পত্রিকায় প্রায় প্রতিদিনই আমরা শুনতে পাই পোস্টমর্টেমের কথা। যে কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করতে দরকার হয় এই পোস্টমর্টেমের। আসুন জানার চেষ্টা করি কি এই পোস্টমর্টেম।
পোস্টমর্টেম কি?
পোস্টমর্টেমের আরেক নাম অটপসি। অটপসি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ অটপসিয়া থেকে। যার মানে 'To See For One Self'। সাধারণভাবে অটপসি হলো আইনানুগভাবে মৃতদেহ পরীক্ষা করে মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করা।
কবে শুরু হলো পোস্টমর্টেম?
খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে মিসরীয়রা মমি তৈরির জন্য মৃতদেহকে ব্যবচ্ছেদ করত। তবে তারা শুধু ধর্মীয় কারণেই তা করত। মূলত মৃত্যুর কারণ জানার জন্য মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের কথা জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দে গ্রিসে। রোমান সম্রাজ্যে এটি চালু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০ অব্দে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পর তার অফিসিয়াল পোস্টমর্টেম হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ অব্দে। এ ছাড়া আরবদের মধ্যে আন নাফিসের কথা উল্লেখযোগ্য। আধুনিক অটপসি চালু করেন Renaissance. এ iovanni Morgagni-কে বলা হয় Father of anatomical pathology.
কত ধরনের পোস্টমর্টেম হতে পারে?
অটপসি সাধারণত ৩ ধরনের হয়ে থাকে_
- মেডিকোলিগাল : অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে করা হয়।
- ক্লিনিক্যাল : এটি অসুস্থতাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে করা হয়।
- একাডেমিক : এনাটমি পড়ানোর জন্য মেডিক্যাল কলেজে করা হয়।
কারা পোস্টমর্টেম করেন?
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে_
১। সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর এবং লেকচারার।
২। জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন।
৩। সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার।
কি কি লাগে পোস্টমর্টেমের জন্য?
- চালান (পুলিশ কর্তৃক)
- সুরতহাল রিপোর্ট (পুলিশ কর্তৃক)
- হাসপাতালে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেট
- পুলিশ কর্তৃক লাশ শনাক্তকরণ
- অবশ্যই দিনের আলো। (ভূতের গল্পে রাতে পোস্টমর্টেমের কথা বলা হলেও তা ভুল। আমাদের দেশে সব পোস্টমর্টেমই দিনে হয়)।
- অনুমোদিত মরচুয়ারি
কিভাবে করা হয়?
১। যে ডাক্তার পোস্টমর্টেম করবেন তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করেন।
২। সুরতহাল রিপোর্ট পড়েন।
৩। মৃতদেহের বাহ্যিক পরীক্ষা করেন।
৪। মৃতদেহকে ব্যবচ্ছেদ করা হয় (সাধারণত ডোমরা এটি করে থাকে) এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গ পরীক্ষা করা হয়।
মস্তিষ্ক পরীক্ষার জন্য করোটি খোলা হয়। আর গলা, বুক, পেট পরীক্ষার জন্য তিন ধরনের ইনসিসন দেওয়া হয়। 'I' 'Y' এ es modified 'Y'।
কি কি ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়?
স্টমাক এবং ইনটেস্টাইন, কিডনি, হার্ট, লাংস, লিভার, ব্রেইন ইত্যাদি।
সবগুলোই সাধারণত সম্পৃক্ত লবণ পানিতে সংরক্ষণ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
তারপর? পোস্টমর্টেম শেষে ব্যবচ্ছেদকৃত অংশ সেলাই করে দেওয়া হয়।
পোস্টমর্টেমের প্রয়োজনীয়তা কি?
পোস্টমর্টেম বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পোস্টমর্টেমের ভুলের কারণে একজন নিরপরাধ লোকের শাস্তি হতে পারে, আবার একজন অপরাধী ছাড়াও পেতে পারে। তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে এই রিপোর্ট তৈরি এবং আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট প্রদানকারী ডাক্তারকেও সাক্ষ্য দিতে হয়।
-আমিন রহমান নবাব
পোস্টমর্টেম কি?
