মৌলভীবাজারের ১২৫০ হেক্টর আয়তনের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের দেশের সর্বপ্রথম ভেষজ বাগান আরোগ্যকুঞ্জে ভেষজ উদ্ভিদ চাষাবাদের কার্যক্রম। যে টুকু টিকে রয়েছে তাও পরিচর্যার অভাবে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ভেষজ এর গাছপালা থেকে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার আয়ুর্বেদী ঔষধের কাঁচামাল পাওয়া যাবে এবং আমদানীর উপর চাপ কমবে সাশ্রয় হবে বৈদেশীক মুদ্রা। বর্তমানে দেশের মডেল ভেষজ রোডের ৫হাজার বৃক্ষ মানুষের শাররীক রোগ-বিয়োগের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। গাছ গুলো কাটার মেয়াদ ৭ বছর আগে পূর্ণ হলেও তা কাটছেননা মালিকরা। কারণ এ ভেষজ গাছপালা আর্য়ুবেদী প্রতিষ্টান এ দিয়ে আয়ূবেদী ঔষধ তৈরী করবে যা লাগবে মানুষের কল্যানে। এ উপজেলার ১২৫০হেক্টর আয়তন জুড়ে লাউয়াছড়া বনের বাঘমারা এলাকায় ২০০২সালে দুই একর ও ২০০৩সালে আড়াই একর বন বিভাগের জমিতে গড়ে তুলা হয় ভেষজ বাগান আরোগ্য কুঞ্জ। তবে আরগ্য কুঞ্জ সৃষ্টির পর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বেশিরভাগ গাছ বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেলেও আরোগ্য কুঞ্জের কোন গাছে নাম লেখা না থাকায় পর্যটকরা গাছের পরিচয় জানতে পারেননা কেউ। অন্যদিকে আরগ্য কুঞ্জ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য সরকারের কোন বরাদ্দ না থাকায় বন বিভাগ এর কোন উন্নয়ন কাজ করতে পারছেনা। লোকবলের অভাবে সব সময় দেখাশোনা করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। সে সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু চক্র কেটে নিয়ে যাচ্ছে এসব ঔষধী গাছ। রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে ভেষজ গাছ আজ বিলুপ্তির পথে। এখানে রয়েছে আদি অকৃত্রিম ভেষজ চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষকে উৎসাহিক করে তোলার উদ্যেশ্যে সিলেট বন বিভাগ দেশজ ঔষধী বৃক্ষ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে “আরোগ্য কুঞ্জে” (অশোক, অর্জুন, কর্পুর, চালতা, নিম, চালমুগরা, রক্ত চন্দন, খয়ের, নাগেশ্বর সহ) ৩৮ টি প্রজাতির বৃক্ষ (বাসক, আকন্দ, পাখরকুঁচি, ভেরেন্ডা, ঘৃত কুমারী, উলটকমল, তুলসী, ফনিমনসাসহ) ১২ প্রজাতির গুল্ম জাতীয় এবং (ঈশ্বরমুল, কালোমেঘ, গন্ধভাদুলী, গোল মরিচ, থনকুনি, পুদিনা, শথমুলী, সর্পগন্ধা, হাড়মোড়, কুমারিকা সহ) ১৩ প্রজাতীর লতা জাতীয় গাছ-গাছালি সহ “আরোগ্য কুঞ্জে” লাগানো হয়েছিল ৬৯ প্রজাতির ভেষজ।
0 comments:
Post a Comment