Sunday, November 28, 2010

ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি কথা

0 comments
যদিও পৃথিবীতে উত্তর চীনা বা মান্দারিন ভাষায় প্রায় ৬৭৫ মিলিয়ন (৬৭ কোটি ৫০ লাখ) লোক এবং ইংরেজি ভাষায় ৪০০ মিলিয়ন (৪০ কোটি) লোক কথা বলে, তবুও মান্দারিন থেকে ইংরেজি ভাষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ হলো_ মান্দারিন ভাষা শুধু চীনেই সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে ইংরেজি হলো বিশ্বব্যাপী পরিচিত একটি ভাষা, যা প্রায় ৩৭টি দেশের সরকারি কাজকর্মে ব্যবহৃত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইংরেজি ভাষা ব্যবহৃত হয়। কোথাও জন্মগত সহজাত ভাষারূপে, কোথাও দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে আবার কোথাও বা প্রশাসনিক, পেশা কিংবা শিক্ষার উদ্দেশ্যে কার্যকরী ভাষারূপে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার অনেক ধারণাকে একমাত্র ইংরেজিতেই লোককে জানানো হয়। এজন্য একদিক দিয়ে ইংরেজিকে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান ভাষা বলা যেতে পারে। আধুনিক ইংরেজি মাত্র ৫০০ বছরের পুরনো। প্রায় ৫ হাজার বছর আগে ইউরোপীয় দেশগুলোতে লোকে ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষায় কথা বলত। ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষায় দক্ষিণ রাশিয়ার লোকেরা এবং রাইন নদী ও আরাল সাগরের মধ্যবর্তী অঞ্চলের যাযাবর উপজাতিরাও কথা বলত। প্রাচীন এ ভাষাভাষীর লোকেরা পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তাদের ভাষাও তখন ভেঙে গিয়ে বিভিন্ন স্থানিক ভাষায় রূপ নেয়। ওইসব স্থানিক ভাষার একটি হচ্ছে প্রাচীন জার্মানিক বা টিউটোনিক  ভাষা, যা পরে খ্রিস্টাব্দের গণনা শুরুকালে আরও বিভিন্ন স্থানিক ভাষায় বিভক্ত হয়। ভাষাটি মূলত যে দুটি স্থানিক ভাষায় বিভক্ত হয় তা হলো পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানিক ভাষা। পশ্চিম জার্মানিক ভাষাটি পুনরায় আরও দুটি স্থানিক ভাষায় ভেঙে যায়। যাদের একটির নাম হলো উচ্চ জার্মান আর অপরটির নাম হলো নিম্ন জার্মান । উচ্চ জার্মান ভাষা থেকে আধুনিক জার্মান ভাষার উৎপত্তি। অন্যদিকে নিম্ন জার্মান ভাষা থেকে জন্মলাভ করেছে ডাচ ও ইংরেজি ভাষা। অবশ্য বহু বছর ধরে নিম্ন জার্মান ভাষার নানা পরিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান ইংরেজি ভাষার উদ্ভব ঘটেছে। এ ব্যাপারে নিম্ন জার্মান ভাষা থেকে প্রথম যে স্থানিক ভাষার উদ্ভব ঘটে তাকে প্রাচীন ইংরেজি বা এ্যাংলোস্যাক্সন ভাষা বলে। ৪৪৯ সালে ব্রিটেনে এই ভাষাটি চালু হয়। ভাষাটি ১১৫০ সাল পর্যন্ত অপরিবর্তিত অবস্থায় চলছিল। ১১৫০ থেকে ১৫০০ সালের অন্তর্বর্তী সময়ে এর কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তখনকার ওই ভাষাকে বলা হতো মধ্য ইংরেজি। তারপর ১৫০০ সালের পর থেকেই আধুনিক ইংরেজির ব্যবহার শুরু হয়।

-প্রীতম সাহা সুদীপ

0 comments:

Post a Comment