পোস্টমর্টেমের আরেক নাম অটপসি। অটপসি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ অটপসিয়া থেকে। যার মানে 'To See For One Self'। সাধারণভাবে অটপসি হলো আইনানুগভাবে মৃতদেহ পরীক্ষা করে মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করা।
কবে শুরু হলো পোস্টমর্টেম?
খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে মিসরীয়রা মমি তৈরির জন্য মৃতদেহকে ব্যবচ্ছেদ করত। তবে তারা শুধু ধর্মীয় কারণেই তা করত। মূলত মৃত্যুর কারণ জানার জন্য মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের কথা জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দে গ্রিসে। রোমান সম্রাজ্যে এটি চালু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০ অব্দে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পর তার অফিসিয়াল পোস্টমর্টেম হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ অব্দে। এ ছাড়া আরবদের মধ্যে আন নাফিসের কথা উল্লেখযোগ্য। আধুনিক অটপসি চালু করেন Renaissance. এ iovanni Morgagni-কে বলা হয় Father of anatomical pathology.
কত ধরনের পোস্টমর্টেম হতে পারে?
অটপসি সাধারণত ৩ ধরনের হয়ে থাকে_
- মেডিকোলিগাল : অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে করা হয়।
- ক্লিনিক্যাল : এটি অসুস্থতাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে করা হয়।
- একাডেমিক : এনাটমি পড়ানোর জন্য মেডিক্যাল কলেজে করা হয়।
কারা পোস্টমর্টেম করেন?
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে_
১। সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর এবং লেকচারার।
২। জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন।
৩। সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার।
কি কি লাগে পোস্টমর্টেমের জন্য?
- চালান (পুলিশ কর্তৃক)
- সুরতহাল রিপোর্ট (পুলিশ কর্তৃক)
- হাসপাতালে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেট
- পুলিশ কর্তৃক লাশ শনাক্তকরণ
- অবশ্যই দিনের আলো। (ভূতের গল্পে রাতে পোস্টমর্টেমের কথা বলা হলেও তা ভুল। আমাদের দেশে সব পোস্টমর্টেমই দিনে হয়)।
- অনুমোদিত মরচুয়ারি
কিভাবে করা হয়?
১। যে ডাক্তার পোস্টমর্টেম করবেন তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করেন।
২। সুরতহাল রিপোর্ট পড়েন।
৩। মৃতদেহের বাহ্যিক পরীক্ষা করেন।
৪। মৃতদেহকে ব্যবচ্ছেদ করা হয় (সাধারণত ডোমরা এটি করে থাকে) এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গ পরীক্ষা করা হয়।
মস্তিষ্ক পরীক্ষার জন্য করোটি খোলা হয়। আর গলা, বুক, পেট পরীক্ষার জন্য তিন ধরনের ইনসিসন দেওয়া হয়। 'I' 'Y' এ es modified 'Y'।
কি কি ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়?
স্টমাক এবং ইনটেস্টাইন, কিডনি, হার্ট, লাংস, লিভার, ব্রেইন ইত্যাদি।
সবগুলোই সাধারণত সম্পৃক্ত লবণ পানিতে সংরক্ষণ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
তারপর? পোস্টমর্টেম শেষে ব্যবচ্ছেদকৃত অংশ সেলাই করে দেওয়া হয়।
পোস্টমর্টেমের প্রয়োজনীয়তা কি?
পোস্টমর্টেম বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পোস্টমর্টেমের ভুলের কারণে একজন নিরপরাধ লোকের শাস্তি হতে পারে, আবার একজন অপরাধী ছাড়াও পেতে পারে। তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে এই রিপোর্ট তৈরি এবং আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট প্রদানকারী ডাক্তারকেও সাক্ষ্য দিতে হয়।
-আমিন রহমান নবাব