Saturday, September 15, 2012

গ্রাউন্ড জিরো, আমেরিকা

0 comments
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ পালন করবে বিখ্যাত নাইন-ইলেভেনের এগারোতম বার্ষিকী। ২০০১ সালে যাত্রীবাহী বিমানের আঘাতে যেখানে টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়েছিল সেই 'গ্রাউন্ড জিরো'র বর্তমান অবস্থা এখন কেমন? এক কথায় বলা যায়, এখনো সেই দিনের দগদগে ঘা নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে নিশ্চুপ অনড় সেই গ্রাউন্ড জিরো। এর একদিকে রয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর যা বাড়িয়ে দিয়েছে এর গুরুত্ব। ২০০১ সালের ওই হামলার পর উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন নিউইয়র্ক দমকল বাহিনীর ৩৪৩ জন সদস্য। তাদের স্মরণে বানানো হয়েছে ব্রোঞ্জের তৈরি একটি স্মৃতিফলক। সেদিন যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের আত্দীয়স্বজনেরা তৈরি করেছেন 'ট্রিবিউট ডবি্লউটিসি ভিজিটর সেন্টার'। হামলার পর টুইন টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে পাওয়া নিহতদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস রাখা হয়েছে ওই ভিজিটর সেন্টারে। এর মধ্যে রয়েছে চার মিটার দীর্ঘ বেঁকে যাওয়া ইস্পাতের তৈরি বিম, আছে ময়লাঢাকা এক জোড়া জুতা, ভেঙে যাওয়া ব্রিফকেস আর এক দমকল কর্মীর পুড়ে যাওয়া হেলমেট ইত্যাদি। টুইন টাওয়ারের ভিত্তিটা যেখানে ছিল সেটা চিহ্নিত করে রাখার জন্য ঠিক ওই জায়গায় জলাধার তৈরি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জলাধারের চারপাশে ৪০০ ওক গাছ লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া নির্মিত হচ্ছে 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার মেমোরিয়াল'। যেখানে থাকবে একটি জাদুঘর ও স্মৃতিস্মারক। এরই মধ্যে এই মেমোরিয়ালের কিছু অংশের উদ্বোধন করা হয়েছে। এসব স্মৃতিচারণমূলক সাইট ছাড়াও সেখানে তৈরি হচ্ছে কয়েকটি উঁচু ভবন। যেগুলোর কাজ শেষ হবে ২০১৪ সালে। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভবনটি হবে 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার-১'। ৫৪১ মিটার উচ্চতার এ ভবনটিই হবে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা। মার্কিন স্থাপত্যবিদ ডেভিড চাইল্ডস এটির নকশা করেছেন। ১০৫ তলাবিশিষ্ট এই ভবনের বেশির ভাগ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সাবেক টুইন টাওয়ারের স্থানে আরও কয়েকটি ভবন হবে যার নামও রাখা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। তবে প্রতিটি ভবন পরিচিত হবে নাম্বার দিয়ে। যেমন 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার-২' ভবনটির নকশা করেছেন ব্রিটিশ স্থপতি নরম্যান ফস্টার। এ ভবনের উচ্চতা হবে ৪১১ মিটার। যেটি হবে নিউইয়র্ক শহরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উঁচু স্থাপনা। উল্লেখ্য, নাইন-ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলায় মারা গিয়েছিল ২ হাজার ৭৪৯ জন।

0 comments:

Post a Comment