Monday, March 4, 2013

কুতুব শাহী মসজিদ

0 comments
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার কালের নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী কুতুব শাহী মসজিদ।

ধীরগতিতে বয়ে চলা ধলেশ্বরী নদের কুলঘেষে গড়ে ওঠা এ জনপদে মোগল আমলের ঐতিহ্যের নিদর্শন পাঁচ গম্ভুজ বিশিষ্ট এ মসজিদ কালের সাক্ষী হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে।

হাওরাঞ্চল ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা ঐতিহ্যের টানে এখানে ঢু মারতে আসেন। এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নান্দনিক কারুকার্য খচিত এ মসজিদকে ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তি।

স্থানীয়রা জানান, ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেওয়া অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর কুতুব শাহী মসজিদ ঘুরে ফিরে দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এই মসজিদের পাশেই রয়েছে কুতুব শাহের ৯ সহচরের মাজার।

সরকার ১৯০৯ সালে মসজিদটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকেই এর দেখভাল করা হচ্ছে।

তবে স্থানীয়রা জানান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে এখনো পর্যন্ত মসজিদের কোনো লোক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাই সেখান থেকে নিয়মিত কোনো লোকই আসে না। স্থানীয়রাই নিজেদের উদ্যোগে এ মসজিদের দেখভাল করছেন।

অষ্টগ্রামের মসজিদ জাম এলাকায় গড়ে ওঠা এ মসজিদের ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়ে একটি নাম ফলক। সেই ফলকে খোদাই করে লেখা রয়েছে মসজিদের ইতিহাস ও আদ্যোপান্ত।

জানা গেছে, বিখ্যাত দরবেশ কুতুব শাহের নামানুসারে এ মসজিদটি নির্মিত হয়। তবে মজসিদটির নির্মাণকাল নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।

কেউ কেউ বলেন, এ মসজিদ ১৬শ’ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছে। আবার অনেকেই মনে করেন, এটি নির্মিত হয়েছে ১৭শ’ শতাব্দীতে।

১৭শ’ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত বলেই এ মসজিদে সুলতানী ও মোগল স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

এ মসজিদটির আয়তন উত্তর দক্ষিণে ৪৬’-১১’’ এবং পূর্ব-পশ্চিমে ২৭’-১১’’। এ মসজিদের ৪ কোণে ৮ কোণ বিশিষ্ট ৪টি মিনার বা কর্নার রয়েছে।

এ মসজিদের পূর্ব দেয়ালে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে ২টি করে ৪টিসহ মোট ৭টি সুলতানী খিলানযুক্ত প্রবেশ পথ রয়েছে। পূর্ব দেয়ালের প্রবেশ পথের বিপরীতে পশ্চিম দেয়ালে ৩টি মেহরাব রয়েছে।

অষ্টগ্রামের মসজিদ জাম এলাকার বাসিন্দা আশরাফ আলী ফকির বলেন, ‘আমরা ৭ ভাই মিলে এ মসজিদটি দেখাশুনা করি। মাস তিনেক পরপর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে লোকজন এখানে আসেন।’

অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ কমল বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী কুতুব শাহী মসজিদে মোগল আমলের ঐতিহ্যের ছাপ স্পষ্ট।’

তিনি বলেন, ‘৪শ’ বছরের প্রাচীন এ মসজিদ দেখতে যারাই আসেন তারা অভিভূত হন। এখানে নামাজ আদায় করেন।’ 




Courtesy: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

0 comments:

Post a Comment