সিনেমা নির্মানের শুরুর দিকেই যুদ্ধ নিয়ে সিনেমা নির্মান হলেও প্রথম
বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্ব সিনেমার তালিকায় ‘যুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা’ (War
Films) আসন পাকা করে নিল। গত শতকে পৃথিবীতে যত যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে তার
প্রায় সব নিয়েই সিনেমা নির্মিত হয়েছে, এমনকি আরও অতীতের বিভিন্ন যুদ্ধকে
কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের কাহিনীতে সিনেমা নির্মিত হয়েছে, হচ্ছে এবং
হবে। ১৯৭১ সালে সংগঠিত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সিনেমা নির্মান
হওয়া তাই স্বাভাবিক এবং হয়েছে। বিজয়ের ৪১ বছরে এসে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে
নির্মিত সিনেমাগুলোর দিকে ফিরে তাকানো, আশা প্রত্যাশার হিসেব কষা যেতে
পারে।
মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘটে যাওয়া
মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত ঘটনাবলী এবং এ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে যে
চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে তাই মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র। পূর্ণদৈর্ঘ্য,
স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র – এই তিন ধারায় নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহের
আংশিক বা পূর্নাংশে যদি মুক্তিযুদ্ধ প্রতিফলিত হয় বা কোনভাবে প্রভাব
বিস্তার করে তবে এ সকল চলচ্চিত্রকে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র হিসেবে চিহ্নিত
করেছেন গবেষকরা। এসকল সিনেমার মাঝে যে সকল সিনেমার দৈর্ঘ্য ৬০ মিনিটের কম
তাকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং ৬০ মিনিটের বেশী দৈর্ঘ্যের সিনেমাকে
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে গন্য করা হয়েছে। পূর্ণদৈর্ঘ্য ও
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ তিন ভাবে এসেছে। প্রথমত, সরাসরি
মুক্তিযুদ্ধ, দ্বিতীয়ত, মুক্তিযুদ্ধোত্তর পরিবেশের ঘটনাবলী এবং তৃতীয়ত,
ভিন্ন কোন প্রেক্ষাপটে রচিত কাহিনীচিত্রে ফ্ল্যাশব্যাক বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা
হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ। অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত
প্রামাণ্যচিত্রগুলোর কিছু তৈরী হয়েছে সরাসরি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিকে তুলে
ধরে। বাকীগুলো মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধকালীন নির্যাতিত মানুষ ও
অন্যান্য বিষয় নিয়ে নির্মিত হয়েছে।
যুদ্ধকালীন চলচ্চিত্র
মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে যে সকল চলচ্চিত্র তৈরী হয়েছে তার কিছু তৈরী
হয়েছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই। বাংলার সাহসী তরুন যুবারা
যখন দেশকে স্বাধীন করার স্বপ্নে হাতে তুলে নিয়েছিল রাইফেল, তখনই দেশের এই
দুর্দশা ও সংগ্রামকে বিশ্বের কাছে পৌছে দেয়ার ইচ্ছায় কিছু তরুন শক্ত হাতে
ধরেছিলেন ক্যামেরা, জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধকালীন বিভিন্ন দৃশ্য সেই
ক্যামেরায় ধারণ করে পৌছে দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, স্বাধীন একটি
দেশের পক্ষে জনমত তৈরী করতে।
২৫শে মার্চ রাতের গণহত্যার ছবি তুলেছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নূরুল্লাহ। হত্যাযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর জীবনের ঝুকি
নিয়ে তার বাসায় পড়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিচুমানের ভিডিও
ক্যামেরা নিয়ে গণহত্যার দৃশ্য ধারণ করেছিলেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়,
২৫শে মার্চের হত্যাকান্ডের একমাত্র ভিডিওচিত্রের ব্যবহারযোগ্য কোন প্রিন্ট
কোথাও নেই।
মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর আবদুল জব্বার খানকে পরিচালক করে একটি
চলচ্চিত্র বিভাগ খোলা হলেও মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত চলচ্চিত্র নির্মানের
