Saturday, April 16, 2011

হ্রদ

0 comments
চারদিকে স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত জলভাগকে হ্রদ বা লেক বলা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে অসংখ্য হ্রদ আছে। পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাকৃতিক হ্রদগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হ্রদগুলো সাগর হিসেবে পরিচিত। সাগর হিসেবে পরিচিত হ্রদগুলোর মধ্যে ডেড সি, সি অব গ্যালিলি এবং কাসপিয়ান সি'র নাম করতে হয়। কতগুলো হ্রদ সমুদ্র স্তর থেকে উঁচু আর কতগুলো হ্রদ সমুদ্র স্তর থেকে নিচু। উদাহরণ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেক টিটিকাকা সমুদ্র স্তর থেকে ৩৮১২ মিটার উঁচু। অন্যদিকে ইসরায়েল-জর্ডানের মধ্যবতী ডেড সি সমুদ্রস্তর থেকে ৩৯৯ মিটার নিচু। খধশব শব্দটি গ্রিক শব্দ খধশশধং, যার অর্থ গহ্বর কিংবা পুকুর থেকে এসেছে। পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাকৃতিক হ্রদগুলোর সৃষ্টি ইতিহাসের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, অধিকাংশ বড় বড় হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে গ্গ্নেসিয়ার থেকে। মেরু অঞ্চল থেকে চলমান গ্গ্নেসিয়ার হিমবাহ যুগে এক উপত্যকায় জমা হয়ে হ্রদের সৃষ্টি করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ফিনল্যান্ডে হাজার হাজার হ্রদ হেগ্নসিয়ার থেকে সৃষ্ঠ। উত্তর আমেরিকার গ্রেট লেকের অংশবিশেষ গ্গ্নেসিয়ার থেকে সৃষ্ঠ। এছাড়া লাইমস্টোন রিজিওনে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ধীরে ধীরে লাইমস্টোন গলে হ্রদের সৃষ্টি করে। যুগোস্ট্নাভিয়া, ফ্লোরিডায় এ ধরনের হ্রদ সৃষ্ঠ হয়। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায়, পূর্ব আফ্রিকায় হ্রদের সৃষ্টি হয়। এছাড়া নানা ধরনের প্রাকৃতিক কারণে হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ খবর বড় বড় প্রাকৃতিক হ্রদের বিবরণ দেওয়া যেতে পারে। পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদের নাম কাসপিয়ান সি। আয়তন ৩৭২০০ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্য ১২০১ কিলোমিটার।
অবস্থান কাজাখস্তান-তুর্কমেনিস্তান, ইরান, আজারবাইজান ও রাশিয়ায়। দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদের নাম লেক সুপিরিয়র। আয়তন ৮২১০৩ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্য ৫৬৩ কিলোমিটার। অবস্থান কানাডা-আমেরিকায়। আয়তন অনুযায়ী কেনিয়া-তাঞ্জানিয়া ও উগান্ডার লেক ভিক্টোরিয়া, কানাডা-আমেরিকার লেক হুরোন, আমেরিকার লেক মিশিগান, কাজাখস্তান-উজবেকিস্তানে এরিয়া লেক, রাশিয়ার লেক বেকাল, কানাডার গ্রেট বিয়ারলেক ইত্যাদির নাম করা যেতে পারে। পৃথিবীর ভূপ্রকৃতিতে বিশেষ খবর বৃহত্তম হ্রদগুলোর অবস্থান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

তৈমুর রেজা

0 comments:

Post a Comment