নাটোর শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী গ্রাম খোলাবাড়িয়া। এলাকায় প্রবেশের সাথে সাথে রাস্তার দু‘ধারে চোখে পড়বে ঔষুধী গাছের সমারোহ। শুধু তাই নয় দু‘ধারের জমি গুলোতে আবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভেষজ উদ্ভিদ। জানা যায়, প্রায় ৪০ বছর আগে ওই গ্রামের কৃষক আফাজ পাগলা, আব্দুস সালাম সহ কয়েকজন কৃষক ঔষধি গাছের চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে এ চাষ লাভজনক হওয়ায় অন্যরাও এই ঔষধি গাছের চাষ শুরু করেন। আফাজ পাগলার স্ত্রী জানান, তার স্বামী বাসক, তুলশি ,ঘৃত কাঞ্চন (অ্যালোভেরা ),শতমুলি, শিমুল, অশ্বগন্ধা সহ প্রায় ৪শ’ প্রকারের গাছ চেনেন, চাষ করেন এবং চিকিৎসাও করেন। ক্রমে ক্রমে এই চাষ বৃদ্ধি পেয়ে এই গ্রাম এখন ঔষধি গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও কৃষকরা ঔষধি গাছের চাষ করে হয়েছেন লাভবান। প্রতিদিন এখান থেকে ঔষুধী পন্য যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তারা চান সারা দেশের সব গ্রাম ঔষধি গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করুক।
ঔষুধী সামগ্রীর পাইকারী ক্রেতা জানান, তারা এ গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে ঔষধি গাছ কিনে ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে লাভবান হয়েছেন। তবে নাটোরে যদি ভেষজ গাছ বিক্রির বাজার থাকতো তাহলে ভাল হ’ত।
ভেষজ বিক্রেতা জানান, ঔষধি গ্রাম হওয়ায় তারা একটি দোকান দিতে পেরেছেন। এই দোকান থেকে বিভিন্ন কোম্পানী এবং স্থানের কবিরাজ এসে এসব ঔষধ কিনে নিয়ে যান। এ ছাড়া তারা নিজেরা কবিরাজি ঔষধ তৈরী করে ও বিক্রি করেন। এ ব্যাবসায় তাদের উন্নতি হয়েছে। আল্লাহর কৃপায় পাল্টে গেছে তাদের অবস্থা।
নাটোরের এই অঞ্চলের মানুষের মত ঔষধী পন্য চাষ করে সাবলম্বী হবে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
0 comments:
Post a Comment