Sunday, April 3, 2011

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন

0 comments

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন 'বুর্জ খলিফা'


বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেল বুর্জ আল দুবাইয়ের পর ১৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত 'বুর্জ খলিফা' আরেক শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে আবির্ভূত হলো। এই একুশ শতকে সবচেয়ে উঁচু ভবনটি দেখতে এখন দুবাইতেই যেতে হবে। রকেটের মতো দেখতে এ ভবনটি দুই হাজার ৭১৭ ফুট উঁচু। ৬০ মাইল দূর থেকেও ভবনটি দেখা যায়। ভবনের ৭৬ তলায় রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত সুইমিংপুল ও ১৫৮ তলায় সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত মসজিদ। নির্মাণের সময় নাম ছিল বুর্জ দুবাই। তবে আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সম্মানে ভবনের নাম বুর্জ দুবাইয়ের পরিবর্তে বুর্জ খলিফা রাখা হয়েছে। ১৬৯ তলাবিশিষ্ট 'বুর্জ খলিফা'র আগে তাইওয়ানের তাইপে ১০১ তলা ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন। ছয় লাখ বর্গফুটবিশিষ্ট এই ভবনে একসঙ্গে ১২ হাজারেরও বেশি লোকের সমাবেশ হতে পারে। বুর্জ ভবনে ৫৪টি এলিভেটর বা লিফট আছে। এগুলোর গতি ঘণ্টায় ৪০ মাইল। ভবনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইমার প্রপার্টিস জানায়, এরই মধ্যে ভবনের ৯০ শতাংশ ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি হয়ে গেছে। দুবাইয়ে এখন শত শত ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির অপেক্ষায় থাকলেও ক্রেতারা এই ভবনের দিকেই আকৃষ্ট হচ্ছে।

তাইপে ফিনান্সিয়াল সেন্টার

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে অবস্থিত এ ভবনটির অপর নাম তাইপে ফিনান্সিয়াল সেন্টার। ১০১ তলাবিশিষ্ট এ ভবনটির উচ্চতা ১৬৭১ ফুট (৫০৯ মিটার)। ২০০৩ সালে পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারকে পরাজিত করে তাইপে-ফিনান্সিয়াল সেন্টার বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবনের মর্যাদা লাভ করে। ভবনটির ডিজাইন করেছেন সিওয়াইলি অ্যান্ড পার্টনারস। ইস্পাত এবং কাচনির্মিত এ ভবনটি অনেকটা ঐতিহ্যবাহী চাইনিজ প্যাগোডার আদলে তৈরি।

পেট্রোনাস টাওয়ার


মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার বিশ্বের অন্যতম সুদৃশ্য ভবন। উচ্চতা ১৪৮৩ ফুট (৪৫২ মি.) ডিজাইন করেছেন আর্জেন্টাইন-আমেরিকান স্থপতি মিজার পেলি্ল। ১৯৯৭ সালে নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ারকে ছাড়িয়ে যায়। পেট্রোনাস টাওয়ার হচ্ছে মালয়েশিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানি পেট্রোনাসের সদর দফতর। এর অবস্থান মালয়েশিয়ার হাইটেক শহরাঞ্চল মালয়েশিয়া মাল্টিমিডিয়া সুপার করিডরে স্টেইনলেস স্টিল এবং কাচনির্মিত এ ভবনে ৮৮টি তলা রয়েছে।

সিয়ার্স টাওয়ার

শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম ভবন। নির্মাণকাল ১৯৭০ থেকে ১৯৭৪। সিয়ার্স রোইবাক অ্যান্ড কোং ১১০ তলাবিশিষ্ট এবং ১৪৫০ ফুট উচ্চতার এ ভবন নির্মাণ করেছেন স্কিডমোর, ওয়িংস এবং মেরিল। ঝালাই ইস্পাতের তৈরি চৌকোনা টিউবের ওপর দাঁড়িয়ে আছে সিয়ার্স টাওয়ারের কাঠামো। এ সুদৃশ্য ভবনের ডিজাইন করেছেন বাংলাদেশের স্থপতি ফজলুর রহমান খান।

এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং


নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনের কেন্দ্রে পঞ্চম এভিনিউতে দাঁড়িয়ে আছে ১২৫০ ফুট উঁচু বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ ভবন। ১৯৩০-৩১ সালে নির্মিত এ ভবনের ডিজাইন করেছেন শ্রেভ, ল্যাম্ব এবং হার্মন ফার্ম। ১০২ তলাবিশিষ্ট এ ভবন দীর্ঘদিন বিশ্বের উচ্চতম ভবনের মর্যাদা দখল করেছিল। টুইন টাওয়ার নির্মিত হলে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং সেই মর্যাদা হারায়। ২০০১ সালে সন্ত্রাসী হামলায় টুইন টাওয়ার ধ্বংস হয়ে গেলে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং পুনরায় যুক্তরাস্ট্রের সর্বোচ্চ ভবনে পরিণত হয়। এটি একটি অফিস ভবন। এতে ২৫ হাজার লোক কর্মরত।

-মাহমুদ আহমেদ

0 comments:

Post a Comment