প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতায় বিখ্যাত রানীদের মধ্যে নেফারটিটি ছিলেন অন্যতম।
তিনি ছিলেন ফারা আখেনাটেন-এর স্ত্রী। মিসরীয়দের ধর্মীয় আচরণে আখেনাটেন যে
পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন, তাতে নেফারতিতিরও সহযোগিতা ছিল। মিসরীয় সভ্যতার
প্রধান দেবতা হিসেবে আমরা সূর্যকে জানলেও আগে মিসরে বহু দেবতা পূজা করার
প্রচলন ছিল। আখেনাটেনও নেফারতিতির উদ্যোগেই মিসরীয়রা সূর্যকে একমাত্র দেবতা
হিসেবে পূজা করতে শুরু করে। অর্থাৎ মিসরে বহু দেবতার বদলে এক ঈশ্বরের
পূজা প্রচলিত হয়। তবে নেফারটিটি অন্য দেবতাদেরও শ্রদ্ধা করতেন। প্রাচীন
মিসরীয় পুঁতিপত্রে নেফারতিতিকে খুশি, আনন্দ বা ভালোবাসার প্রতীক হিসেবেও
চিহ্নিত করা হয়েছে।
বার্লিনের নিউইস জাদুঘরে রাখা তার মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন ভাস্কর থুটমোস।
এই মূর্তিটি থেকে সে যুগের মিসরের শিল্পকলা সম্বন্ধে অনেক তথ্য জানা যায়।
0 comments:
Post a Comment