পহেলা ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস৷ ১৯৮৮ সালের এই দিনটি থেকে প্রতি বছর পালন
করা হচ্ছে দিবসটি৷ উদ্দেশ্য এইচআইভি সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট এইডস সম্পর্কে
গোটা বিশ্বে জনসচেতনতা সৃষ্টি৷
১৯৮১ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে এইডসে মৃতের সংখ্যা আড়াই কোটির বেশি৷ ২০০৭
সাল পর্যন্ত যে তথ্য উইকিপিডিয়া প্রদর্শন করছে, তাতে সারা পৃথিবীতে সেসময়
অবধি এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিন কোটি৷ পৃথিবীর ইতিহাসে এই
রোগ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারি হিসেবে বিবেচিত৷
অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল চিকিৎসা এবং যত্ন সত্ত্বেও পৃথিবীর অনেক দেশে ২০০৭
সালে প্রাণ হারায় বিশ লাখ মানুষ৷ যাদের মধ্যে দু'লাখ সত্তর হাজার শিশু৷
বলাবাহুল্য, এইডস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমাতে বিজ্ঞানীদের চেষ্টাও
অব্যাহত রয়েছে৷ এই নিয়ে গবেষণা চলছে৷ আসছে সফলতাও৷ তবে বিশ্ব এইডস দিবসের
মূল লক্ষ্য জনসচেতনতা সৃষ্টি৷ ১৯৮৮ সাল থেকে এই দিবস পালন শুরু করে তৎকালীন
এইডস বিষয়ক বিশ্ব কর্মসূচি, যা বর্তমানে ইউএনএইডস নামে পরিচিত৷ ২০০৪ সাল
থেকে প্রতিবছর একটি বাৎসরিক প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে এই দিবসটি উদযাপন করা
হয়৷ চলতি বছর এই দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, এইচআইভি সংক্রমণ, বৈষম্য এবং
এইডস সম্পর্কিত মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে এগিয়ে চলা৷
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে এইচআইভি সংক্রমণ সংক্রান্ত এক
প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইপিএস৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এইচআইভি
সংক্রমণের হার কম থাকলেও বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন এটি ধীরে ধীরে চুপিসারে
মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷
১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে সরকারি হিসাবে বর্তমানে এইচআইভি বহন করছে দুই
হাজার পাঁচ শ' তেত্রিশ জন৷ ২০১১ সালে প্রকাশিত সরকারি সমীক্ষার প্রতিবেদন
অনুযায়ী, সুঁই-সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক সেবনকারী তথা আইডিইউ, পেশাদার যৌন
কর্মী, সমকামী নারী-পুরুষ ও অভিবাসী জনগোষ্ঠীর মাঝে এই ভাইরাসের সংক্রমণ
লক্ষ্য করা গেছে৷ সমীক্ষাটি বাংলাদেশের ৩৬টি ভৌগোলিক এলাকার বাছাইকৃত ২,৮৯৪
জনের রক্ত পরীক্ষা করে তৈরি করা হয়৷
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
0 comments:
Post a Comment