Thursday, November 11, 2010

সুইজারল্যান্ড

0 comments
ইউরোপ মহাদেশে যতগুলো শক্তিশালী, স্বনামধন্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর রাষ্ট্র রয়েছে তার মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম। রাষ্ট্রীয় নাম সুইস কনফেডারেশন। আয়তন ৪১,২৮৬ বর্গ কি.মি, লোকসংখ্যা প্রায় ৭৬ লাখ। অধিকাংশ সুইজারল্যান্ডবাসী কথা বলে জার্মান ভাষায়। ছোট্ট এ দেশটির মাথাপিছু আয় ৪০,৬৫৮ মার্কিন ডলার, নারী-পুরুষের অনুপাত সমান হলেও গড় আয়ু বিশ্বের অনেক দেশের চেয়েই বেশি ৮১.৭ বছর। স্বাধীনতা লাভ করে ১২৯১ সালে, জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে ১০ সেপ্টেম্বর ২০০২ সালে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ শোভায় মণ্ডিত এ দেশটি ২৩টি প্রদেশে বিভক্ত। ছোট্ট ছোট্ট প্রদেশগুলো দেখতে পাহাড়ি টিলার মতো, অধিকাংশ প্রদেশই বরফে আচ্ছাদিত, রাজধানী বার্ন অন্যান্য প্রদেশ থেকে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় অবস্থিত বিধায় তা দেখতে অধিক আকর্ষণীয়। ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট এ দেশটি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী। বিশ্বে যতগুলো আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছে, তার অধিকাংশই অনুষ্ঠিত হয়েছে জেনেভায়। মজার ব্যাপার হলো_ সুইজারল্যান্ডই একমাত্র দেশ যে দেশের রাষ্ট্রপতি কোনো নির্ধারিত ব্যক্তি হন না, মন্ত্রীরা পালাক্রমে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্বে সুইজারল্যান্ড বিশ্বের একমাত্র নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা নগরী ঘড়ি উৎপাদনের জন্য সারা বিশ্বে সুপরিচিত। শীতপ্রধান রাষ্ট্র হওয়ায় জব, গম, ভুট্টা, এসব হলো সুইজারল্যান্ডের প্রধান অর্থকরী ফসল। ১৯৯১ সালের পূর্বে সুইসবাসী ফসল উৎপাদনে তেমন আগ্রহ দেখাত না, ১৯৯১ সালের পর বওয়ার ও হারলে নামক দু'ব্যক্তি তাদের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডে কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন। সুইজারল্যান্ডবাসী সম্প্র্রতি নানা জাতের ফসলাদি উৎপাদন করছে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডবাসী যে পরিবর্তন এনেছে, তাকে বিশ্বের অন্যান্য দেশও অনুসরণ করছে। সুইজারল্যান্ড শুধু ইউরোপ মহাদেশের শক্তিশালী রাষ্ট্র নয়, বরং সারা বিশ্বের মধ্যে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত।



-মো. রিয়াজুল ইসলাম

0 comments:

Post a Comment