Monday, July 26, 2010

রিউম্যাটিক ফিভার

1 comments
সাধারণত এক প্রকার ইনফ্লামেটর ডিজিজই রিউম্যাটিক ফিভার। রিউম্যাটিক ফিভার হতে পারে স্কারলেট ফিভার অথবা স্ট্রেপ থ্রোট জাতীয় ইনফেকশন থেকে। আর এই ইনফেকশনটির জš§ হয় গ্রুপ এ হিমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোককাস নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে। বড়দের চাইতে ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সের বাচ্চাদের ওপর রিউম্যাটিক ফিভারের প্রভাবটা পড়ে অনেকখানি বেশি। ক্যান্সার বা মরণব্যাধীর মতো নিশ্চিত মৃত্যুর রোগ না হলেও এই ফিভারের ভোগান্তিটা মারাত্মক। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য।

লক্ষণ :

০০ জ্বর, গলা খুশখুশ, গলায় ব্যথা হওয়া

০০ হাটু, গোড়ালি, কনুই, কবজিসহ যে কোনো জয়েন্টে ফুলে ওঠা এবং সাথে প্রচণ্ড ব্যাথা হওয়া

০০ সারা শরীরে, স্পেশালি কোমর, পা এবং হাতের উপরের লাল লাল র‌্যাশ বের হওয়া

০০ হাত ও পায়ের হাড় এবং টেন্ডনের ওপর চিঠির মতো (রিউম্যাটিক নোডিউলস) গ্রোথ ডেভেলপ করা।

আপনি যখনই লক্ষণ দেখে এনশিউর হবেন কিংবা মনে মনে সন্দেহ পোষণ করবেন যে কোনো বাচ্চার রিউম্যিাটিক কীভাবে ভুগছে সাথে সাথে সতর্ক থাকুন। যার রিউম্যাটিক ফিভার কিংবা সর্দি-কাশি তার থেকে অন্য বাচ্চাদের টিফিন খেতে দিবেন না। যদি মনে হয় যে বাচ্চার স্ট্রেট থ্রোট বা স্কারলেট ফিভার হয়েছে তাহলে অতিশীঘ্রই চিকিৎসা করান নইলে ইনফেকশন হয়ে রিউম্যাটিক ফিভারে সে আক্রান্ত হতে পারে। বাচ্চার রোগ নির্ণয়ের জন্য কিছু ব্যবস্থা নিতে পারেন। যেমন বারবার সর্দিকাশি হলে সময় মতো রক্ত (ASO Titer) এবং স্যালাইকা পরীক্ষা করাতে হবে। প্রয়োজন হতে পারে ইসিজি, জয়েন্টের এক্সরে করানোর। যদি সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে বাচ্চার রিউম্যাটিক ফিভার হয়েছে, তবে টানা ১০ বছর ধরে ২১ দিনে ১ বার করে পেনিসিলিন ইনফেকশন দেওয়া জরুরি। বাচ্চার ওজনের ওপর ডোজ নির্ভর করে। যার পেনিসিলিনে এলার্জি থাকে তার বেলায় এরিথ্রোমায়েসিন জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়। ব্যথার জন্যে ব্যবহার করতে পারেন অ্যাসপিরিন ওষুধ দেয়া হয়। ব্যাথার জন্যে ব্যবহার করতে পারেন অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ। তবে সাবধান থাকুন রোগ নির্নয়ের ব্যাপারে। কেননা রোগ নির্ণয় যদি সঠিকভাবে না হয় তবে নানা ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে। যেমন- হার্টের ভালভ নষ্ট হয়ে গিয়ে নানা উপসর্গ, বুকে ব্যথা, এমনকি হার্ট ফেলও হতে পারে। এছাড়া অনেক সময় কিডনি আক্রান্ত হতে পারে। ফলে কিডনিও ফেল করতে পারে। এর ফলে হয়তো দেখা যাবে বাচ্চার মুভমেন্টে পরবর্তীতে সমস্যা হচ্ছে। তার চলাফেরার সময় হাত এবং পুরো শরীরটাই কাঁপছে। এমনটা একেবারে অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই সমস্যাকে চিকিৎসাশাস্ত্রে সিডেনহ্যাম কোরিয়া বলে। আর তাই রিউম্যাটিক ফিভারের ক্ষেত্রে একটু মনোযোগসহকারে সতর্ক থাকুন।

1 comments:

Post a Comment