প্রথম সিরিয়াস প্রচেষ্টা হয় বেসরকারী উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ লিবারেশ কাউন্সিল
অব দি ইনটেলিজেনশিয়া’ এবং ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কলাকুশলী সহায়ক
সমিতি’র যৌথ উদ্যোগ ও আর্থিক সহায়তায়। নভেম্বর মাসের মধ্যেই বাংলাদেশর
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চারটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মিত হয়। এগুলো হল – জহির
রায়হান পরিচালিত ‘স্টপ জেনোসাইড’ ও ‘এ স্টেইট ইজ বর্ণ’, আলমগীর কবির
পরিচালিত ‘লিবারেশন ফাইটার্স’ এবং বাবুল চৌধুরীর পরিচালনায় ‘ইনোসেন্ট
মিলিয়নস’।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই জহির রায়হান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক
পূর্নদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ধীরে বহে মেঘনা’ নির্মানের পরিকল্পনা করেছিলেন।
কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার দেড় মাসের মধ্যেই জহির রায়হান নিখোঁজ হন।
পরবর্তীতে আলমগীর কবির এই সিনেমাটি নির্মান করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন
সময়ে উল্লিখিত চারটি প্রামাণ্য চিত্র ছাড়াও দশমিনিটের একটি সংবাদচিত্র
নির্মিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিছু পূর্ণদৈর্ঘ্য
চলচ্চিত্রের পরিকল্পনা করা হয়। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে অনেক চলচ্চিত্র
নির্মাতাই এগিয়ে আসেন মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র নির্মানে। ১৯৭২,
১৯৭৩ এবং ১৯৭৪ সালে মোট দশটি মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র তৈরী হয়।
১৯৭৫ সালে এ ধারার কোন চলচ্চিত্র নির্মিত হয় নি। ২০০৪ সালে আবার একই বছরে
তিনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।
বিজয় অর্জনের পরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
নির্মান করেন চাষী নজরুল ইসলাম, নাম ‘ওরা ১১ জন’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন
মাসুদ পারভেজ, জাগ্রত কথাচিত্রের ব্যানারে। চাষী নজরুল ইসলামের এটিই প্রথম
পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র যার কাহিনীকার আল মাসুদ, চিত্রনাট্যকার কাজী
আজিজ, সংলাপে এটিএম শামসুজ্জামান। অভিনয় করেছিলেন খসরু, শাবানা, রাজ্জাক,
নূতন, সুমিতা দেবী, রওশন জামিল, এটিএম শামসুজ্জামান সহ আরও অনেকে। ১৯৭১
সালে ১১জন মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে গঠিত গেরিলা দলের পাকিস্তানি বাহিনীর
বিরুদ্ধে অভিযান এবং দেশ স্বাধীন নিয়ে এই চলচ্চিত্র নির্মিত। এই এগারোজনের
দশজনই বাস্তবের মুক্তিযোদ্ধা, সিনেমা নির্মানে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র ও
বুলেটের সবকটিই আসল। ১১ই আগস্ট ১৯৭২ এ মুক্তি পায় এই চলচ্চিত্রটি।
১৯৭২ সালের ৮ই নভেম্বর মুক্তি পায় মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয়
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সুভাষ দত্ত পরিচালিত সিনেমা ‘অরুণোদয়ের
অগ্নিসাক্ষী’। কুসুমপুর গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম হত্যাকান্ড,
নির্যাতন, নারী ধর্ষন এবং প্রতিবাদে বাঙালিদের মুক্তি সংগ্রামকে কেন্দ্র
করে এই চলচ্চিত্র নির্মিত। যুদ্ধ শিশুর মত বিষয় বেশ গুরুত্বের সাথে ফুটে
উঠেছে এই চলচ্চিত্রে। শতদল কথাচিত্রের প্রযোজনায় এই চলচ্চিত্রে অভিনয়
করেছেন আনোয়ার হোসেন, ববিতা, উজ্জ্বল প্রমুখ।
বিজয়ের ঠিক এক বছর পর ১৫ই ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়
মুক্তিযুদ্ধের তৃতীয় ও চতুর্থ চলচ্চিত্র – ‘রক্তাক্ত বাংলা’ এবং ‘বাঘা
বাঙালী’। ‘রক্তাক্ত বাংলা’ পরিচালনা করেন মমতাজ আলী এবং ‘বাঘা বাঙালী’
পরিচালনা করেন আনন্দ। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় আলমগীর কবির পরিচালিত ‘ধীরে
বহে মেঘনা’, আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ এবং খান আতাউর রহমান
পরিচালিত ‘আবার তোরা মানুষ হ’। ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় চাষী নজরুল ইসলামের
