং মাখানো তেমন একটা চোখে পড়ে না।
শুধু রং ছিটানোই হোলি উত্সব প্রধান আনন্দ নয়, হোলি উত্সবে বিভিন্ন স্থানে আদি রসাত্মক গানও পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশে হোলি উৎসবে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে যুবক ও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিরা, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরও অংশ নিতে দেখা যায়। এসব অনুষ্ঠানে আজকাল হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলমান-খ্রিষ্টানদেরও অংশ নিতে দেখা যায়। এ দেশের সবচেয়ে জমজমাট হোলি উৎসব হয় পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার কালীমন্দির এলাকায়।

0 comments:

Post a Comment