Saturday, December 1, 2012

বিশ্ব এইডস দিবস

0 comments
পহেলা ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস৷ ১৯৮৮ সালের এই দিনটি থেকে প্রতি বছর পালন করা হচ্ছে দিবসটি৷ উদ্দেশ্য এইচআইভি সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট এইডস সম্পর্কে গোটা বিশ্বে জনসচেতনতা সৃষ্টি৷
১৯৮১ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে এইডসে মৃতের সংখ্যা আড়াই কোটির বেশি৷ ২০০৭ সাল পর্যন্ত যে তথ্য উইকিপিডিয়া প্রদর্শন করছে, তাতে সারা পৃথিবীতে সেসময় অবধি এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিন কোটি৷ পৃথিবীর ইতিহাসে এই রোগ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারি হিসেবে বিবেচিত৷ অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল চিকিৎসা এবং যত্ন সত্ত্বেও পৃথিবীর অনেক দেশে ২০০৭ সালে প্রাণ হারায় বিশ লাখ মানুষ৷ যাদের মধ্যে দু'লাখ সত্তর হাজার শিশু৷ 
বলাবাহুল্য, এইডস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমাতে বিজ্ঞানীদের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে৷ এই নিয়ে গবেষণা চলছে৷ আসছে সফলতাও৷ তবে বিশ্ব এইডস দিবসের মূল লক্ষ্য জনসচেতনতা সৃষ্টি৷ ১৯৮৮ সাল থেকে এই দিবস পালন শুরু করে তৎকালীন এইডস বিষয়ক বিশ্ব কর্মসূচি, যা বর্তমানে ইউএনএইডস নামে পরিচিত৷ ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর একটি বাৎসরিক প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে এই দিবসটি উদযাপন করা হয়৷ চলতি বছর এই দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, এইচআইভি সংক্রমণ, বৈষম্য এবং এইডস সম্পর্কিত মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে এগিয়ে চলা৷
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে এইচআইভি সংক্রমণ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইপিএস৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার কম থাকলেও বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন এটি ধীরে ধীরে চুপিসারে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷
১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে সরকারি হিসাবে বর্তমানে এইচআইভি বহন করছে দুই হাজার পাঁচ শ' তেত্রিশ জন৷ ২০১১ সালে প্রকাশিত সরকারি সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুঁই-সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক সেবনকারী তথা আইডিইউ, পেশাদার যৌন কর্মী, সমকামী নারী-পুরুষ ও অভিবাসী জনগোষ্ঠীর মাঝে এই ভাইরাসের সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে৷ সমীক্ষাটি বাংলাদেশের ৩৬টি ভৌগোলিক এলাকার বাছাইকৃত ২,৮৯৪ জনের রক্ত পরীক্ষা করে তৈরি করা হয়৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

0 comments:

Post a Comment