‘সংগ্রাম’, নারায়ন ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এবং আনন্দের ‘কার হাসি কে
হাসে’।
১৯৭২ থেকে শুরু করে ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলোর একটি তালিকা দেয়া যেতে পারে।
ক্রম
|
চলচ্চিত্র
|
পরিচালক
|
মুক্তিরসন
|
১
|
ওরা ১১ জন
|
চাষী নজরুল ইসলাম
|
১৯৭২
|
২
|
অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী
|
সুভাষ দত্ত
|
১৯৭২
|
৩
|
রক্তাক্ত বাংলা
|
মমতাজ আলী
|
১৯৭২
|
৪
|
বাঘা বাঙালী
|
আনন্দ
|
১৯৭২
|
৫
|
ধীরে বহে মেঘনা
|
আলমগীর কবির
|
১৯৭৩
|
৬
|
আমার জন্মভূমি
|
আলমগীর কুমকুম
|
১৯৭৩
|
৭
|
আবার তোরা মানুষ হ
|
খান আতাউর রহমান
|
১৯৭৩
|
৮
|
সংগ্রাম
|
চাষী নজরুল ইসলাম
|
১৯৭৪
|
৯
|
আলোর মিছিল
|
নারায়ণ ঘোষ মিতা
|
১৯৭৪
|
১০
|
কার হাসি কে হাসে
|
আনন্দ
|
১৯৭৪
|
১১
|
মেঘের অনেক রং
|
হারুনুর রশীদ
|
১৯৭৬
|
১২
|
কলমীলতা
|
শহীদুল হক খান
|
১৯৮১
|
১৩
|
আমরা তোমাদের ভুলবো না*
|
হারুনর রশীদ
|
১৯৯৩
|
১৪
|
একাত্তরের যীশু*
|
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু
|
১৯৯৩
|
১৫
|
আগুনের পরশমনি
|
হুমায়ূন আহমেদ
|
১৯৯৪
|
১৬
|
সিপাহী
|
কাজী হায়াৎ
|
১৯৯৪
|
১৭
|
নদীর নাম মধুমতি
|
তানভীর মোকাম্মেল
|
১৯৯৬
|
১৮
|
হাঙর নদী গ্রেনেড
|
চাষী নজরুল ইসলাম
|
১৯৯৭
|
১৯
|
এখনো অনেক রাত
|
খান আতাউর রহমান
|
১৯৯৭
|
২০
|
ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ*
|
বাদল রহমান
|
১৯৯৮
|
২১
|
’৭১ এর লাশ
|
নাজির উদ্দীন রিজভী
|
১৯৯৮
|
২২
|
ইতিহাস কন্যা**
|
শামীম আখতার
|
২০০০
|
২৩
|
একজন মুক্তিযোদ্ধা
|
বি.এম সালাউদ্দিন
|
২০০১
|
২৪
|
শিলালিপি**
|
শামীম আখতার
|
২০০২
|
২৫
|
মেঘের পরে মেঘ
|
চাষী নজরুল ইসলাম
|
২০০৪
|
২৬
|
শ্যামল ছায়া
|
হুমায়ূন আহমেদ
|
২০০৪
|
২৭
|
জয়যাত্রা
|
তৌকির আহমেদ
|
২০০৪
|
২৮
|
ধ্রুবতারা
|
চাষী নজরুল ইসলাম
|
২০০৬
|
২৯
|
খেলাঘর
|
মোরশেদুল ইসলাম
|
২০০৬
|
৩০
|
অস্তিত্বে আমার দেশ**
|
খিজির হায়াত খান
|
২০০৭
|
৩১
|
স্পার্টাকাস’৭১**
|
মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী
|
২০০৭
|
৩২
|
গহিনে শব্দ
|
খালিদ মাহমুদ মিঠু
|
২০১০
|
৩৩
|
নিঝুম অরন্যে
|
মুশফিকুর রহমান গুলজার
|
২০১০
|
৩৪
|
রাবেয়া
|
তানভীর মোকাম্মেল
|
২০১০
|
৩৫
|
গেরিলা
|
নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু
|
২০১১
|
৩৬
|
আমার বন্ধু রাশেদ
|
মোরশেদুল ইসলাম
|
২০১১
|
৩৭
|
মেহেরজান
|
রুবাইয়াত হোসেন
|
২০১১
|
৩৮
|
আত্মদান
|
শাহজাহান চোধুরী
|
২০১২
|
৩৯
|
কারিগর
|
আনোয়ার শাহাদাত
|
২০১২
|
৪০
|
খন্ড গল্প’ ৭১
|
বদরুল আনাম সৌদ
|
২০১২
|
৪১
|
পিতা***
|
মাসুদ আখন্দ
|
২০১২
|
* বাণিজ্যিকভিত্তিতেকোনপ্রেক্ষাগৃহেমুক্তিদেয়াহয়নি
**ভিডিওফরম্যাটেনির্মিত
*** পিতা ১৪ ডিসেম্বর ২০১২তারিখে মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মূহুর্তে পিছিয়েছে।
তালিকাটি লক্ষ্য কররে দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধ এসেছে এরকম সিনেমা
তালিকায় স্থান পায় নি। চলচ্চিত্র গবেষকরা ২০০৭ সাল পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত
সিনেমাকে তালিকাভুক্ত করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ আছে
এমন বেশ কিছু ছবিকে এই তালিকার বাইরে রেখেছেন। এগুলো হল আবদুস সামাদের
‘সূর্যগ্রহণ’, মতিন রহমানের ‘চিৎকার’, এ জে মিন্টুর ‘বাঁধন হারা’, শহীদুল
ইসলাম খোকনের ‘বিপ্লব’, ‘সন্ত্রাস’, ‘কমান্ডার’, ‘ঘাতক’, ও ‘লাল সবুজ’,
দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘বীর সৈনিক’, তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’, গাজী
জাহাঙ্গীরের ‘জীবন সীমান্তে’ প্রভৃতি। এই বিবেচনায় ২০০৭ সালের পর থেকে
বর্তমান পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার কোন কোনটি হয়তো উপরোক্ত তালিকা
থেকে বাদ পড়বে। (ধারণা করছি, এ সকল সিনেমায় মুক্তিযুদ্ধ উপজীব্য নয় অথবা কাহিনীতে প্রভাব বেশী নয়, তাই তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে – দারাশিকো)