Friday, April 1, 2011

কানা রাজার গুহা, কক্সবাজার

0 comments
কক্সবাজারের 'কানা রাজার গুহা' দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান হতে পারে। জনশ্রুতি আছে, গুহাটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো। তবে গুহাটির নেই কোনো সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণ। এতে পাহাড় ভেঙে গুহার মুখ অনেকখানি ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে ঐতিহাসিক এ গুহাটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। গুহাটির মুখ প্রায় ১০০ বর্গফুট এবং গুহার দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার। এ গুহা কিভাবে এবং কেনইবা তৈরি করা হয় সেসব কাহিনী অজানাই রয়ে গেছে। ইনানী সমুদ্র সৈকত দর্শনে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকরা হাতে সময় থাকলে রহস্যঘেরা এ গুহাটিও এক নজর দেখে যান। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন জালিয়াপালং। এই ইউনিয়নের ইনানী থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরের কূলঘেঁষা পাটুয়ার টেকের সুউচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে 'কানা রাজার গুহা'র অবস্থান। গুহাটির একেবারে কাছে যাওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নেই। অনেক কষ্ট করে গুহাটির কাছে গেলে শোনা যায় বানর আর পাখির কিচিরমিচির শব্দ। এ সময় গা শিউরে ওঠে। জেলে ও স্থানীয়দের মুখ থেকে 'কানা রাজার গুহা' নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়। কানা রাজার আসল পরিচয় কী তা উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও এলাকায় জনশ্রুতি আছে, তিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক শাসক। প্রায় ৩০০ বছর আগে কানা রাজা তার দলবলসহ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে পাটুয়ার টেকের পাহাড়ে অবস্থান নেন। সেখানে তিনি একটি গুহা খনন করান। পরবর্তীতে এটি 'কানা রাজার গুহা' নামে পরিচিতি লাভ করে। ৩০০ বছর আগে এখানকার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল সমুদ্র পথ। সে সময় বঙ্গোপসাগরে দেশি-বিদেশি মালবাহী জাহাজ ও বিভিন্ন জলযান চলাচল করত। এসব জলযান থেকে কর আদায় করতেন কানা রাজা। অনেকে তাকে সমীহ করে দিয়ে যেত মূল্যবান সামগ্রী। এসব মালামাল গুহায় এনে রাখা হতো। তাই অনেকের ধারণা, এ গুহায় এখনো অনেক মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে।
প্রায় ১০০ বছর আগে স্থানীয় চাক সম্প্রায়ের লোকজন পাহাড়ে জুম চাষ করার সময় এ গুহার সন্ধান পায়। পরবর্তীতে রহস্যঘেরা এ গুহা একনজর দেখার জন্য আসতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের মতে, 'কানা রাজার গুহা'টি সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ গুহা।

নবাব আমিন

0 comments:

Post a Comment