Tuesday, July 6, 2010

রিমোট ওয়ার্ক

0 comments
বর্তমানে কোম্পানীগুলো সমস্ত মূলধন ফেরত আনার চেষ্টা করে। আর কোম্পানীগুলো মূলধন ফেরত আনার জন্য দূরবর্তী অর্থাৎ বাইরের দেশের কাজকে বেছে নিয়েছে। লোকজন আসলে ভীত থাকে যে মূলধন বিনিয়োগের পর যদি অর্থ ফেরত না আসে তবে আমাকে মাঠে মারা যেতে হবে। তাইতো তারা সহজ উপায় বেছে নিয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাতাই আছে যারা এইসব বিদেশী কাজের দ্বারা অতি দ্রুত ধনবান হয়েছে। আর এই কাজের অনেক বেশি চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। সহজ উপায়ে অর্থ আয়ের এই পথ গ্রহণের প্রবণতাটাও বেশি। তাই বলা যায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই পদ্ধতি ব্যাপকতা পাবে। সকলেই ঝুঁকে পড়বে এই সব বিদেশি কাজ করতে। যুক্তি বিদেশি কাজগুলো করতে কোম্পানিগুলো কর্মচারীদের বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। যে কারণে এই কোম্পানীগুলো অধিক কর্মচারী পায়। এমন কয়েকটি সুবিধা নিচে দেয়া হলো- কোম্পানিগুলো কর্মচারীর খরচ বাচাতে বীমা, অফিস ভাড়া, বাড়ি ভাড়া এমনি বিদ্যুৎ বিলের মতো সুবিধাদি দেয়। আবার অনেক কোম্পানিই আছে যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) তৈরি করার সুযোগ দেয় এবং আপনি এই নেটওয়ার্ক তৈরি করে ল্যান(লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) এর মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন। ইন্টারনেট লাইনের অবর্তমানে যেন টেলিফোনে কাজ চালানো যায়। সেজন্য আপনার একটি টেলিফোন লাইন দরকার। যাতে কাজের শেষেও আপনি আপনার নেটওয়ার্ককে চালু রাখতে পারেন। ফলে আপনার নিয়োগকর্তা আপনাকে বিল পাঠাতে কোন প্রকার ঝামেলার সম্মুখীন হবে না। ফলে বিল পাঠানো হবে অনেক বেশি সহজতর। আসলে কাজের সময়ের বা অফিস সময়ের কোন বাধাধরা নিয়ম নেই। সেটা যেকোন সময়েই হতে পারে। সাধারণত প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর নয়টা-পাঁচটার মতো বাধাধরা নিয়ম থাকে। যা নতুন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর থাকে না। অনেক কাজই আছে যা বিকেলে করা যায়। যেমন- গ্রাফিক্স ডিজাইন, কপি রাইট ইত্যাদি। এই কাজগুলোতে ডিজাইনাররা অথবা গ্রাফিক্স স্পেসালিস্টরা কাজের মাঝে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারে। আপনি ভবিষ্যতে যদি ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে না চান। যদি একটি টিমের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন তাহলে বাধা ধরা কোন সময় নেয়া সম্ভব নয়। গবেষণায় দেখা গেছে যদি একজন ঘরে বসে কাজ করে তবে সে অন্তত ২৫ শতাংশ বেশি উৎপাদন করতে পারবে। পক্ষান্তরে বাইরে কাজ করে ঐ ব্যক্তিই ২৫ শতাংশ কম কাজ করবে। তাছাড়া তার মধ্যে ক্লাšিত্ম ও দূশ্চিন্তাতো থাকবেই। সারাবিশ্বেই নিয়োগকর্তা আছে যারা এমন সব রিমোট ওয়ার্ক দিয়ে থাকে। আপনার ভাল একটা কাজের দরকার, তাই না? যদি আপনাকে কাজ দেবার কেউ থাকে তবে আপনার জন্য এই রিমোট ওয়ার্ক নয়। অন্যদিকে আপনার বর্তমান উৎপাদনশীলতা জিরোর কাছাকাছি কিন্তু অতিদ্রুত তা উন্নত করতে চান। তারা বেছে নিন এই রিমোট ওয়ার্ক। বর্তমানে পরিবারের ভিতরে 'রিমোর্ট ওয়ার্ক' একটি চমৎকার আলোচনার বিষয় হতে পারে। মনে করেন আপনার বড় ভাই নয়টা থেকে পাঁচটা কাজ করে বাসায় ফিরল আর আপনি তখন বের হলেন কাজ করার উদ্দেশ্যে। বড় ভাই কাজটি ভাল চোখে দেখছেন না। কারণ সে ভাবছে এটা কোন কাজের সময় হলো। তাই একসময় এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বই আপনার ভাইয়ের সাথে বিবাদে জড়াবে আপনাকে। তারপরও আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। রিমোট ওয়ার্কওতো একটি কাজ। হোক সেটা বিকাল পাঁচটা থেকে রাত বারোটা।

0 comments:

Post a Comment